আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষোভ

শাকিলা তুবা উৎসর্গঃ রুমানা মনজুর সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই শহরটা এসে ঘরে ঢোকে কাল রাতে কে বা কারা ফালি ফালি করে গেছে চাঁদ অজান্তেই থু থু ছুঁড়ে দিই কামারশালায় লোহা পেটানো বুড়োর দিকে ছুটছে মানুষ---কোত্থেকে কোথায় গড়িয়ে যাচ্ছে এইসব ফালতু রেলগাড়ী? বাতাসের ঘূর্ণনে জ্বলন্ত চুল্লী ঝুলিয়ে দেখেছি কতটা বইতে পারে! রেললাইনের উপর বন্ধুদের নিয়ে শুয়ে থাকতাম এক সময় সিগারেটের আগুন নিভে যাবার আগেই ওরা পারুলদের ঘরে একটা হরিনের আশায় বসত গড়েছিলাম জঙ্গলে সমকামী হয়ে গেলেই ল্যাঠা যেত চুকে শুধু শুধু বস্তা বোঝাই হয়েছে নীল, সবুজ, কালোর মত হাবিজাবি চোখে করমচা লাল চোখে খোঁচা দিয়ে দেখেছিলাম, একফোঁটা টক জল গড়িয়েছিল। নিরন্ন মানুষের কাছে তেলেভাজা জলখাবার আবার কি? পোকা মাকড়ের বসতি থেকে কোন গুবড়েটার ঘর কবে ভেঙ্গেছি, বলো! তবু দোষ নিয়ে নিই নিজের কাঁধে হর-হামেশা পারুল নামের মেয়েটা এখনো এসে কাঁদে আমার রাতঘুমে হামাগুঁড়ি দিয়ে আমি তখন আকাশের লাগোয়া দেয়াল বাইছি চাঁদের শরীর থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত আমার ঘিলু, অস্থি, মজ্জা নাড়িয়ে দিয়ে গেল। সেদিন যে কান্না রুখতে পারিনি যে নগ্নতায় নিজেকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর ভেবেছি আজও কি কব্জিতে সে শক্তি আসেনি ফেরত? ফের যদি শহর আমার ঘুম ভাঙ্গা সকালটাকে নষ্ট করে খোদার কসম, লোভী সব চোখে ত্রিশূল গেঁথে দেব নিজের নিয়মে। (এই কবিতাটা লিখেছিলাম রুমানা মনজুরের ঘটনাটা যেদিন পত্রিকায় প্রথম দেখেছিলাম)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।