আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহুদি সম্প্রদায় : অত্যাচারিত থেকে অত্যাচারী : বর্তমান পৃথিবীর শাসক ও সুপারপাওয়ার : (৪র্থ পর্ব)

মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে। N.B : নিচের অংশটুকু ইহুদি সম্প্রদায় : অত্যাচারিত থেকে অত্যাচারী : বর্তমান পৃথিবীর শাসক ও সুপারপাওয়ার : (৪র্থ পর্ব) - এর শেষ অংশ, যেটি বাগ/টেকনিক্যাল্ সমস্যার কারণে একসাথে আসেনি। ১ম অংশ নিচের লিংকে Click This Link এরপর নিচের অংশটুকু। অনিচ্ছাকৃত এ সমস্যার জন্য দুঃখিত। -------------------------------------------------------- ইতোপূর্বে আমরা ফিইফা সম্পর্কে অবগত হয়েছি যে আল্লাহপাক বনি ইসরাঈলের বংশধরদের শেষ শাস্তির জন্য অভিশপ্ত ভূমি ফি-ই-ফা তে সকলকে একত্রিত করবেন।

যখন বনি ইসরাঈল ফি-ইফাতে একত্রিত হয়ে যাবে- পৃথিবীতে আর কখনো ‘আরদুল মুকাদ্দাস’ অবশিষ্ট থাকবে না। কারণ পূর্বে যাকে আরদুল মুকাদ্দাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিলো ভালো সম্প্রদায়ের জন্য, তাকে এখন দুষ্ট প্রকৃতির বনি ইসরাঈলের জন্য ফিইফা-তে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সুতরাং বনি ইসরাঈলের একত্রিত হওয়ার ঘটনাটি দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যার একটি হলো- তাদের একত্রিত হওয়ার দৃশ্যটি তাদেরই ধ্বংস হবার একটি বলিষ্ট প্রত্যয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর তারা প্যালেষ্টাইনে একত্রিত হয়েছে এবং এই ভূমিতে এক বিশেষ পদ্ধতিতে অত্যাচারের গিরিমালা তৈরি করেছে পৃথিবীর ইতিহাসে যার দ্বিতীয় নজির নেই। বৈশিষ্ট্যে ও উপাদানে এই অত্যাচার প্রক্রিয়াটি এমন যে তাদের অনন্য অমানবিক অত্যাচারের চক্রটিক ধারণ করে রেখেছে একটি শক্তি যা পৃথিবীর মানবতা, কল্যাণ, শান্তি ও ন্যায় বিচারের শিক্ষা দেয় এবং সমস্ত বিশ্বের পুলিশ হিসেবে কাজ করে।

অন্যান্য জাতি কোন অন্যায় কিংবা সীমালংঘন করলে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি প্রয়োগ দ্বারা সে দেশটি তথাকথিত শান্তি ও ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু সে জাতিটি বনি ইসরাঈল তথা ইসরাঈল রাষ্ট্রের সীমালংঘনকে নির্লজ্জভাবে সাহায্য করে। ইরাককে আক্রমন করার সর্ববৃহৎ কারণসমূহের একটি ছিলো ১৪টি ইউএন রেজুলেশন ভঙ্গ করা। একই সময় ইসরাঈল ৯৬টি ইউএন রেজুলেশন অমান্য করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর একটি শব্দও উচ্চারিত হয়নি।

