কী আর কমু, হেহ্...!! পোস্ট-হার্ট ওয়ার্ডস: বর্ষা, গোধূলী, ইফতার, একা, শহর।
(একধরনের ফটোগ্রাফিক পোস্ট বলা যেতে পারে। কিন্তু অনভিজ্ঞতার বিবেচনায় ক্লাসিক ফটোগ্রাফির মর্যাদা হেয় কর্তে চাইনি। তাছাড়া এ যুগে ফটোগ্রাফির নামে এই জিনিস খাওয়ালে, পাঠকদের শব্দবাণে পাল্টা নাকানি চুবানি খাওয়ার চান্স থেকে যায়। )
পোস্টটা গতকালের লিখা-------------
ঘুমভাঙ্গা চোখ দুইটাতে এক ঝাপটা স্প্ল্যাস মেরে, বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে(ছাতাটা হারিয়ে গেছে) ক্লাসের দিকে যাচ্ছি ।
আজ সকাল বেলার কথা। কিছু ছবি তুলতে ইচ্ছে হল। ঠিক করেও ফেললাম-বৃষ্টিটা থামলেই কারো কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে বের হয়ে যাব। কিন্তু বৃষ্টি থামলো কই? (you know) সিলেটে সারাদিনই বৃষ্টি। এরমধ্যে কারো কাছে ক্যামেরা চাওয়ার সাহস হল না।
ইচ্ছাটাকে দমাতে পারলাম না । ইফতার এর আধঘন্টা আগে ছাতা নিয়ে বের হলাম একাই। রিকসায় উঠেই কয়টা ছবি তুললাম। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটা। চৈনিক মুটোফোনের টু মেগাপিক্সেল ক্যামেরায়।
ছবি ভাল হয় নি; কারন ছবিগুলো কথা বলছে না। তাই আমিই কথা জুড়ে দিলাম। প্যাসেঞ্জোর’স আই ভিউ ফ্রম রিকশো:
সামনের রিকশাটায় আমাদের ক্যাম্পাসের একটা মেয়ে। সে সাবজেক্ট ছিল না। আমার রিকশা যখন ওই রিকশাটা ওভারটেক করে সে লক্ষ্য করেছে আমি বেক থেকে সামনের ছবি তুলছি।
মাইন্ড খাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। (Passenger's eye view)
আম্বরখানা পয়েন্টে নেমে, হেঁঠে চলে আসলাম শাহ্ জালালের দরগায়। মাঝপথে বাঙ্গালীয়ানার শো রুমে ঢুকলাম (একটা টি শার্ট কিনেই ফেলব চিন্তাভাবনা আছিল। ) ঢুকেই কর্নারে ঝুলানো টি শার্ট গুলো দেখছি। সাথে সাথেই একটা জিনিস আবিষ্কার করলাম।
সেটা হল ম্যানেজার বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে- আমার হাতের ছাতা থেকে ফোটায় জল পড়ছে ফ্লোরে। আমি রাগ করে চলে আসলাম।
শাহ্ জালালের দরগায়:
দরগায়, কবুতর গুলোর আবাসন সংকট দেখা গেল:
জালালী কইতর।
ফিডিং লটে কবুতরগুলো, খোপে যাবার শক্তি পাচ্ছে না।
তারপর চৌহাট্টা হয়ে জিন্দাবাজার, হাঁঠতে হাঁঠতে।
এই ছবিটা ভাল ক্যামেরায় হলে...................
ইফতার এর আগে একটি চমৎকার দৃশ্য- মাইগ্রেশন অব কাস্টমার:
>>>>>>>-------------------------------------------------------------->>>>>>>>>>
ইফতার করলাম হাঁঠতে হাঁঠতে(সুন্নতের বরখেলাপ!!!)--অর্ধেক রেস্টুরেন্ট এ অর্ধেক ফুটপাতে, মজুরদের সাথে। একটা ছবি মিস হল: সেটার বিষয় হচেছ- ইফতার শেষে ভাল রেস্টুরেন্টগুলোর,দামি, খাবার শেষ, আর ফুটপাতের খাবার অনেকখানিই রয়ে গেছে।
আমার মত যারা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট, দেখুন তো জায়গাটা চিনতে পারেন কিনা:
চিনতে কষ্ট হবে,
এটা হচেছ জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে জেল রোডের রাস্তাটি, যেখানে এই সময়ে তিন চার জন মানুষ রিকশা বা সিএনজির জন্য দাড়িয়ে থাকে, রিকশা থাকেনা।
আজকে দেখলাম দুইটা রিকশা যাত্রির জন্য অপেক্ষা করছে....।
অতপর, নীড়ে ফেরা।
মিরাবাজারে চায়ের দোকানে, এক হাতে চা আর এক হাতে......
এত পথ হেঠে ক্লান্ত কবি?
নাও গোগ্রাসে খাও-
শহুরে রজনী পেঠে ধরে
আলো আধারির জলছবি।
যাওয়ার আর দুই টা ছবি ফাও-
দ্বিতীয়টা সংগৃহীত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।