চকলেট...মমম...। আমাদের প্রায় সবারই অতি পছন্দের একটি জিনিষ। ছোটবেলায় প্রায়ই মনে হত, কোনদিন অনেক টাকা হলে বাসাভর্তি করে রাখব শুধু চকলেট। ঈদের সালামীর বেশিরভাগ টাকাই চলে যেত চকলেটের পিছনে।
অনেক আগের কথা যখন বাংলাদেশে পাওয়া যেত না স্নিকার্স, মার্স, কিট-ক্যাট, ক্যাডবেরি বা টুইকস্ তখন পছন্দের তালিকায় ছিল মিমি, আজিজ মিল্ক চকলেট আর পিকনিক।
ইউনাভার্সিটিতে যখন পড়ি তখনও কোথাও মিমি দেখলে কিনে ফেলতাম - কিন্তু সমস্যা ছিল তেমন কোথাও চোখেই পড়তো না।
বিদেশ থেকে মামা, খালারা বেড়াতে এলে অপেক্ষা করতাম কখন লাগেজগুলো খুলে চকলেট বের করে দিবে। আম্মু, ভাইয়ের সাথে ঝগড়া পর্যন্ত হয়ে যেত চকলেটকে কেন্দ্র করে! হায়রে! চকলেট...। অনেকদিন পর্যন্ত বিশ্বাস করতাম পৃথিবীতে এর চাইতে মজার কোন খাদ্য আবিষ্কৃত হয়নি।
আমার এক খালাতো বোন একবার এত পরিমাণে আজিজ মিল্ক চকলেট খাওয়া শুরু করলো যে গায়ে থেকে আসা চকলেটের গন্ধে তার আশেপাশে সারাদিন মাছি ভন্ভন্ করতো! খুব হাসাহাসি করেছিলাম ওকে নিয়ে সেই সময়।
এখনও সুযোগ পেলে এটা নিয়ে ওকে খেপানো হয়।
আমেরিকা আসার পর দোকানে থরে থরে সাজানো চকলেট দেখে আমার কি অবস্থা হয়েছিল সেই ঘটনা না হয় নাই বললাম। প্রথম কিছু মাস মনের সুখে শুধু চকলেট খেলাম - সকাল, বিকাল, রাত। কিন্তু কিছু মাস যেতেই চকলেটের মোহ ভঙ হলো। কেন হলো জানি না, বেশি দেখে বা খেয়েই কিনা কে জানে! এখন দোকানে চকলেটের আইলের পাশ ধরে হেঁটে যেতে পারি অনায়াসে, ইচ্ছেও করে না যে কিনি।
চকলেট খাই না সেটা না, এখনও ভালবেসে খাই কিন্তু আগের সেই মজাটা আর পাই না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।