ফিইফা-তে আগত ও জমায়েত হওয়া জাতিটি সমস্ত আরব ইতিহাসের সবচাইতে জগন্য পদ্ধতির হত্যা, পাশবিক অত্যাচার, লুন্ঠন, জবরদখল, আবাসিক অঞ্চলসমূহ জীবন্ত মানুষ সমবেত ডেমোলিশন ইত্যাদি জাতীয় অন্যায় করেও সামান্য সমালোচনার সামনে আসছে না। এই নিশ্চিত নিরাপত্তা ও হত্যা এবং ধ্বংসের লাইসেন্স যদিও আপাত দৃষ্টিতে একটি নিরাপদ পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তথাপিও সৃষ্টির নিয়ম অনুযায়ী আর একটি নিশ্চিত সমাপ্তি রয়েছে এবং তার নিশ্চিত প্রতিফলনও রয়েছে। যেহেতু অত্যাচারের মাত্রাটি অতিশয় বর্বর, সেহেতু তাদের ভাগ্যও আশা করা যায় একটি পরিণতি যা হবে অতি নির্মম এবং ইতিহাসে উপমা হবার যোগ্য। আমরা বনি ইসরাঈলের একত্রিত হবার দৃশ্য দেখেছি, অস্বাভাবিক অত্যাচারের ঘটনাটি দেখছি এবং এই অস্বাভাবিকতা হতেই প্রতিক্রিয়াটি এখন কিংবা পরবর্তীতে আশা করা যায় তাদের জন্য অকল্যাণের আকাশ উন্মূক্ত করে ধরবে। দ্বিতীয় তথ্যটি হলো একটি সমীকরণের মত।

এই সমীকরণটি সময়কে বুঝতে সাহায্য করে, চিহ্ণিত করে দুটি জাতি সত্তাকে যারা এই পৃথিবীতে ফ্যাসাদ আবাদ করে বেড়ায়। এই সমীকরণটি চিহ্ণিত করে প্রকৃতই ইয়াজুজ-মা’জুজ নামক জাতি দুটিকে - “হারামুন ‘আলা ক্বারইয়াতিন আহলাক্বনাহা আন্নাহুম লা ইয়ারজিয়ো’ন (২১:৯৫) হাত্তা ইয়া ফুতিহাত ইয়াজুজ ওয়া মা’জুজ ওয়াহুম মীন কুল্লি হাদাবিন ইয়ানসিলূন” (২১:৯৬) অর্থাৎ ঐ ক্বারিয়াত (যার কেন্দ্রীয় ভূমি জেরুজালেম) হারাম করা হয়েছে তাদের জন্য যারা এখানে বসবাস করতো, আর তারা সেথায় প্রত্যাবর্তন করার সুযোগ পাবে না (২১:৯৫); ততদিন পর্যন্ত যতদিন না ইয়াজুজ-মা’জুজ নামক দুটি সম্প্রদায় তাদেরকে ঐ ক্বারিয়াতে আবার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবে; আর ইয়াজুজ-মা’জুজ এই সম্প্রদায়সমূহ পৃথিবীর সকল শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠিত রয়েছে যার কারণেই স্রষ্টার নিয়মের লংঘন ঘটিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে কেনান বা প্যালেষ্টাইনে প্রতিষ্ঠা দেবে তারা। এই আয়াত সমূহের সমীকরণ সৃষ্টি করা হলে তা এই দাঁড়ায় জেরুজালেমই একমাত্র শহর যার অধিবাসীগণকে আল্লাহপাক ধ্বংস করেছেন এবং দুই বার তাদেরকে ঐ পূণ্যভূমি হতে বহিষ্কার করেছেন যার দ্বিতীয় নজির ইতিহাসে নেই। খৃষ্টপূর্ব ৫৮৭ বেবিলনীয়ান সেনাবাহিনী বুখতে নসর (Nebuchadnezzar) ইহুদীদের পদানত করে, তাদের মসজিদ ধ্বংস করে (এই মসজিদুল আকসা তাদেরও মসজিদ ছিল, সিনাগগ নয়) ও জেরুজালেম বিধ্বস্ত করে ইহুদীদের দাসে পরিণত করে। পারশিয়ানরা পরে বিজেতা হিসেবে আসে এবং তাদেরকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

