বুধবার ১৩ই মার্চের পত্রিকায় দেখলাম আওয়ামীলীগের এক নেত্রী মতিয়া চৌধুরী বললেন সংলাপে বসতে সরকার প্রস্তুত দুইদিন না যেতেই ১৫ মার্চ আজকের পত্রিকায় দেখি ভিন্ন কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করবে না সরকার।
এর মানে টা কি দেশের মানুষকে ওরা ছাগল পেয়েছে যে যখন যা খুশী দিবে আর মানুষ ছাগলের মতো তা খাবে। সরকারের মুখ কয়টা বুঝতে পারতেছি না।
সাগর-রুনির হত্যার ঘটনার সময় সরকার বলেছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর অপরাধীদের বিচার করা হবে, আজো কি আপনাদের ২৪ ঘণ্টা হয় নি ??
আবুল এত বড় পদ্মা সেতু দুর্নীতি করল তাকে দেওয়া হল দেশপ্রেমিক একই ভাবে রেলের চুরঙ্ঘিতকেও।
জামাত শিবিরকে আপনারা লালন-পালন করে বড় করেছেন।
আজ আবার আপনারাই তাদের বিচারের নামে মারছেন এই দেশের সাধারণ মানুষদের।
ভিটামিন এ ক্যপসুল নিয়ে দেশে ঘটালেন এত বড় একটা লজ্জাহীন ঘটনা।
যারা সরাসরি এই ক্ষতির স্বীকার তারা কি আর এই সব খাওয়াবে ???
কয়দিন পর আবার আছে জাতীয় পোলিও টীকা দিবস একবার ভেবে দেখুন কয়জন মানুষ সেটা খাওয়াবে ।
পদ্মা সেতু শুরু করে ব্যাংক,ধর্ম............এই সবের পর আজ আবার শুরু করেছেন এই ৭১’এর পাকিস্তানিদের মতো আর এই দেশের রাজকারদের মতো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার মতো এই দেশের শিশুদের হত্যা করার মতো কাজে।
আপনারা কি সরকার গড়েছেন যে, একমন্ত্রী মন্তব্য করলে তা আরেক মন্ত্রীর কথার সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে যায়।
আপনারাই আবার চোরের মার বড় গলায় বলেন, ও কিছু বুঝে নাকি ।
এখন আবার চাচ্চেন ক্ষমতায় থেকে আবার ক্ষমতায় যেতে। এই অপকর্ম কিন্তু বিএনপিও করেছিল ৯৬, ভুলে যাবেন না তারাও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে গেছে আপনারাও হবেন। লোভের সাগরে না পড়ে বরং এই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির পথ তৈরি করে দিন, তবে জনগণ আপনাদেরই আবার দিতে পারে সুযোগ। যা হওয়ার তা হয়েগেছে এখন এই নীতিগুলো বাস্তবায়ন করে সুষ্ঠ নির্বাচন দিন জনগণ আবার আপনাদের সুযোগ দিবে মনে রাখবেন।
১.একটি রাজনৈতিক দলের কেউ কেবল একবারই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে।
অথবা, একটি রাজনৈতিক দলের কেউ পর পর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না ।
জনগণই আলাদা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবে।
২. সংরক্ষিত আসন ১০ এর কম হতে হবে।
৩. সরকার প্রধান ৬ মাস পর পর মিডিয়ার নিকট উন্মুক্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে এবং দেশ পরিচালনার সকল তথ্য দেশবাসীকে জানাতে হবে ।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে প্রতি ৩ মাস পর পর তার কার্যক্রম সম্পর্কে উন্মুক্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে এবং দেশ পরিচালনার সকল তথ্য দেশবাসীকে জানাতে হবে ।
৪. দুদকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে, দুদক যেন যে কোন মুহূর্তে যে কারো বিরুদ্ধে মামলা এবং তাৎক্ষণিক আইনী ব্যবস্থা নিতে পারে করতে পারে।
৫. মিডিয়াকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে, কিন্তু কোন মিডিয়া যদি কোন ছোট ব্যাপারকে বড় ব্যাপার বানায় তবে তাদের বড় রকমের শাস্তির বিধান রাখতে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দলীয় মনোভাব নিয়ে গড়ে তুলতে হবে ।
৬. ঘোষণা করতে হবে যে ব্যাক্তি বা মিডিয়া কোন দুর্নীতির খবর প্রমান সহ ফাঁস করতে পারবে তাকে তার ১০% বা বেশি দেয়া হবে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
৭। সংসদকে আর কার্যকরী করতে হবে, সেখানে কাজ করার পরিবর্তে যেন ঝগড়ার অনুশীলন করতে না পরে ।
৮। সবার জন্য আইন সমান সেটার বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন আজকাল রাস্তায় মন্ত্রী-এমপিরা বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকে এবং অনেক সময় পুলিশ তথা প্রশাসনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে সেটা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দিতে হবে।
অর্থাৎ অফিস চলাকালে একটু সুবিধা নিতে পারে, অফিস সময়ের পর আইনের কাছে সবাই সমান, কোন ছাড় দেয়া হবে না।
৯। সাধারনত আমাদের দেশে মন্ত্রী গণ যখন রাস্তায় বের হয় তখন তাদের জন্য ট্রাফিক দিয়ে রাস্তা একদিকে খালি করে অন্য দিকে জ্যাম দিয়ে চলে সেটা বন্ধ করে দিতে হবে। তবে বিশেষক্ষেত্রে কেবল অফিসের সময় এই সুবিধা দেয়া যেতে পারে ।
১০।
সরকারী চাকরি করা অবস্থায় কেউ সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিতে পারবে না, অর্থাৎ কর্মস্থলে এমন কোন কর্মকান্ড করা যাবে না, যাতে বুঝতে পারা যায় সে কোন দলের লোক।
১১। ছাত্রসংগঠন অর্থাৎ ছাত্ররাজনীতি থাকবে এই সব থাকবে কিন্তু মূল দলের সাথে লিংক থাকবে না সেটা হবে সম্পূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক।
প্রত্যেক শিক্ষাকেন্দ্রে আলাদা আলাদা ছাত্র সংঘটন নির্বাচন, নির্বাচিতরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সকল সমস্যা ছাত্র উপদেষ্টাকে জানাবে,তারপরও কোন সমাধান না পেলে তাদের দাবি যদি ন্যায্য হয়, প্রয়োজনে ছাত্র আন্দোলনের ডাক দিবে। মূল কথা হচ্ছে, দলের সাথে তাদের কোন লাভ লোকসানের হিসাব থাকবে না।
১২। মিডিয়াকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হবে যে কোন রিপোর্ট যেন করতে পারে, যেন তাদের কোন আইনী ঝামেলায় না পরতে হয়, আর ব্যাত্রিক্রম করলে তাদের বড় ধরণের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ১৩। কর্তব্যরত পুলিশ কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনীর কোন লোক মারা গেলে তার পরিবারের দায়িত্ব নেবে সরকার। ১৪।
সরকারী চাকুরীতে পদ উন্নয়ন হবে সম্পূর্ণরূপে জৌশঠতার ভিত্তিতে।
তাছাড়া আপনাদের কপাল পুড়তে বেশি দিন লাগবে না।
এই দাবি গুলো আমাদের সবার উচিৎ বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারকে চাপ দেয়া।
ইচ্ছে করলে আমাদের এই গ্রুপে যোগ দিতে পারেন>>
https://www.facebook.com/groups/REALPOLITICS1/
।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।