বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আÍস্বীকৃত খুনি সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খানের পরিবারের রাজনৈতিক কোন অস্তিত্ব এখন আর না থাকলেও সামাজিকভাবে এখনও তারা প্রভাবশালী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন জড়িত। চূড়ান্ত বিচারে বঙ্গবন্ধুর খুনি হিসেবে শাহরিয়ার রশীদ খানের ফাঁসি হলেও তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ ছাত্রাবাসে এখনও ঝুলছে সাইনবোর্ড। কলেজ কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড নামাতে চাইলেও সামাজিক কারণে এবং এলাকায় তার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তা পারছে না। চারদলীয় জোট সরকার আমলে কলেজ সীমানায় সাত শতাংশ জায়গার বিনিময়ে এবং এলাকাবাসীর চাপে সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খানের পিতা সুরুজ খানের নামে গোপীনাথপুর আলহাজ শাহ আলম ডিগ্রি কলেজের একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ করা হয়।
ছাত্রাবাসটির নির্মাণ খরচও বহন করে শাহরিয়ারের পরিবার। এ কলেজেরই অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একসময়ের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ও শাহরিয়ার রশীদ খানের সব সময়ের বিরোধী হিসেবে পরিচিত আকরাম খান। শাহরিয়ার রশীদ খানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পরদিন তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বক্তব্য দিয়ে শাহরিয়ার রশীদ খানের অনুসারীদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় তাকে হুমকি-ধামকিও দেয়া হয়। অধ্যক্ষ আকরাম খান জানান, সুরুজ খান এলাকায় দানশীল ব্যক্তি হিসেবেই স্বীকৃত।
তার নামে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রাবাস থেকে সামাজিক চাপের কারণেই সাইনবোর্ডটি নামানো যায়নি। তবে আমরা সাইনবোর্ড নামানোর জন্য চেষ্টা করছি। এদিকে শাহরিয়ার রশীদ খানের পৈতৃক বাড়ি প্রাসাদোপম দারুল আমানে এখন সুনসান নীরবতা। বিশাল এই বাড়িটিতে তার সৎমা আছমা বেগম নিকটাÍীয় বিধবা শিরিন খানকে নিয়েই থাকেন। শাহরিয়ার রশীদ খানের ভাই মামুনুর রশীদ খান হেলাল মাঝে মাঝে বাড়িতে আসেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।