খৃষ্টপূর্ব ৭০ অব্দে আবার তারা রোমান সেনাবাহিনী হাতে বিপর্যস্ত হয় (Titus); তারা ইহুদীদের আবার দাসে পরিণত করে কতিপয়কে এবং বিতাড়িত করে অন্যদের, তাদের উপাসনালয় ভেঙ্গে দেয় এবং সারা দুনিয়ায় তারা ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়। পৃথিবীর ২০০০ বছরের পূর্ব ইতিহাসে একমাত্র ইহুদী জাতির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে যে তারা তাদের মাতৃভূমি হতে বিতাড়িত হবার পর সেখানে আর প্রত্যাবর্তন করতে সক্ষম হয়নি। জেরুজালেম নগর যেন তাদেরকে বহিষ্কার করেছে এবং দ্বার রুদ্ধ করে দিয়েছে। আমরা এখন দেখছি সেই বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া ইহুদীরা আবার সমবেত হয়েছে একটি অখন্ড রাষ্ট্রীয় সত্তার একটি ভূমি খণ্ডে (প্যালেষ্টাইন) একটি সুনির্দিষ্ট ইতিহাস সৃষ্টিকারী ব্যবহার পদ্ধতিতে (গণ-অত্যাচার যার তুলনা নেই)। সুতরাং সমীকরণ করা হলে তা দাঁড়ায়- বনি ইসরাঈল একত্রিকরণ ∞ ইয়াজুজ-মা’জুজের দুনিয়া জোড়া নিয়ন্ত্রণ।

অর্থাৎ ইয়াজুজ-মা’জুজ = দুনিয়ার শীর্ষতম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে যারা (রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায়, ব্যক্তি) প্রচলিত তফসীরসমূহের কতকে ইয়াজুজ-মা’জুজ সম্পর্কে এমনও ধারণা দেয়া হয়েছে যে উঁচু উঁচু পাহাড় হতে লাফিয়ে লাফিয়ে নেমে আসবে একটি বিশেষ জীব যার লক্ষ্যবস্তু হবে মুসলমান। তারা এসে একসঙ্গে পৃথিবীর সমস্ত পানি চুষে খেয়ে ফেলবে। কোরআন এমন সব ব্যাখ্যায় কোন দায়িত্ব বহন করে না। ইয়াজুজ-মা’জুজ সম্পর্কে সহীহ মুসলিমে পরিষ্কার ধারণা দেয়া হয়েছে যে- ইয়াজুজ-মা’জুজ বনি আদম বৈ কিছুই নয়। মূলত এরা কোন জীব নয়- ওরা মানুষেরই সম্প্রদায় একটি বিশেষ জাতি - বিশেষ প্রক্রিয়ায় সুচিহ্ণিত।

আমরা ইয়াজুজ-মা’জুজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। এ পর্যায়ে শুধু একটি বিষয়ে আমরা পরিষ্কার হতে চাই যে কোরআনে উল্লিখিত আয়াত দু’টিতে আমাদেরকে একটি সুষ্পষ্ট তথ্য দেয় সময়ের বিষয়ে- এই সময়টির মাপকাঠি হলো ‘ক্বারিয়াত-এ’ বনি ইসরাঈলের একত্রিত হওয়ার সময়টি। সেই সময়ে পৃথিবীর বুকে একটি উপসর্গ প্রাধান্যসহ কাজ করবে। এই উপসর্গটির নাম হলো ইয়াজুজ-মা’জুজ। অর্থাৎ যখন ২০০০ বছর পর ইহুদীরা একটি রাষ্ট্রের পত্তন করেছে- সে সময়টিতে পৃথিবী ইয়াজুজ-মা’জুজের নিয়ন্ত্রেণে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

অর্থাৎ নভেম্বর ১৯৪৭ সনের পর হতে (Balfour Declaration) পৃথিবী ক্রমাগতই ইয়াজুজ-মা’জুজের নিয়ন্ত্রণের জালে আবদ্ধ হয়ে যায়। যারা ইহুদী জাতি সত্তাকে প্যালেষ্টাইনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করিয়েছে তারা হলো ইংরেজ জাতি (যার মূলে ইউরোপিয়ান ইহুদী) এবং যারা এই জাতির অস্তিত্বকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে তুলেছে তারা হলো আমেরিকা। অতএব গ্রেট ব্রিটেন ও আমেরিকার সাথে সংশ্লিষ্ট জাতিসত্তাই হবে কোরআনের উপসর্গ অনুযায়ী ইয়াজুজ-মা’জুজ। যেহেতু (২১:৯৬) আয়াতে ইয়াজুজ-মা’জুজের শক্তির প্রবাহ পৃথিবীর সমস্ত শীর্ষস্থানসমূহ হতে প্রবাহিত হবার প্রস্তাব এসেছে। হাত্তা ইয়া ফুতিহাত ইয়াজুজ ওয়া মা’জুজ ওয়াহুম মীন কুল্লি হাদাবিন ইয়ানসিলূন” (২১:৯৬) তখন ইয়াজুজ-মা’জুজ যুগের সূচনা ঘটবে এবং তারা শক্তির প্রবাহ পাত ঘটাবে পৃথিবীর ক্ষমতা শীর্ষ বিন্দুসমূহ হতে।

