আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলব’

ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ী, দোকান মালিক, শিল্পপতিদের কাছে চাঁদার টাকা চেয়ে লোক পাঠাচ্ছে কিংবা নিজেরাই গিয়ে চাঁদাবাজির টাকা সংগ্রহ করছে। গত বৃহস্পতিবার সূত্রাপুর থানায় ‘ডাকাত শহীদের’ নাম বলে টাকা নেয়ার সময় দোকান মালিকের সহযোগিতায় দু’জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৮, তারিখ : ১১-০৮-১১।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল আলম। মো. সাইফুল ইসলাম, ৪২/২, জহির রোডে ‘পুলিশকে জানালেনয়ন বলপেন কারখানার মালিক। দীর্ঘদিন এ এলাকায় তিনি ব্যবসা করে আসছেন। গত এক মাস ধরে ডাকাত শহীদের নাম বলে এলাকার চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী তার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি বিভিন্নভাবে তাদের বলে-বুঝিয়ে চাঁদা প্রদান করা থেকে বিরত থাকেন।

কিন্তু চাঁদার টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছিল কয়েকদিন ধরে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে রনি ও মাহতাবসহ অজ্ঞাতনামা অন্য দু’জন সাইফুল ইসলামের বলপেন কারখানায় এসে তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। তখন জনি ও মাহতাব সাইফুলকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তার প্যান্টের পকেটে থাকা ১৫ হাজার টাকা জোর করে নিয়ে যায়। টাকা নিয়ে টিপু সুলতান রোডের দিকে যাওয়ার সময় সাইফুলকে বলে যায়, ‘এ ব্যাপারে পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলব’।

তখন ওই রাস্তা দিয়ে সূত্রাপুর থানাপুলিশের টহল গাড়ি যাওয়ার সময় সাইফুল ইসলাম টহলগাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে বিষয়টি জানালে। পুলিশ সাইফুল ইসলামকে গাড়িতে নিয়ে চাঁদাবাজদের খুঁজতে খুঁজতে টিপু সুলতান রোডে রাজ্জাক বিরিয়ানি হাউজ নামক হোটেলে তাদের পেয়ে যায়। রনি আর মাহতাবকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তার বাসা ৫০ লালমোহন সাহা স্ট্রিটে। তার বাবার নাম চাঁন মিয়া।

মাহতাবের বাসা ৭১/৫, সাহ সাহেব লেন, গেন্ডারিয়া। রনির সাথে থানায় কথা বলার পর জানা যায়, রনি এলাকার পাতি চাঁদাবাজ। ‘ডাকাত শহীদের’ নাম বলে এরা এলাকার চাঁদাবাজি করে। রনি এলাকার ‘মালু’ গ্রুপের সদস্য। চাঁদা তুলে মালুকে পৌঁছে দেয় রনির মতো অনেক পাতি মাস্তান।

প্রতি ১০ হাজার টাকার ৩ হাজার টাকা পায় তারা। বাকি টাকা মালু নিয়ে যায়। মাহতাব, রনিসহ মালু গ্রুপের চাঁদাবাজ দলের সদস্য সংখ্যা ২৫। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহিরুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে, অপরাধকণ্ঠকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রনি ও মাহতাবকে রিমান্ডে আনার আবেদন করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের গ্রেফতার করা হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.