আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোকো কোথায়?

আরাফাত রহমান কোকো এখন কোথায়? থাইল্যান্ডের ব্যাংককে, মালয়েশিয়ায় নাকি অন্য কোনো দেশে? তাকে কি দেশে ফিরিয়ে আনা হবে; নাকি 'আত্মগোপনে' থেকে যাবেন। আদালত অর্থ পাচার মামলার রায়ে কোকোর ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থ জরিমানার পর থেকেই এ প্রশ্ন উঠেছে। স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার বলেন, কোকো মানি লন্ডারিং মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলে সরকার তাকে ফেরত আনার উদ্যোগ নেবে। সে থাইল্যান্ডে থাকলে বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী ফেরত আনা যাবে। অন্য দেশে থাকলে ভিন্ন পথে তাকে ফেরত আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কোকোর আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, কোকো থাইল্যান্ডেই সপরিবারে অবস্থান করছেন। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি তিনি। থাইল্যান্ডে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়াকে নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। আগে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসে নিয়মিত রিপোর্ট করলেও এখন আর রিপোর্ট করছেন না। আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আরাফাত রহমান কোকো এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি।

চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক কোকোকে আরও কিছুদিন চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসকদের কাগজপত্রসহ প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। তবে সরকারপক্ষ এখনও তাদের আবেদন সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। সূত্র মতে, মা খালেদা জিয়া ও লন্ডনে চিকিৎসাধীন বড় ভাই তারেক রহমানের সঙ্গে মাঝে মাঝে টেলিফোনে মতবিনিময় করেন কোকো। আইনগত প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে আইনজীবীরাও সাক্ষাৎ করেন তার সঙ্গে।

ঘনিষ্ঠ দু'চারজন ছাড়া ব্যাংককের কোথায় কোকো অবস্থান করছেন তা কাউকে জানানো হচ্ছে না। কয়েক মাস আগে একবার শ্রমিক ভিসা নিয়ে কোকো মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে গুঞ্জন রটেছিল। এ নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা কোকো মালয়েশিয়ায় শ্রমিক ভিসায় পালিয়ে গেছেন বলে দাবি করেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলেছেন, কোকোর শ্রমিক ভিসায় পালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

এ পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, কোকো মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে শ্রমিক ভিসা নিয়েছেন। এরপর তিনি কী মালেশিয়ায় চলে গেছেন নাকি থাইল্যান্ডে ফিরেছেন তা তাদের জানা নেই। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার একেএম আতিকুর রহমান গতকাল বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে অন্যান্য শ্রমিকের সঙ্গে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। তিনি এখন মালয়েশিয়ায় নেই। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন আমার জানা নেই।

তিনি এখন কোথায় আছেন তা খোঁজে বের করার জন্য ঢাকা থেকে কোনো নির্দেশও পাইনি। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর চীনে যাওয়ার পথে ব্যাংককের হোটেলে কোকোর সঙ্গে সাক্ষাত করেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া ব্যাংকক পেঁৗছে তার যাত্রাবিরতির জন্য নির্ধারিত হোটেলে ওঠার পর রাতে স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়াকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কোকো । (সমকাল থেকে সংকলিত)। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।