আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কান্নায় ফায়দা নেই!!!!!

প্রচলিত ধারণা অনুসারে, কান্নায় নাকি মনোকষ্ট ধুয়ে যায়, স্বস্তি মেলে। কিন্তু সম্প্রতি গবেষকরা বলছেন, কান্নায় আদতে কোনো লাভ নেই। কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেললে, বুক ভাসিয়ে দিলেও কোনো উপকারেই আসেনা। বরং কান্না থামার পরে আরো খারাপ লাগতে শুরু করে। খবর ডেইলি মেইল-এর।

ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডার গবেষকরা জানিয়েছেন, কান্নার পর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। গবেষণার ফল বলছে, কান্নার পর দুই তৃতীয়াংশ নারীর ক্ষেত্রেই এ ঘটনা ঘটে। আর কান্নার পর মেজাজটা যতোখানি খারাপ হয় তার রেশ থাকে দুই দিনেরও বেশি। জরিপে, শতকরা ৯ ভাগ নারী জানিয়েছে, কান্না কষ্ট আরো বেশি বাড়িয়ে দেয় এবং আপসেট করে তোলে। গবেষক জোনাথান রটেনবার্গ জানিয়েছেন, মনের অবস্থার উন্নতি করতে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দাও প্রচলিত ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়।

মানুষ কান্নার বিষয়টিকে যতোখানি উপকারী মনে করে এটি মোটেও ততোখানি উপকারী নয়। কেঁদে চোখের পানি বইয়ে কোনো মানুষের সহানুভূতি পাওয়া যায় না বরং সামাজিক পারিপার্শ্বিকতাই মানুষকে সাহায্য করে। রটেনবার্গ আরো জানিয়েছেন, মানুষকে কান্নায় উৎসাহ না দিয়ে বরং কাউকে কাঁদতে দেখলে তাকে আরো বেশি সামাজিক নেটওয়ার্ক বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া এবং তাকে সাহস যোগানো উচিৎ। গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, একা কান্নার চেয়ে দুজন মিলে কান্না বেশি উপকারী। তবে, অনেকের সামনে কান্না সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করে।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘রিসার্চ পার্সোনালিটি’ সাময়িকীতে। গবেষণার ফল বলছে, একজন শোবার ঘরে বসে একটানা ৮ মিনিট পর্যন্ত কাঁদতে পারে। আর কান্নার প্রধান কারণগুলোর তালিকায় রয়েছে দ্বন্দ, হারিয়ে বসা বা অন্যের কষ্ট দেখে কান্না পাওয়া। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.