এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
চকলেটের জায়গা এখন শুধু ফ্রিজে নয়। চকলেটপ্রেমীরা আর কিছু দিনের মধ্যেই ব্যাগে করে যে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন এই পছন্দের জিনিসটি। রাখতে পারবেন অনেকক্ষণ। কারণ গরমে এই নতুন জাতের চকলেট আর গলে যাবেনা।
কাঠফাটা রোদ, তাপমাত্রা হোকনা ৫৫ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩১ডিগ্রি ফারেনহাইট, তা সহ্য করা এই চকলেটের জন্য কোন ব্যাপারই না।
বাজারে আসছে এমনই এক চকলেট, যার নাম - ভলকানো। এই চকলেট বাজারে ছাড়বে সুইস কোম্পানি ‘ব্যারী ক্যালেবাউট'। চকলেটের স্বাদ এবং মান অক্ষুন্ন রেখেই ভলকানো তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইনোভেশন অফিসার হানস ফ্রিন্স।
তিনি বলছেন, পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে চকলেট সংরক্ষণ করার উপযোগী ঠান্ডা জায়গা পাওয়া যায়না। তাপমাত্রা এতোটা বেশি যে চকলেটগুলো খুব বেশিক্ষণ তার আসল চেহারা ধরে রাখতে পারে না।
গলে যায় খুব দ্রুত। উদাহরণ হিসাবে তিনি চীন, ভারত, দক্ষিণ ইউরোপ ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন। অধিক তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম এই ভলকানো চকলেট এইসব দেশেই রপ্তানি করা হবে বলে জানান হানস।
হানস ফ্রিন্স আরো বলছেন, ভলকানোতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম রাখা হবে। তবে এর জন্য চকলেটের স্বাদের কোন হেরফের হবে না।
আর এই চকলেটে যেনো অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যকর হয় সে দিকেও নজর রাখবে কোম্পানি। কোকো বিন-এর ভিতর থাকা ৭০০ প্রাকৃতিক উপাদানের ২৩০টিই ভলকানো চকলেটে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তাপমাত্রা সহ্য করতে পারা এই ধরণের চকলেট নতুন কিছু নয়। আগে এই চকলেট যুক্তরাষ্ট্র এবং সুইজারল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর জন্য তৈরি করা হলেও তা বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা হয়নি। হানস ফ্রিন্স বলছেন, সামরিক বাহিনীর জন্য তৈরি করা চকলেট থেকে ভলকানো স্বাদে এবং মানে আলাদা হবে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চকলেট রপ্তানিকারী দেশ সুইজারল্যান্ড ২০০৮ সালে ৮৬৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টন চকলেট রপ্তানি করে। আর নিজের দেশে বিক্রি হয় ৭৩,৪৭৫ টন চকলেট। সুইস চকলেট সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন আর ক্যানাডায়।
তবে বিশ্বে চকলেটের সবচেয়ে বড় বাজার দখল করে থাকা সুইস কোম্পানি নেসলে এই দৌড়ে পিছিয়ে থাকতে চায় না। এক্ষেত্রে তারা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
নেসলের চকলেট, বিস্কিট এবং কনফেকশনারি বিভাগের গবেষণা এবং উন্নয়ন ব্যবস্থাপক সাইমন রবার্টসন বলছেন, চকলেটের স্বাদ এবং মান দুটোর দিকেই নজর দিয়ে নতুন ধরণের চকলেট বাজারে আনা হবে।
সুইজারল্যান্ডের অন্যান্য চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো নতুন চকলেট বাজারে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়। আসলেই কি উপাদানে তৈরি করা হবে এই বিশেষ তাপপ্রতিরোধক চকলেট, সেটা জানার পরই তারা বক্তব্য রাখবে, জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের অনেক পুরোন চকলেট ব্যবসায়ী।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।