আমি খুবই সাধারণ মু’মিন ও মুসলিমের অর্থ বা মুসলিম কাকে বলে তার সংজ্ঞা
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযি) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, পূর্ণাঙ্গ মুসলিম সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ (এর কষ্ট) হতে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর আসল মুহাজির হল সেই ব্যক্তি যে সেই সব কাজ ত্যাগ করেছে যেসব কাজ করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। এই শব্দগুলো বুখারীর। আর মুসলিম এই শব্দে বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সা)কে জিজ্ঞেস করল, মুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম কে? তিনি বললেন, যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট হতে অন্য মুসলিমগণ হিফাযাতে থাকে।
– মুত্তাফাকুন আলাইহ, বুখারী ১০, মুসলিম ৪০।
মিশকাত তাহক্বীক আলবানী হা/৬
ব্যাখ্যা: হাদীসের দুটি অংশ। প্রথমাংশে বলা হয়েছে যে, শুধু কালিমা পড়ে ও কিছু সুনির্দিষ্ট আমাল ও আরকান পালন করে পূর্ণ মুসলিম হওয়া যায় না, বরং ইসলামী শারীআত তার অনুসারীদের কাচে এমন একটি পরিপূর্ণ ঈমানদার হবার সাথে সাথে মানবতার সবগুণের সমাবেশ ঘটবে। মুসলিম ব্যক্তির দ্বারা কেউ অনাহুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। দু:খ কষ্ট পাবে না।
কাউকে বকাঝকা করবে না। অন্যায়ভাবে কাউকে মারবে না, বরং মানুষকে ভালবাসবে,ইজ্জাত করবে। আমানতদারী ও ওয়াদা রক্ষা করবে। নৈতিকতার বিকাশ ঘটাবে। সমবেদনা দেখাবে।
মানুষ একজন মুসলিমকে সবদিক দিয়ে নিরাপদ মনে করবে। হাত ও মুখি উল্লেখ করার কারণ হলো, সাধারণত এই দু’টি জিনিসই মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকে।
হাদীসের দ্বিতীয় অংশে সত্যিকারের মুহাজিরের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অথচ মুহাজির তো বলা হয় সেই ব্যক্তিকে যে আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্য নিজের ঘরবাড়ী, ধন-সম্পদ, আত্মীয়-স্বজন ও পরিজন ছেড়ে দারুল ইসলাম চলে যায়। এই সর্বোচ্চ করবানী।
অথচ আল্লাহ যেসব কাজ করতে নিষেধ করেছেন, মু’মিন সেসব কাজ ছেড়ে দেয়। আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রবৃত্তির তাড়না ছেড়ে দিয়ে পবিত্র জীবন অবলম্বন করে সত্যিকারের মুহাজির হবার যোগ্য হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।