আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নৃশংসতার যেন শেষ নেই

আমাদের দেশ আমাদের সম্পদ শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর মাথা ন্যাড়া শেরপুর: শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবর্দী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে এক বখাটে। ঘটনার ৬ দিন পরেও ঘটনার মূল নায়ক শাহজামাল (২০) এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। এদিকে থানায় মামলা হওয়ায় ওই সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের এবং স্কুলছাত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে শেরপুর শহরের রাজ বল্লভপুরের মামার বাসায় আশ্রয় নিয়েছে ওই নির্যাতিত ওই স্কুলছাত্রীটি। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা হলেন, ধর্ষকের মা সরুফা খাতুন (৪৫) এবং ২ মামা আয়নাল হক (৩৮) ও আনোয়ার হোসেন ওরফে সৈয়দ আলী (৪০)। নির্যাতিত স্কুলছাত্রী ও তার মামার সূত্রে জানা যায়, কাটাজান উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীকে পাশের জামাতলী গ্রামের মতিউর রহমানের বখাটে ছেলে শাহজামাল (২০) প্রতিদিন উত্ত্যক্ত করতো। গত ২০ জুন সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুলছাত্রীটির পথরোধ করে শাহজামাল তাদের দোকানে নিয়ে জোর করে বিস্কুট খাওয়ায়। এ সময় সে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ৩ দিন অজ্ঞাতস্থানে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ২৩ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ছাত্রীটির মাথা ন্যাড়া করে পরনের স্কুল ড্রেস খুলে রেখে জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিয়ে তার বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

পরে শুক্রবার ছাত্রীটির জ্ঞান ফিরে এলে তার মা-বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীর বাবা ধর্ষকের মামা আয়নাল হক ও আনোয়ার হোসেনের কাছে গেলে তারা বিষয়টি দেখবেন বলে ঘোরাতে থাকেন। পরে ধর্ষকের দুই মামা ছাত্রীর বাবাকে টাকা-পয়সার লোভ দেখান। এতে তিনি রাজি না হলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ছাত্রীটির বাবা ২৫ জুন শনিবার ধর্ষক শাহজামাল, তার দুই মামা ও বাবা-মাসহ ৬ জনকে আসামি করে শ্রীবর্দী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে শনিবার রাতেই ধর্ষকের মা এবং দুই মামা গ্রেপ্তার হওয়ায় ধর্ষকের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ওই সংখ্যালঘু পরিবারকে হত্যার হুমকিসহ নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে আবারও তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এরপরেই ২৭ জুন সোমবার রাতে ছাত্রীর মামা শেরপুর জেলা শহরে বাসায় এনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান এবং তারা এ বর্বরোচিত ঘটনার মূল নায়ককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ বর্বরোচিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও এজাহারভুক্ত এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করি, মূল আসামিও খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করা হবে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

সেই সঙ্গে তার শরীরে নেশা জাতীয় কোনো দ্রব্য আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য ঢাকার মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। ’ সূত্র : Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.