"আমারে ফিরায়ে লহো অয়ি বসুন্ধরে, কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে"-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১।
২০ বলে আর ১৮ রান লাগবে। টান টান উত্তেজনা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের একনিষ্ট ভক্ত রিক। কলিনউড ব্যাটিং এ।
ম্যাচ এবার হাতছারা হবার কথা না। তবুও এক পলকের জন্য চোখের পাতা নামছে না টেলিভিশনের পর্দা থেক। এমনি সময় টেলিভিশনের সামনে মাতা মহোদয়ার আগমন। অতি পরিচিত একটা শংকা রিকের আশেপাশে ঘুরতে থাকে। স্টার প্লাসে এখন "বিদায়ী" নাটক শুরু হবে।
শালার হিন্দি সিরিয়াল আর শান্তি দিল না। সাজনা আর রাগিনীর জন্য কত দুক্ষ প্রকাশ করে, আরো বেশি করে সাজনার জামাই পাগলা আলেকের জন্য। পাশের বাসার আন্টি আর আম্মাজান দুজনে বসে আলেকের জন্য যতটা দুশ্চিন্তা করে নিজের ছেলের জন্যও হয়ত এতটা করে না।
-রিমোট দে
-আম্মু একটু, ৫ মিনিট, খেলা প্রায় শেষ। আর ১৭ বল আছে।
মাথা এদিক ওদিক উঁকি দিয়ে টিভিতে চোখ দেয়ার চেষ্টা করছে রিক। কিন্তু মাতা মহোদয়া এমন ভাবে টিভির সামনে এসে দাড়িয়েছে যে দেখার কোন অবকাশ নাই।
- তোরে আমি কি বলছি? সোফায় পা তুলে সারাদিন প্রতিবন্ধীর মত হা করে টিভি দেখিস। লজ্জা নাই তোর? শরীর একটু নাড়াচাড়া দেস না কেন। রিমোট দে।
- তুমি এমন কেন, বললাম না ৫ মিনিট। সিরিয়াল তো কাল দুপুরে আবার রিপিড হবে। খেলাটা দেখতে দেও না ।
- খেলা দেখে কে কবে বড়লোক হইসে? সারাদিন খেলা দেখস , কত কামাইলি এ পর্যন্ত?
- আর মাত্র ১৫ বল , প্লিজ একটু সরো।
- একটা থাপ্পর দিয়ে দাঁতগুলা সব ফেলে দেব।
যা বলছি তাই কর।
ব্যার্থ পরাজিত সৈনিকের মত রিমোট হস্তান্তর করে হয় রিক, যেন মাত্র নিজের রাজ্য হারালো। হতাশ আর অপমানিত বোধে হিন্দি সিরিয়ালের চৈদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতে লাগলো। আর পাশে বসা মায়ের চোখে স্টার প্লাসের জ্বল জ্বল নীল আলো আর মুখে মুচকি হাসি আলেকের দুষ্ট চাচীর মত লাগছিল। মনে মনে বলতে লাগলো , শালা আলেক পাগলা।
তোর জন্য আজকে আমার খেলা দেখা মিস। তোরে একবার পাইলে মুড়ি খাওয়ামু।
ডাইনিং থেকে রিকের বাবার আগমন। ডিনার সারছিলেন তিনি। এটিএন বাংলার রাতের খবর জমজমাট।
চ্যানেল আই, এনটিভিও কম যায় না। দিনের শেষে তাজা নিউজ না দেখলে কি ঘুম হয়? পত্রিকার বাসি খবরে কি পেট ভেরে? এবার সুপ্রিয় বাবার আগমন বসার ঘরে।
- রিক খবর দে, কাল নাকি আবার হরতাল ডাকছে।
-রিমোট আম্মুর কাছে।
এবার বাবাকে নিউজ দেখা থেকে কেউ ঠেকতে পারবে না।
আর মা চুপচাপ হরিনীর মত সিংহের কাছে আর্তসমর্পন করবে। দারুন একটা সমতা। মা ভয় পায় বাবাকে, আর একমাত্র সন্তান রিক ভয় পায় মা কে। এ যেন এক ফ্যামিলি ইকোসিস্টেম। নিরন্তর চলছে, কখনো ব্যাঘাত ঘটে না।
মায়ের দিকে তাকিয়ে হারানো রাজ্য জয়ের হাসি হাসে রিক। আর মায়ের মুখ সাজনার মামী আর রাগিনীর মায়ের মত করুন হয়ে যায়।
-আব্বু, ইংল্যান্ড এর খেলা শেষ প্রায়। ১৫ বল বাকি আছে দেখলাম।
-ওয়েট, দিচ্ছি।
-ওহ, খেলা শেষ। আম্মুর সিরিয়ালের জন্য দেখতে পারলাম না। কবে যে জাহান্নামের এই শাস্তি এই বাসা থেকে বিদায় হবে?
