(উৎসর্গ: প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানকে) মৃত্যুঞ্জয়ী নও তুমি বলেছিলে সায়াহ্নে এসে জানতাম, একদিন চলে যাবে বিজয়ী বেশে তুমি চলে গ্যাছো বলে এই রণাঙ্গনে নেই আর সাহসী,বিচক্ষণ সেনাপতি। তুমি বলেছিলে ফিরিয়ে নিতে ঘাতক কাঁটা তারা কথা রাখে নি ঘাতকেরা কেড় নিয়েছে অনেক প্রাণ রাজনৈতিক সভায়,মিছিলে,গানের অনুষ্ঠানে............. ঘাতকরূপে আবির্ভূত জঙ্গী,গডফাদার,আমলা,রাজনীতিবিদ,পুলিশ.......... কৃষক-শ্রমিক হারিয়ে গ্যাছে নিহতদের ভীড়ে পুনর্জন্মে আবারো এসেছে এই বাংলায় ফিরে হে বন্দী স্বদেশ,তোমার সন্তানেরা নীরব কেন এই সন্ধিক্ষণের অবকাশে? দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছা করে গৃহযুদ্ধের পূর্ভাবাসে! গৃহযুদ্ধের আগে আমি অনাহারী পাজরে পাবে হরিণের হাড় আদিগ্ন্ত নগ্ন পদধ্বনি কী বিপ্লবী নব জনতার? বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে তোমার চোখে জানি না,সেই স্বপ্ন কোনকালে সত্যি হবে কিনা স্বপ্নের ডাকহরকরারা বেয়নেটের খোঁচার শিকার একটি গাছে কতগুলো ফুটন্ত জবা রক্তলালে ফুলগুলো নিহত লাশেরই প্রতিচ্ছবি বিধ্বস্ত নীলিমায় আজ দ্বন্দ্ব,সংঘাত বুর্জোয়া,শোষক শ্রেণীর দাপটে মনুষ্যত্ব কুপোকাত বন্দী শিবির থেকে দ্যাখেছ স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতা পেয়েছিলে কী দুঃসময়ের মুখোমুখি হতে? নিজ বাসভূম থেকে দ্যাখেছ নাগরিক জীবন, স্বৈরতণ্ত্র,সামরিক জান্তা,অশ্লীল সিনেমা,স্বার্থের রাজনীতি............ চলে গ্যাছো তুমি ফেলে মোদের একা উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ,রাজপথ ফাঁকা এক ফোঁটা জল কেমন অনল বুঝেছি এই সমর ক্ষেত্রে তোমার অন্তর্ধানে স্তব্ধ স্বদেশ! নিকুণ্জের নীলিমায় হাওয়ার মাতম অশ্রুস্নাত বৃক্ষ,পাখপাখালি,নীলাকাশ..................... আমরা নির্বাক,রৌদ্র করোটিতে হালকা বাতাস। হৃদয়ে আমার পৃথিবীর আলো রুপালী প্রহরে চড়ে নিরালোকে দিব্যরথ মানব হৃদয়ে নৈবেদ্য সাজাই, জয় করে দুর্গম পথ। বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়: কার? `লাল সবুজ পতাকা`মোদের একধরনের অহংকার রয়েছ তুমি অম্লান স্মৃতির পটে ভালোবাসা অনুরাগে গাইব তোমার প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে। ২৯।০৮।০৬,ডাক্তার পাড়া,ফেনী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।