চিনি খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম কিন্তু পারলাম না কারণ ব্যবসায়ীদের নাকি টনক নড়েছে। চিনি দাম নাকি কমবে। দেখা যাক সরকার ও ব্যবসায়ীদের আশ্বাস কতদিন পর্যন্ত থাকে। আমরাও দেখতে চাই সরকার কত কঠোর আর ব্যবসায়ীরাও কতদিন তাদের কথা ঠিক রাখতে পারেন।
আজকের কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন নিম্নরূপ ঃ
উদ্বুদ্ধকরণ প্রচেষ্টায় কাজ হচ্ছিল না।
খালাসের অপেক্ষায় পড়ে থাকল জাহাজবোঝাই চিনি। চিনিতে ভরে থাকল চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরের গুদাম। আর বাজার থেকে খালি হাতে ফিরে এলেন ক্রেতারা। বেঁধে দেওয়া দাম তো পরের কথা, দোকানে চিনিই নেই। শনিবার পর্যন্ত এমনই ছিল রাজধানীর খুচরা বাজারের অবস্থা।
তবে রবিবার দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। দোকানে চিনি পাওয়া গেল। এমনকি নির্ধারিত দাম, অর্থাৎ ৬৫ টাকা কেজিতেও কোথাও কোথাও চিনি বিক্রি হলো। রাতারাতি দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়ার নেপথ্যে কাজ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থা। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্যসচিব, বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক করে ব্যবসায়ীদের নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করার প্রচেষ্টার পাশাপাশি অনমনীয় অবস্থানে ছিল সরকারের প্রশাসনযন্ত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জরুরি তলব করেন ব্যবসায়ীদের। ফলে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চিনির সরবরাহ। চিনিকল মালিকরা নিজেরাই ন্যায্যমূল্যে চিনি বিক্রি করতে শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে ইতিবাচক আশ্বাস : গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাসভবনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে চিনি ও ছোলার দাম বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রমজান মাসে জনগণ যাতে কষ্ট না পায়, সে জন্য নির্ধারিত দামে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও চাল বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বছরের মাত্র একটি মাস মুনাফা না করতেও অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীরাও প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছেন আগামী ঈদ পর্যন্ত খুচরা পর্যায়ে ৬৫ টাকায় চিনি আর ১০৯ টাকায় ভোজ্য তেল বিক্রি করবেন তাঁরা। অবশ্য কোনো কোনো ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে পণ্য বিক্রি করবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রীকে। শেখ হাসিনা তাঁদের বলেছেন, 'কম দামে বিক্রির প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত দামে সাধারণ মানুষ পণ্য কিনতে পারলেই আমি খুশি।
'
আসলে জাহাজ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত বিপণনের নানা স্তরেই আছে কারসাজি। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান শনিবারই বলেছিলেন, 'কোথায় কারা সমস্যা তৈরি করছে, আমরা জানতে পেরেছি। আশা করছি, কাল-পরশু বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ' অতীতের মতো এবার আর ঘোষণার মধ্যেই সীমিত থাকেনি সরকারের হুঁশিয়ারি। কারসাজির প্রমাণ পাওয়ায় গতকাল রবিবারই আটজন ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ঢাকার ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আগে থেকেই বাজারে মোবাইল কোর্ট নামানো হয়েছিল।
নির্ধারিত দামের বেশি দামে চিনি ও তেল বিক্রি করলে জরিমানা গুনতে হবে_এ অজুহাতে দোকানে চিনি আনা বন্ধ করে দিয়েছিলেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বললেন, পরিবেশক প্রথা চালু হলেও মিলমালিকরা পরিবেশকদের বাদ দিয়ে পণ্য দিচ্ছেন পুরনো ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) ব্যবসায়ীদের_তাঁরাই পণ্য সরবরাহে গড়িমসি করছেন। আবার কয়েকটি বড় বড় মিল উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। বন্দরে জাহাজ পড়ে থাকলেও চিনি খালাস করছেন না কিছু কিছু ব্যবসায়ী।
সব মিলিয়ে রমজানের আগেই চিনির বাজার অস্থির হয়ে পড়ছিল।
কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগও চালু রেখেছে সরকার। কয়েক দিন ধরে চিনির বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সন্ধ্যায় ভোজ্য তেল ও চিনির মিলমালিক এবং এসব পণ্য বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী ও চালকল মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন। গণভবনের ওই বৈঠকে প্রায় ৪০ জন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চিনির দাম ও সরবরাহ নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চিনির দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চান। তখন ব্যবসায়ীরা বলেন, পরিবেশক প্রথা চালুর পর মিলমালিকরা আগে ঢাকার বাইরে চিনি পাঠিয়েছেন। ফলে ঢাকায় চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। চারটি চিনিকল বন্ধ ছিল।
ফলে চিনির উৎপাদন কম। তা সত্ত্বেও দেশে এক লাখ ৩৮ হাজার টন চিনির মজুদ রয়েছে। তাই চিনির কোনো সংকট নেই। আরো দুই লাখ টন চিনি আমদানির পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারে চিনির সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার সরবরাহ আরো বাড়বে। ফলে সারা দেশেই খুচরা পর্যায়ে চিনি সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় বিক্রি হবে। বৈঠকে এস আলম গ্রুপের প্রতিনিধি আবদুুস সামাদ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁরা চট্টগ্রামে এক টাকা কমিয়ে ৬৪ টাকা দরে বিক্রি করবেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, 'আপনাকে কমে বিক্রি করতে হবে না। ৬৫ টাকায় সাধারণ মানুষ চিনি খেতে পারলেই আমি খুশি।
'
মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, 'রমজানে জনগণ যাতে কষ্ট না পায়, সে জন্য আপনারা একটি মাস মুনাফা করবেন না। আর মিলমালিকরা নির্ধারিত দামে পরিবেশকদের পণ্য দিতে না পারলে তা টিসিবি ও বাংলাদেশ সুগার মিল করপোরেশনকে দিতে বলেছেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত সব ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছেন, তাঁরা নির্ধারিত দামেই পণ্য বিক্রি করবেন। তবে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। '
পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভুট্টো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে সম্প্রতি চিনির দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের জন্য ব্রাজিলে বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন আমদানিকারক মিলমালিকরা।
বৈঠকে দুজন মিলমালিক বলেছেন, ব্রাজিলে বৃষ্টি হওয়ায় তাদের পণ্য জাহাজে ওঠাতে ১৫-১৬ দিন বিলম্ব হয়েছে। দেরিতে পণ্য পেঁৗছানোর জন্য জাহাজ সংকটকেও দায়ী করেন তাঁরা।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ঢাকায় পরিবেশকদের চিনি সরবরাহ বন্ধ ছিল বলে সংকট তৈরি হয়েছিল। ঢাকায় কেন বন্ধ ছিল_জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীকে মিলমালিকরা জানান, ঢাকার বাইরে পণ্য যেতে দেরি হয় বলে তাঁরা আগে সেখানে সরবরাহ করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় সরবরাহ শুরু হয়েছে।
এখন আর সংকট হবে না।
ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, বন্ধ থাকা চারটি মিলের মধ্যে তিনটি উৎপাদন শুরু করেছে। এগুলো হলো এস আলম, দেশবন্ধু ও মেঘনা গ্রুপের ইউনাইটেড সুগার মিল।
সভায় মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, অস্ট্রেলিয়ার এক সরবরাহকারীর মাধ্যমে তিনি ব্রাজিল থেকে চিনি আমদানির চুক্তি করেন। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় ওই রপ্তানিকারক চিনি রপ্তানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে মোস্তফা কামাল অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের মাধ্যমে সে দেশের সরকারের কাছে অভিযোগ করেছেন বলেও সভায় জানান তিনি। মোস্তফা কামাল আরো জানান, ব্রাজিলে জাহাজ না পাওয়ায় তিনি বাংলাদেশ থেকে নিজের খালি জাহাজ পাঠিয়েছেন। এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে তিনি ব্রাজিল থেকে চিনি আমদানি করেছেন।
সভায় এস আলম গ্রুপ ও দেশবন্ধু সুগার মিলের পক্ষ থেকেও বৃষ্টিকে দায়ী করা হয়। এস আলম গ্রুপের প্রতিনিধি জানান, তাঁদের কারখানা সম্প্রসারণের জন্য বন্ধ ছিল।
এর পরও রমজানের কারণে তা চালু করা হয়েছে। সভায় ব্যবসায়ীরা চিনির দাম বাজারে ৬৫ টাকার বেশি হতে দেবেন না বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। সরবরাহ ঠিক রাখবেন বলেও অঙ্গীকার করেন তাঁরা।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং সেলের সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন মোনেম, দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, এস আলম গ্রুপের আবদুস সামাদ, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা, ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হাবিব, উত্তরবঙ্গ চালকল মালিক সমিতি ও নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক : এদিকে বাজারে চিনির সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল চিনির মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন।
