জানালাটা খুলে দিয়েছি তীব্র অন্ধকারের কালোয় ডুবে গেছে চারপাশ। নিজের শরীরকে স্পর্শ করে খুঁজে নিতে হচ্ছে। আকাশটাকে বড় শূন্য মনে হচ্ছে আজ। যতদূর চোখ যাচ্ছে অন্ধকার। বহুদূরের কোন এক জায়গা থেকে কে যেন গান গেয়ে যাচ্ছে।
সাথে নুপুরের নিক্কন আওয়াজ। প্রায় রাত্রি শেষ এখন। এত রাত্রি তবুও এই মেয়েটি কেন এত তীব্র শব্দে নাচতেছে এর কি কমন সেন্স নাই?সারারাত শহরের সোডিয়াম আর নীয়ন বাতির সাদা নীল আলো জ্বলে থাকার কথা। কিন্তু কি আশ্চার্য আজ পৃথিবীকে কেউ মনে হয় কালো চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। এবার মেয়েটি গান শুরু করেছে।
আহারে কি মিষ্টি গলা মেয়েটির বাতাসের উপর দিয়ে ভেসে ভেসে গানের কথাগুলো যেন অন্তরে গিয়ে আঘাত করছে। প্রচন্ড গতিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স চলে গেল। কার যেন অসুখ করেছে। শুন্য আকাশে নেই চাঁদ তারা। সাইরন বাঁজাতে বাঁজাতে একটা পুলিশের গাড়ি এসে থামল।
এরা কি মানুষ?রাতে কেউ এত জোরে সাইরন বাঁজায়। আকাশের মেঘ ক্রমশ গর্জন করে ওঠে। আকাশের বুক চিরে বেরিয়ে আসছে শ্বেত আলোক প্রভা। ঐ মেয়েটি এখন হেসে হেসে কথা বলছে। এত রাত মেয়েটি কি ঘুমাবে না নাকি এরা ঘুমায় না।
চোখের রেটিনায় হঠাত্ এক আলো এসে গেল। দুই জন লোক ফিস আওয়াজে কথা বলছে এরা কারা এখন কথা বলছে কেন?কিছু প্রানী অবিরাম ডেকে চলেছে। কেউ মনে হয় টিভি দেখছে কারন ক্রমাগত তিনি চিত্কার করছেন। বহু দূরের এক বাড়িতে সামন্য আলো জ্বলছে। নিজেকে মনে হচ্ছে চিনি না।
একসময় তাকিয়ে দেখি আমার জামায় কয়েক ফোঁটা পানি। বৃষ্টি নেই পানি নেই তাইলে কেমনে আসল পানি? চোখ ঝাপসা হয়ে গেল আমি নিভৃতে কেঁদেছি আর এতটাই আস্তে আমি নিজেই টের পাইনি যে আমি কেঁদেছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।