“ইসলামের দৃষ্টিতে দুনিয়া না তো এমন কোন পরিত্যাজ্য ঘৃন্য ও বস্তু আর না এমন কোন বস্তু যার প্রতি মানুষ মোহবিষ্ট হয়ে পড়বে। আর না তার আনন্দ সম্ভোগে নিজেকে বিলীন করে দেবে। না সে একেবারে প্রশান্তি, আর না একেবারে অমঙ্গল, অশান্তি। তার থেকে দূরে থাকা ঠিক নয় এবং পুরোপুরি তার মধ্যে নিমজ্জিত থাকাও ঠিক না। না সে পুরোপুরি অপবিত্র ও আবিলতাপূর্ন আর না পুরোপুরি পবিত্র-পরিচ্ছন্ন।
তারপর এ দুনিয়ার সাথে মানুষের সম্পর্ক তো এমন হওয়া উচিত নয়- যেমন রাজ্যের সাথে বাদশাহের হয়ে থাকে। এমনও হওয়া উচিত নয়-যেমন কোন কয়েদীর জেলখানার সাথে হয়ে থাকে । মানুষ এতটা তুচ্ছ নগন্য নয় যে, প্রতিটি বস্তুর সামনে সে মাথা নত করবে। আর এতটা বিজয়ী ও পরাক্রমশালী নয় যে, প্রতিটি বস্তু তার সামনে মাথা নত করবে। সে এতটা অসহায় নয় যে, তার ইচ্ছা কোন বস্তুই নয় এবং সে এতটা শক্তিশালী নয় যে, তার ইচ্ছা ও মার্জিই সব।
না সে সৃষ্টিজগতের নিরঙ্কুশ শাসক, আর না সে অসংখ্য অগনিত প্রভু অসহায় গোলাম । প্রকৃত সত্য যা কিছু তা হলো এ দুই প্রান্তিকতার মাঝে এক মধ্যম অবস্থা”।
------- তর্জুমানুল কোরআন - সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (র.)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।