সেখানে চিনির সংকটের জন্য ঢাকায় চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যহীনতাকে দায়ী করে তা আজ সোমবারের মধ্যেই কাটিয়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, সোমবারের মধ্যেই সব খুচরা দোকানে ৬৫ টাকায় চিনি পাওয়া যাবে।
বৈঠকের পর ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে চিনির অভাব দেখা দিয়েছিল। ঢাকায় যে পরিমাণ চিনি সরবরাহ করার কথা ছিল পরিবেশকরা মিলমালিকদের কাছ থেকে তা পাননি। উল্টো জেলা পর্যায়ে সরবরাহ বেড়ে গিয়েছিল।
এর আগে শনিবার কারসাজির সঙ্গে জড়িত মিলমালিকদের শোকজ ও ডিও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শনিবার রাত থেকেই মিলমালিকরা ঢাকায় চিনির সরবরাহ বাড়াতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে কোনো কোনো মিলমালিক ঢাকায় খোলাবাজারে তেল-চিনি বিক্রি শুরু করেছেন। আগামী তিন দিনে আরো দেড় হাজার টনেরও বেশি চিনি ঢাকার বাজারে সরবরাহ করবে মিলগুলো। ফলে ব্যবসায়ী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন, আজ-কালের মধ্যেই চিনির বাজার স্থিতিশীল হবে এবং সর্বত্রই ৬৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি হবে।
আট ব্যবসায়ী সনাক্ত : গত কয়েক দিন চিনির বাজার অস্থিতিশীল করার দায়ে মৌলভীবাজারের আটজন ডিও ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া মেমোতে দেখতে পায়, ওই ডিও ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও অনেক বেশি দামে চিনি বিক্রি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। মেমোর সূত্র ধরে চিহ্নিত আট ডিও ব্যবসায়ীর মধ্যে রয়েছে মেসার্স হাজি ইকবাল, জাব্বার অ্যান্ড ট্রেডার্স, মা ট্রেডার্স, শাহিন ট্রেডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠান, আর কে ট্রেডার্স ও আবদুর রশিদ অ্যান্ড সন্স। এসব ডিও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ইতিমধ্যেই ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গতকাল পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
আর পরিবেশকদের চিনি সরবরাহ না করার কারণে দেশবন্ধু, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ ও টিকে গ্রুপকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ঢাকায় সরবরাহ শুরু : শনিবার থেকেই ঢাকার বাজারে চিনি সরবরাহ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। ওই দিন রাতে আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারি কারওয়ান বাজারে ৩০ টন, মৌলভীবাজারে ২০০ টন, নিউ মার্কেটে ২০ টন ও মোহাম্মদপুরের বাজারসহ ঢাকায় মোট ৩০০ টন চিনি সরবরাহ করেছে। সিটি গ্রুপ গতকাল পর্যন্ত ৮০০ টন চিনি পরিবেশকদের সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে ঢাকার পরিবেশকদের দেওয়া হয়েছে ১১২ টন।
দেশবন্ধু সুগারও ঢাকার পরিবেশকদের ১৬০ টন চিনি দিয়েছে। আর মেঘনা গ্রুপের চিনি উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৭ জুলাই থেকে চিনি উৎপাদন ও সরবরাহ করবে গ্রুপটি। এ ছাড়া সিটি গ্রুপ রবিবার সকাল থেকে ঢাকার ছয়টি পয়েন্টে মোট ৩০ টন চিনি খোলাবাজারে ৬৫ টাকা করে বিক্রি শুরু করেছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, প্রেসক্লাব, সাতমসজিদ রোড, ফার্মগেট ও মহাখালীর প্রতিটি পয়েন্টে পাঁচ টন করে চিনি বিক্রি করছে সিটি গ্রুপ।
এর সঙ্গে প্রতি পয়েন্টে এক লিটার সয়াবিনের তিন হাজার ৬০০টি বোতল বিক্রি করছে গ্রুপটি। এস আলম গ্রুপ চট্টগ্রামের চারটি পয়েন্টে ৬৫ টাকা দরে চিনি বিক্রি শুরু করেছে। এ ছাড়া আগামী তিন দিনের মধ্যে আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারি ৩০০ থেকে ৪০০ টন, সিটি গ্রুপ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টন ও দেশবন্ধু সুগার মিল ১৫০ থেকে ২০০ টন চিনি সরবরাহ করবে। ঢাকার আটটি পয়েন্টে খোলাবাজারে ৬৫ টাকা দরে চিনি বিক্রির কথা দেশবন্ধুর। ফলে শিগগিরই চিনির বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র ঃ কালের কণ্ঠ, ২৫/০৭/২০১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।