আর এ শর্তটি পূরণ করবে বনি ইসরাঈলের সেই ক্বারিয়াত-এ প্রত্যাবর্তনের কিংবা প্রতিষ্ঠিত করা দ্বারা। আর মুসলমানদের ভূমিকা হবে- স্বয়ং আল্লাহপাক ক্বারিয়াতের অত্যাচার প্রতিহত করার জন্য মুসলমানদের ৪:৭৫ আয়াতে সুস্পষ্ট সনাক্তকরণ নিদর্শন/নির্দেশনা? দিয়ে দেয়া সত্ত্বেও দুনিয়ার মুসলমান জাতি এই অত্যাচারের প্রশ্নে থাকবে অনভিপেক্ষ ও নীরব। [ তার সাথে জায়নবাদীরা পৃথিবীর শীর্ষ শক্তি বিন্দুগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, সেই শক্তি প্রয়োগ দ্বারা অন্যায়ভাবে ইসরাঈলকে প্রতিষ্ঠিত করবে এমন একটি সময় যখন সেই ‘আরদুল মুকাদ্দাস’ পরিণত হয়েছে নরক অগ্নি বা ফি ই ফা-তে। এ সময়ের অপর বৈশিষ্ট্য হলো যে- পৃথিবী শান্তি হারিয়েছে। কারণ পবিত্র ভূমি এখন ফি-ই-ফা।

আর এই পবিত্র ভূমি সকলকালে পৃথিবীর শান্তির মানদণ্ড- তাতে শান্তি থাকলে, বিশ্বে থাকবে শান্তি, তাতে অশান্তি বিরাজ করলে বিশ্ব ডুবে যাবে অশান্তিতে। আল্লাহপাক যাকে পবিত্র ভূমি ঘোষণা করেছেন- সহস্র সহস্র নবীকুলের পদধূলিতে ধন্য, সে ভূমিই ইসলামের সূতিকাগার। আজ সে ঐতিহ্যের মাটিতে জ্বলছে আগুন - এখন সে ফি-ই-ফা ] বলা বাহুল্য যে বৃটিশ সাম্রাজ্যের সর্বময় শক্তি দ্বারা ইসরাইলকে প্রতিষ্ঠা দান করার পর আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এখন প্রবল শক্তি প্রয়োগের দ্বারা কেবল ইসরাঈলের প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে জায়নবাদীদের ইচ্ছায় পূজা করে যাচ্ছে। ২১:৯৫ আয়াতের সঙ্গে ২১:৯৬ আয়াত অতিশয় সুদৃঢ়ভাবে সম্পর্কিত। মূলত আয়াত ৯৬ পূর্ববর্তী ৯৫ নম্বর আয়াতেরই ক্রমবিকাশ বা ফলোআপ।

সাধারণ যুক্তিযুক্ত কারণেই অনুমেয় যে বনি ইসরাঈলদের ক্বারিয়াত নিষিদ্ধকরণ (২১:৯৫) ও পরে তা বনি ইসরাঈলদের প্রত্যাবর্তনের জন্য উন্মুক্ত হওয়া (২১:৯৬) - এ দুটি ঘটনার সাথে কোন অতিপ্রাকৃতিক জীবের উচ্চ পাহাড় হতে লাফালাফির প্রয়োজন নেই। আমরা যা দেখেছি- ক্বারিয়াত ২০০০ বছর বনি ইসরাঈলদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল এবং সে ক্বারিয়াতে আবার তাদের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। কোরআন যা বলেছে তা হলো- এ ক্বারিয়াতে প্রত্যাবর্তনকে যারা সম্ভব করে তুলবে তারা হলো ইয়াজুজ-মা’জুজ। (জায়নবাদী ইহুদী ও জায়নবাদী খৃষ্টান)। তাদের প্রকৃতি সম্বন্ধে যা বলেছিলাম, তা হবে - তারা উচ্চতর অবস্থানে অধিষ্টিত থাকবে।