- এই সিরিয়াল মাথা নষ্ট করেছে তোর মায়ের। ঘুমেও এইগুলা স্বপ্নে দেখে।
বাবা আর ছেলে দুজনে মিলে এবার হিন্দি সিরিয়ালের ব্যাবচ্ছেদ শুরু।
মায়ের মুখের হাসি কেড়ে নিয়ে দুজনই এখন বেশ আনন্দিত। মা এবার শুরু করলেন বাপ ছেলেকে ধোলাই দেয়া,
-যেমন বাপ তেমন ছেলে, একটা আছে খেলা নিয়ে আরেকজন আছে নিউজ নিয়ে। সংসারটা শেষ করে দিল। আমি না থাকলে এই সংসার এতদিন টিকত?
- আম্মু বংশের একটা ব্যাপার আছে না।
- তোদের বংশ যে কি সেটা আমি হারে হারে টের পাইছি।
একটাদিন আজ পর্যন্ত শান্তি পেলাম না। বাপ ছেলে মিলে জ্বালাইয়া আমার আমার জীবন তাছনাছ করে দিয়েছিস।
- আম্মু দেখ কাকড়াইলে আগুন লাগসে, সব জ্বলতাসে কেমনে দাউ দাউ করে। তোমার কি এমন জ্বলে?
- এই তোরা দুজন চুপ করবি? খবরটা দেখতে দে।
এটাই তিনজনের সংসারের নিত্যদিনের ঘটানা।
রিক মধ্যবিত্ত পরিবারে বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা ব্যাবসায়ী, মা গৃহিনী। একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে । জীবন নিয়ে কোন চিন্তা নেই, বাবা আছে সো নো টেনশন। বন্ধুদের মাঝে ভীষন প্রিয়।
মিষ্টি আর দুষ্ট কথার মিশেলে মন ভরিয়ে রাখে সবার। আশা আর স্বপ্ন নিয়ে যেমন ঢাকা শহরের বাসিন্দারা দিনের পর দিন যাপন করে ওরা কিন্তু তেমন না। যাচ্ছে জীবন যাক না। খারাপ কি?
২।
৩ বছর পর
রিক নিউজিল্যান্ডে ভিক্টেরিয়া ইউনিভার্সিটিতে স্টাডি করছে দুই বছর হলো।
কাজ আর স্টাডির ফাঁকে খুব কম সময় হয় দেশে যোগাযোগ করার। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ফোন করে। মা সবসময়ই চিন্তিত থাকে। কিছুদিন হলো মায়ের শরীর খারাপ যাচ্ছে। আর মাত্র একটি বছর।
তারপরই দেশে ফিরে যাবে। বাবার ব্যাবসাটা আরো বড় করার প্লান আছে।
কথাকলির সাথেও তেমন একটা যোগাযোগ নেই। ওরা ভার্সিটির ফ্রেন্ড ছিলো, তারপর প্রেম। মেয়েটার মাঝে দারুন একটা গুণ ছিল।
কিভেবে যেন মনের কথা বুঝে নিত। সবসময় চুপচাপ আর মন ভোলানো টলটল চোখে তাকিয়ে থাকা। যেদিন কথাকলির কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিল সেদিন মেয়েটা বেশীকিছু বলেনি। হাত থেকে একটা ব্রেসলেট খুলে রিকের হাতে পরিয়ে দিয়ে শুধু বলেছিল অপেক্ষায় থকবো। মেয়েটা রিকের বাবা মাকে ফোন করে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখে।
একবার কথাকলিকে নিয়ে বাসায় যেয়ে মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। মায়ের সাথে বেশ মানিয়ে নিয়েছিল মেয়েটা। তাদের গল্প আর শেষ হয়না। বিদায়ের সময় কথাকলির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল ," লক্ষীমেয়ে, আমার বদমাশটার জন্য এমন একটা মেয়ে দরকার। " চুপে শুনে নিয়েছিল রিক।
তারপর থেকে আর কে পায়। এটা নিয়ে কথাকলিকে জ্বালাতন শুরু। সেদিন পৌছে দিয়ে আসার সময় মেয়েটার অন্যরকম একটা উজ্জলতা খেয়াল করেছিল রিক।
- কিরে কবে থেকে? বাসায় না বলে মেয়ে মানুষ নিয়ে হাজির! বেশী বড় হয়ে গেছিস? নির্লজ্জ কোথাকার।
- আম্মু, ও আমার ফ্রেন্ড ছারা আর কিছু না।
- বেহায়া, তুই আমাকে বোকা বানাতে চাস? মেয়েটার মুখে অনেক কিছু দেখেছি। আর একটা মেয়ে হয়ে আমি বুঝি। নিশ্চই ও তোকে এখানে নিয়ে আসতে বলছে?
