আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্যোৎস্না রাতে একা

কুড়াই প্রহরব্যেপে স্মৃতিলগ্ন ধূলি রাত্রি নিঝুম- সবার চোখে ঘুমের সেফটিপিন- জানলা দিয়ে বাইরে দেখি রাতটা যেনো দিন। চুপটি করে বিছ্না ছেড়ে আলতো চরণ ফেলে একলা আমি বেরিয়ে পড়ি দরজাখানা মেলে। ঘুমিয়ে আছে চড়ুই বাবুই ফিঙে দোয়েল সব তবু যেনো আসছে ভেসে কাদের কলরব। মনের পাড়ায় তাক-ধিনা-ধিন নাচ্ছে আবার কারা? শিরায় শিরায় বইছে আমার চপল ঝর্নাধারা। ঘর-বাড়ি আর গাছ-গাছালি সব গিয়েছে ঢেকে জোসনা জলের ঝর্না যেনো নামছে আকাশ থেকে জ্যোৎস্না এবং জ্যোৎস্না শুধু জ্যোৎস্না অফুরান- আঁজলা ভরে জ্যোৎস্না আমি করতে থাকি পান।

অথৈ আলোয় গ্রামটা যেনো ভাসছে দ্বীপের মতো আলোর স্রোতে সাঁতার আমি কাটছি অবিরত। সাঁতার কেটে যাই এগিয়ে ওই যে নদীর দিক- চাঁদের সাথে নদীর পানি হাসছে কি ঝিকঝিক! নাইতে নেমে ডুব-সাঁতার ওই কাটছে ধবল চাঁদ তাই না দেখে নদীর জলের ভাঙলো খুশির বাঁধ। আনন্দে তাই মধুর সুরে উঠলো গেয়ে গান- আমিও তখন শুনতে সে গান দিলাম পেতে কান। জলের নিচে ডুব দেয়া চাঁদ ধরতে যাবো বলে হাত বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি উছল নদীর জলে। চাঁদটা তখন কোথায় জানি হারিয়ে গেলো ভাই এদিক তাকাই ওদিক ফিরি কোথাও সে নাই! হঠাৎ তাকে দরতে যাওয়ায় মান করেছে বুঝি মান বাঙাতে তাকে আমি হন্যে হয়ে খুঁজি- দুষ্টুমিতে চাঁদ-বালিকার মিলবে কি আর জুড়ি? মেঘের আড়ে লুকিয়ে দেখো খেলছে লুকোচুরি! আবছায়াতে পৌঁছে দেখি খেয়ারঘাটের কাছে পারাপারের নে কোখানি যতেœ বাঁধা আছে।

শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে নায়ের পাটাতনে শুয়ে শুয়ে আকাশটাকে আঁকছি আপন মনে। তুলি টানে দিলাম এঁকে একটি কিশোর ছেলে নীল আকাশের বিজন মাঠে চাঁদের প্রদীপ জ্বেলে বুক পকেটে করছে জমা কুড়িয়ে তারার ফুল আলোর সাথে খেলতে যে তার রেশম কালো চুল। ঢেউয়ের তালে নৌকোখানি উঠছে দুলে দুলে মিষ্টি হাওয়ায় বাদাম ওড়াই গায়ের জামা খুলে... চলছে ছুটে আমায় নিয়ে মন পবনের নাও নীল-বেগুনি আলোয় ঘেরা জল-পরীদের গাঁও। রাজকুমারের জরিন পোশাক পাচ্ছে শোভা গায় সান্ত্রী-সেপাই যে যার মতো দাঁড়িয়ে ডান-বাঁয়। উঠলো বেছে ঢোল-শোহরত অল্পটি আর বাকি নোঙর ফেলার প্রহর গুনে চুপটি বসে থাকি।

এমন সময় আকাশ চিরে বিজুলি দেয় ঝাঁকি ভয়ের চোটে দু’হাত দিয়ে জলদি দু’চোখ ঢাকি। খানিক পরে হাতের ফাঁকে পলক দু’খান মেলি- ফটিক জলে হীরক রোদের চোখ ধাঁধানো কেলি! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।