“ওয়াহুম মীনকুল্লী হাদাবিই ইয়ানসিলূন” - এবং তারা সমস্ত উচ্চতর অবস্থান হতে উৎসারিত হবে। কী উৎসারিত হবে? ইয়াজুজ-মা’জুজের ‘ফুতিহাত’ কিংবা ইয়াজুজ-মা’জুজের প্রকাশ ও প্রভাব। পৃথিবীতে এই দৃশ্যটি এখন খুব সুস্পষ্ট। যারা বনি ইসরাঈলকে একত্র করেছে, সাহায্য করেছে, প্রতিরক্ষা প্রদান করেছে, তাদের প্রভাব সমস্ত উচ্চতর অবস্থান হতে উৎসারিত হচ্ছে- এ বিষয়টি বর্তমানে আমেরিকা ও গ্রেট ব্রিটেনের দিকে তাকালে আয়নার প্রতিফলনের মত দেখা যায়। অতএব উঁচু পাহাড় হতে লাফিয়ে লাফিয়ে নেমে আসা ইয়াজুজ-মা’জুজের দৃশ্য একটি কাল্পনিক চিত্র মাত্র।

এর দায় কোরআন বহন করে না। পক্ষান্তরে পৃথিবীতে অর্থনৈতিক প্রভুত্বে, ক্ষমতায়, বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, নিয়ন্ত্রণে ইত্যাদির সর্বত্র শীর্ষ বিন্দুগুলোকে তারাই নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে যারা ইসরাঈলের ত্রাণকর্তা। তারাই ইয়াজুজ-মা’জুজ। একের সহযোগী অন্যজন। হাদীছ বলেছে- তাদের সাথে থাকবে সাহায্যকারী- ‘আহলে ইয়াজুজ-মা’জুজ’।

দুনিয়ার অপরাপর জাতিদের সমাবেশ। “কোয়ালিশন অব্ উইলিং” এবং “কোয়ালিশন ফোর্স”। এইসব ইসলাম বিধ্বংসী নেশামত্ত কোয়ালিশন সমূহের হাতকে বলিষ্ঠ করে যারা, তাদের সুবিশাল অংশ মুসলমান। সুনিশ্চিত আহলে ইয়াজুজ-মা’জুজের পরিবারভূক্ত আল্লাহ বিদ্রোহী ও নবী (সাঃ)-এর সম্পর্কে বিচ্ছিন্নকারী ধর্মে মুসলিম নামীয় প্রকাশ্যে শয়তান অনুসারী কুফ্‌ফার- "কাইফা ইয়াহদিল্লাহু ক্বাওমান কাফারু বা’দা ঈমানিহিম” - এ জাতি (মুসলমান) নিয়ে আল্লাহপাকের এই তো সুস্পষ্ট অভিযোগ! “উলাইকা জাজা’উহুম আন্না আলাইহিম লা নাতাল্লাহি, ওয়াল মালাইকাতি, ওয়ান্নাসি আজমাঈন- (৩:৮৭)। এরা তো এমন মুসলমান যাদের প্রতি অবধারিত আল্লাহর লা’নত, ফেরেশতাদের লা’নত এবং লা’নত মানবজাতির।

** প্রচলিত সমস্ত তরজমা ও তাফসীরে ‘ফি-ইফা’- কে mingled crowd বা মিশ্রিত জাতিসত্তা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি একটি বৈধ ও উপযুক্ত তরজমা বটে। ইসরাঈল এখন এমন বড় রকমের সংকর জাতিসত্তা যার মৌলিকতার প্রশ্নে তারা সদা গর্বস্ফীত। এর সত্যাসত্য কতটুকু মৌলিক তা আমরা খুব সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাই আজকের ইসরাঈলে। চলবে …………. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।