- হুম, তুমি আসলেই বোকা। ও আমার ফ্রেন্ড ছারা কিছু না। কেন, পুত্রবধু হিসাবে পছন্দ করে ফেলেছ নাকি?
- আমি ভাবতেসি অন্য কথা।
এত সুন্দর একটা মেয়ে , কেন যে তোর মত বাঁদরের গলায় ঝুলে নিজের লাইফ নষ্ট করতেসে?
- নিজের ছেলেকে চিনলা না, একটাই দুক্ষ আমার পৃথিবীতে।
আজকাল অনেক পাল্টে গেছে রিক। কথা কম বলে। একটু অবসর পেলে কি যেন ভাবে। মায়ের কথাগুলো মনে করে নিজে নিজেই হাসে।
সময় অনেক কিছু পরিবর্তন করে দেয়। অনেক কিছুই পাল্টে দিয়েছে সময়। আরো অনেক কিছু বদলে যাবে সেটাও জানে ও।
- রিক ফোন করেছিল?
বিছানা থেকে রিকের বাবার উদ্দেশে বলে মা। কিছুদিন হলো অসুস্থতা বেড়েছে।
রিকের বড় মামার মেয়ে তানহা কিছুদিন হলো এই বাসাতেই আছে। ফুপ্পির সেবা যত্ন করছে। তানহার অনেকটা জুড়ে রিক অবস্থান করে। দারুন চটপটে আর কাজের মেয়ে। দেখতেও দারুন সুন্দরী।
ছোট বেলা থেকেই অনেক আকার ইঙ্গিতে বুঝাতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু বেচারী কখনো পাত্তাই পায়নি।
- না ফুপ্পি
- ছেলেটাকে খুব মনে পরছে রে। আমাদের টেলিফোন ডিরেক্টরিটা নিয়ে আয় তানহা
- কেন ফুপ্পি?
- কথাকলি নামে একটা কনটাক্ট আছে দেখ। মেয়েটাকে ফোন করে একবার আমার সাথে দেখা করতে বল।
- এটা আবার কে?
- রিকের ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ড না ছাই। কি বলে ওটাকে এখন? ওহ! গার্লফ্রেন্ড। তাই নারে?
গলা ধরে আসে তানহার। অনেক চেষ্টায় "হুম " শব্দটা করে পা বাড়াল টেলিফোনের দিকে।
- কেমন আছেন আন্টি?
- এইতো দেখতেই পাচ্ছো মা। তোমার খবর কি বলো। পড়ালেখা তো প্রায় শেষ পর্যায়ে। কোন প্লান করেছ?
- নাহ আন্টি তেমন কিছু না। আপনার শরীর খারাপ আমাকে জানাবেন তো?
- এইতো জানলে।
তোমার সাথে কিছু কথা আছে মা। একটু সময় করে শুনবে?
- জ্বি বলুন....
সেদিন অনেক কিছুই বলেছিল মা। তানহা পাশে বসে শুনেছে সব। ভিতরটা পুড়ছিল। নিজের আপন ফুপ্পি হয়ে এমনটা করতে পারলো? অবশ্য ফুপ্পি তো জানেন না কতটা ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।
সেদিন প্রচন্ড হিংসে হচ্ছিল কথাকলির উপরে। কথাকলিকে বিদায় দেয়ার সময় তানহা শুধু বলেছিল," তুমি অনেক ভাগ্যবতী"
৩।
মায়ের মৃত্যুর সংবাদে দেশে ফিরে এসেছে রিক। বিশ্বাস হচ্ছে না। মনে হচ্ছে ঘরের ভেতরেই মা বিচরণ করছে।
কিন্তু ও দেখতা পাচ্ছে না। মায়ের কথাগুলো শুনছে কিন্তু মাকে স্পর্শ করে দেখতে পারছে না। মায়ের চেহারা মনে করতে পারছে না। মায়ের কবরের পাশে দিনের অনেকটা সময় পার করে ও। বির বির করে কি যেন বলে।
অস্ফুষ্ট শোনা যায়," আমাকে ক্ষমা করে দিও মা, শেষ বেলায় দেখতে চেয়েছিলে। আমি পারিনি। আমাকে ক্ষমা করে দিও। "
বাবা বড় একেলা হয়ে গেছে। এ সময়ে না থাকলে কখন কি হয়ে যায়।
একটা সেমিষ্টার বাকি ছিল। সেটাও আর কমপ্লিট করা হবে না। বাবাকে একা রেখে যাওয়া অনেকটা রিস্কি হয়ে যায়। ব্যাবসায় মন দেয় রিক। চেষ্টা করে বাবাকে যথেষ্ট সময় দিতে।
