আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাষী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার!

good গতকাল সকাল ১০টা। একে একে এফডিসির সামনে জড়ো হলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বেবী নাজনীন, রিজিয়া পারভীন, মনির খান, মুনশী ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান মনির, অমিত হাসান এবং চাষী নজরুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে আরো আছেন প্রায় ৩০-৪০ জন শিল্পী ও কলাকুশলী। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন হরতাল সর্মথনে একটি মৌন মিছিল করবেন। তবে এফডিসির ভেতরে নয়, মিছিল হবে মূলগেট থেকে শুরু করে সোনারগাঁ হোটেল পর্যন্ত।

শুরু হলো মিছিল। নেতৃত্ব দিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং চাষী নজরুল ইসলাম। মিছিলটি সোনারগাঁ প্রদক্ষিণ করে আবার এফডিসির দিকে ফিরে আসার পথেই পড়লো পুলিশি বাধা। একের পর এক লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন সবাই। কারো কোনো দিগি¦দিক খেয়াল নেই।

চাষী নজরুল ইসলাম কোনো রকম দৌড়ে এফডিসির ভেতরে পৌঁছলেন। কিন্তু ততোক্ষণে মিছিলে থাকা ৬-৭ জন শিল্পীর অবস্থা গুরুতর। পুলিশের লাঠিপেটায় তারা আহত হয়েছেন। তাছাড়া পুলিশ নজরুল ও পলাশ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। চাষী নজরুল ইসলাম এফডিসির ভেতরে পরিচালক সমিতিতে এসে বসলেন।

২টা পর্যন্ত সেখানে থাকার পর তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন। কিন্তু এফডিসির গেটে আসা মাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। নিয়ে যাওয়া হলো থানায়। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে ১ মাস ও ১৫ দিনের কারাদ দেয়া হয়েছে। চাষীর গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী সমিতির সদস্যদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়লো।

প্রযোজক সমিতির সভাপতি গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, সামান্য একটা মিছিলকে কেন্দ্র করে এ রকম ঘটনা ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমরা কোনো আইন লঙ্ঘনও করিনি কিংবা এ এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা আমরা সরকারি এলাকা অর্থাৎ এফডিসির মধ্যেও ঢুকতে চেষ্টা করিনি। তাহলে কেন চাষীর মতো এ রকম একজন লোককে গ্রেপ্তার করা হলো? আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বেবী নাজনীন বলেন, আমরা তো শিল্পী।

আমরা জানি কোনটা করা উচিত কোনটা উচিত নয়। আমরা হরতালের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইনি, শুধু মৌন মিছিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ওপর সরকারের এ রকম পদক্ষেপ নেয়া ঠিক হয়নি। পরিচালক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হান্নান বলেন, যে চাষী ভাই ‘ওরা ১১ জন’ তৈরি করেছেন তাকে বাকরুদ্ধ করতে চায় সরকার। এটাতো ঠিক না।

তিনি যে কোনো একটা দলের সর্মথন করতেই পারেন, কিন্তু তাই বলে সরকারি দলের এ রকম আচরণ তার ওপরে করা মানায় না। আমার মনে হয় প্রশাসন ভুল করেছে। শিল্পী সমিতির সদ্য সভাপতি শাকিব খান বলেন, শিল্পীদের ওপর এটা কি শুরু হলো? কিছুদিন আগে একদল সন্ত্রাসী আমার ওপরও হামলা চালিয়েছে। এখন চাষী ভাইয়ের মতো পরিচালকের সঙ্গে এ রকম একটি ঘটনা ঘটলো বিষয়টি সত্যিই লজ্জার। আমাদের উচিত দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হওয়া।

অবশেষে বিকাল ৫টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয় চাষী নজরুল ইসলামকে। এ প্রসঙ্গে তিনি দিনের শেষেকে বলেন, আমাকে এ রকম মানহানি ও হয়রানি করার কোনো মানে হয় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কোনো একটি দলের সমর্থন করতে পারি। তাছাড়া আমি কোনো বিশৃঙ্খল বা নাশকতামূলক কোনো কাজ করিনি যে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এটা সরকারের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়।

 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।