শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ইনু বলেন, “নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে গেছেন। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বর্জন করে নাকশতা চালাচ্ছে। বিএনপির তফসিল বাতিলের দাবি অযৌক্তিক, ষড়যন্ত্রমূলক ও অসাংবিধানিক। ”
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক সমঝোতার যথেষ্ট সময় ছিল।
তাদেরও জানা ছিল ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। নইলে সংবিধানের ধারা ব্যাহত হয়ে যাবে।
“খালেদা জিয়া সময় নষ্ট করেছেন, সংলাপ থেকে দূরে থেকেছেন, সংলাপ এড়িয়ে গেছেন। কারণ নির্বাচন তাদের লক্ষ্য ছিল না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালই তাদের লক্ষ্য।
”
তারপরেও বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সংবিধান সমুন্নত রেখে বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার পথ সব সময়ই খোলা আছে।
“নির্বাচন চাইলে সংবিধান মেনে, নাশকতা বন্ধ করে এবং জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করেই বিএনপিকে নির্বাচন চাইতে হবে। ”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নির্বাচন নয়, বরং এটা সংবিধান সুমন্নত রাখার নির্বাচন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আগের দিন এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার সুযোগ আর নেই।
চলমান সংলাপে সমঝোতা হলে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় নির্বাচন দেয়া হবে।
তবে এক্ষেত্রে বিরোধী দলকে ‘হত্যা’ বন্ধের শর্ত দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বঙ্গবন্ধু একাডেমির উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সাম্যবাদী দলের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, জাসদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শফিউল্লাহ মোল্লা প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।