শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘‘ নির্দলীয় সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের কোনো বিকল্প নেই। সঙ্কট নিরসনে এখনো সমঝোতার পথ খোলা আছে। ’’
সমঝোতার পথে না গিয়ে সরকার ‘জোর করে’ নির্বাচন করতে চাইলে ‘পরিণতি ভালো হবে না’ বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
“এ রকম হলে ঈদের পর আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। আন্দোলনকে এমন পর্যায়ে নেয়া হবে যাতে ক্ষমতাসীনরা নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে বাধ্য হয়।
”
বিএনপিপন্থী সংগঠন ইয়ুথ ফোরাম জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র এবং আমাদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে সরকারের অবস্থানের সমালোচনায় সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পর গৌরবের মতো উল্লেখ করা বিষয় হলো- অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল পুরস্কার অর্জন। অথচ সেই নোবেল বিজয়ীকে সরকার নানাভাবে হেয় করছে। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে তারা টুকরো টুকরো করার ষড়যন্ত্র করছে। ’’
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হলে বিএনপি তার প্রতিবাদ করবে এবং আগামীতে ক্ষমতায় যেতে পারলে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষমতা পুরোপুরি এর নারী শেয়ার হোল্ডারদের হাতে ‘ফিরিয়ে দেবে’ বলেও উল্লেখ করেন মওদুদ।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “ওইসব অপকর্মের জন্য শাস্তি পেতে হবে ভেবে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। সরকারকে বলব, যতো পরিকল্পনাই করুন না কেন, আপনারাই শেষ সরকার নন। ”
গত পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীদের ‘ভরাডুবি’র কথাও সরকারকে মনে করিয়ে দেন মওদুদ।
“সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে, পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জনগণের রায় মূল্যায়ন করুন। তা না হলে আওয়ামী লীগ ভুল করবে।
কঠিন মাসুল তাদের দিতে হবে। ’’
জামায়াতের শরিক দলের এই নেতার মতে, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চের কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে।
মওদুদ বলেন, “এই জাগরণ মঞ্চ তারা যতোই চালিয়ে যাবে, ততোই তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নামবে। ’’
ইয়ুথ ফোরামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হায়দার আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।