বয়স পঞ্চাশের কোঠায় দাড়িয়ে বাবা এমন শক পেয়ে আরো বেশী ভেঙে পড়েছে। অথচ তিন বছর আগেও কতটা স্মার্ট আর সুদর্শন ছিল দেখতে।
৬ মাস পর
তানহার বিয়ে। বাড়িতে সাজ সাজ রব। আত্তীয় স্বজন আর মেহমান দিয়ে গ্রামের বাড়ি ভর্তি।
তানহার বাবা গ্রামে এসেছেন মেয়ের বিয়ের জন্য। আজ রাতে গায়ে হলুদ। কাল বিয়ে। রিক আর রিকের বাবাকে তিনদিন আগে থেকে উপস্থিত থাকার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। বাবাকে পাঠিয়ে দিয়েছিল রিক।
এসব আনন্দ আর উৎসব ভালো লাগে না ওর। হঠাৎ কি মনে করে যেন ইচ্ছে হলো একবার বিয়ে বাড়িতে যেতে। অন্তত মায়ের কাছের মানুষগুলোকে তো দেখা যাবে। হয়ত কারো চেহারায় মায়ের ছায়া পাওয়া যেতে পারে।
বিকেলে এসে পৌচেছে রিক।
সবাই ব্যাস্ত। স্টেজের দিকে চোখ পড়ে, "আজ তানহার গাঁয়ে হলুদ"। পেছন থেকে মেয়েলি কন্ঠে কেউ একজন ডাকে রিক কে। ঘুরে দেখে তানহা ।
- কেমন আছো?
-ভালো তোর খবর কি? কাল তো শ্বশুর বাড়ি যাবি।
আমাদের কি মনে থাকবে?
- এসব ফর্মালিটি বাদ দেও তো। তোমার সাথে জরুরি কথা আছে।
- কি ? কি কথা?
- হুম কথা, কথাকলির নামটা তোমার মনে আছে?
হঠাৎ করেই কেউ যেন আৎকা নাড়া দিল, নাহ কেউ না। একটি নাম। একটি নাম কিভাবে এতটা শক্তিশালী হয়? একজন মানুষকে দূর্বল করতে কি তাহলে একটি নামই যথেষ্ঠ? অনেকদিন পরে কথাকলির কথাগুলো মনে পড়লো।
কিভাবে ভুলে গিয়েছিলো এই মেয়েকে? এটাও কি সম্ভব? কিন্তু আজ কথাকলিকে মনে পড়তেই কেমন যেন অন্তঃসার শুন্য ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করলো ওর মুখ।
- তুই জানলি কি করে?
- আমি জেনেছি সেটা বড় কথা না। মেয়েটাকে ফুপ্পি লাইক করতো সেটা কি তুমি জানতে না?
- হুম জানতাম।
- কথাকলি যে তোমাকে ভালোবাসে সেটা কি তুমি জান না?
চুপ করে থাকে রিক। এই নিরবাতা ভাঙে তানহা।
- ফুপ্পি ওকে তোমার জন্য পছন্দ করে রেখে গেছে। সেদিন আমি সামনে ছিলাম বলে আজ জানতে পারছো। নইলে জীবনেও জানতে না মেয়েটা আজও তোমার মাকে শ্রদ্ধা করে তোমার অপেক্ষা করছে। ফুপ্পির দেয়া বালা দুইটা হাতে পরে তোমার জন্য দিন গুনছে। তুমি ছয়মাসের বেশী হলো দেশে আসছো।
একবারও কি ওর খোঁজ নিয়েছ?
- আমি যাই, বাই।
- কোথায় যাও?
-ওকে খুঁজতে। তুই কিছু জানিস ও কোথায় আছে?
- হুম জানি, কিন্তু বলবো না। আগে বলো আমাকে কি গিফট করাবা?
- তুই যা চাস তাই পাবি।
- তোমার হাতের ঐ ব্রেসলেট টা আমাকে দাও।
কিছুটা ইতস্তত করে রিক। তারপর খুলে দিতে চায়। যে এটা দিয়েছিল তাকে পাওয়ার বিনিময়ে যদি এটা চলে যায় খারাপ কি? হাত থেকে দ্রুত খুলে দেয় রিক। তানহা রিককে পুকুর পারে শিমুল গাছের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে একটি মেয়ে দাড়ানো।
তানহা ব্রেসলেট টা রিকের হাতে দিয়ে বললো, " পরীক্ষা করলাম তোমাকে, পাশ করেছ। তুমি আসবে জানতাম, তাই ওকে আসতে বলেছি। তোমাদের ভালোবাসাই আজ আমার বিয়েতে সবথেকে বড় উপহার। অভিমান করে আছে, যাও রাগ ভাঙাও। "
[শুধুই গল্প]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।