বাধা মানিনা যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থা থেকেই প্রজন্ম চত্বরের নাম দিয়ে এই আন্দোলন- একথা ভুলে গেলে চলবে না........সুতরাং- ‘প্রজন্ম চত্বরের দলীয়করণ হলে আমরা বসে থাকবোনা’
১. যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থা থেকেই যে এই আন্দোলন- একথা ভুলে গেলে চলবে না । সরকারের প্রতি অনাস্থা থেকে আন্দোলনে নেমে এখন অগাধ আস্থার ভাব নিয়ে বসে থাকলে, ‘সরকার কে কোন ভাবেই না ঘাটানো’র নীতি অটুট রাখলে বা মিঠা মিঠা কর্মসূচী দিলে আন্দোলন কোন দিনও সফল করা যাবে না।
২. জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার আন্দোলনকে নানা ভাবেই হাইকোর্ট দেখাচ্ছে। এটা কিন্তু একটা সিগনাল। এই সিগনালের অর্থ বুঝে সরকারকে সময় মতো চাপ দিতে না পারলে সরকার ইস্যুটা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে।
নিষিদ্ধ করার প্রকৃয়া শুরু করার আল্টিমেটাম দিয়ে কোন লাভ নাই, সোজা নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম দিতে হবে।
৩.শুধু আলটিমেটাম দিলেই হয় না, র্নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবী না মানলে ‘ভবিষ্যতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব’ জাতীয় ফাকা আওয়াজ দিলেই হয় না, কঠোর কর্মসূচী যে আসলেই দিতে পারি আমরা, সেটাও আন্দোলনের শত্রু ও মিত্র উভয়কেই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া চাই। নইলে যুদ্ধাপরাধীরা ঝোলার বদলে আন্দোলনই ঝুলে যাবে। এর জন্য প্রয়োজনে অবরোধ, ঘেরাও জাতীয় কর্মসূচী দিতে হবে।
৪. আওয়ামি লীগের নেতা-কর্মীরা সাংগঠিনক সকল কাজেই অংশ নিতে পারেন কিন্তু নেতৃত্ব হিসেবে হাজির হওয়া বা মঞ্চ দখলে রাখার মানসিকতা বা কর্মসূচী নরম করার প্রবণতা বাদ না দিলে জনগণের সামনে এই আন্দোলন স্রেফ আওয়ামি লীগের নির্বাচনী আন্দোলন বলে প্রতিভাত হবে।
তখন সংগঠন হিসেবে আওয়ামি লীগ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যে সন্দেহ, অবিশ্বাস, ক্ষোভ, বিদ্বেষ তার ভার অযাচিত ভাবে এই নির্দলীয় আন্দোলনের উপর পড়বে যার ভার বহন করার ক্ষমতা এই আন্দোলনের নাই।
৫. সর্ব স্তরের মানুষ এই আন্দোলনের সাথে নানা ভাবে যুক্ত হতে চায়। কিন্তু বেলুন ওড়ানো আর মোমবাতি জ্বালানোর মতো কর্মসূচীর মাধ্যমে মানুষকে বেশি দিন ধরে রাখা যাবে না, আন্দোলনের দাবীও আদায় করা যাবে না- এর জন্য মানুষের স্বত:স্ফুর্ত আকাঙ্খাকে সাংগঠিনক শক্তিতে পরিণত করতে হবে। এর জন্য শাহবাগের সাথে সারা দেশের আন্দোলনের বিভিন্ন কেন্দ্রের সম্পর্ক জোরদার করতে হবে, এলাকায় এলাকায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করে নিয়মিত লাঠি মিছিল, মশাল মিছিল ইত্যাদি অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে সংগঠিত শক্তির মহড়া দিতে হবে, সরকার ও জামাত-শিবির উভয়কেই নিজেদের সাংগঠিনক শক্তির জানান দিতে হবে।
৬. স্থানীয় সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে নানা ভাবে সাংগঠিনক শক্তির মহড়া দেয়া ছাড়াও জামাত-শিবিরের অপপ্রাচার গুলোরও জবাব দেয়া সম্ভব।
তার জন্য লিফলেট, ছোট ছোট সভা, এলাকায় এলাকায় গণ সংযোগ নানান কিছু্ই করা যেতে পারে। আমাদের অনেকের হয়তো ধারণাই নাই নানান ধরণের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি কত দূর পর্যন্ত পৌছেছে, কতটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই অপপ্রচার গুলোর সঠিক জবাব জনগণের কাছে সময় মতো পৌছে দিতে না পারলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে।
৭. যুদ্ধাপরাধীদের ফাসীর দাবীর সাথে কিংবা যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবীর সাথে আন্দোলনকারীরা ডান হাত দিয়ে খায়, না বাম হাত দিয়ে খায়- এই প্রশ্নের যেমন কোন সম্পর্ক নাই, তেমনি সম্পর্ক নাই আন্দোলনকারীর ব্যাক্তিগত ধর্মবিশ্বাস/অবিশ্বাসের। এই বিষয়টি জনগণের সামনে দ্রুত পরিস্কার করতে হবে।
সৌজন্যে : তারেক মাহমুদ... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।