আজকের জন্য জাতীয় দাদা প্রণব(দা) আসলেন, বাংলাদেশের জন্য চরম লজ্জার, ক্ষতির, এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে নির্বিঘ্নে চলেও যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি গণভবনে নৈশভোজে রয়েছেন।
যেখানে কোরিয়ার মত দেশ মাত্র .২৫% সুদে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ঋণ দেবার প্রস্তাব করেছিল সেখানে আমরা শেষ তা পর্যন্ত নিলাম পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কাছ থেকে-১.৫৭% এরও বেশি সুদে। মাত্র ২০ বছরের মধ্যেই এ ঋণ শোধ করতে হবে নইলে গুণতে হবে বড় জড়িমানা। অথচ বিশ্বব্যাংক, আইডিবি কিংবা এডিবি-র কাছেও .২৫-৪০% এর মধ্যে সুদ দিয়ে কমপক্ষে ৪০ বছরের সময় পেতাম আমরা।
সবকিচুর পরও ভারতের কাছ থেকে কেন এই ঋণ নেয়া হল তা শুধুমাত্র সরকারই বলতে পারে। আমাদের সব ক্ষতির পরও আমরা তাদের দিচ্ছি ট্রানজিট নামের সুবিধা, যা এশিয়ান হাইওয়ের মূল দর্শণের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্পর্শকাতর একটি ইস্যুকে পাত্তাই দেয়নি আমাদের সরকার। চুক্তির পুরো বিষয়বস্তু লোকসম্মুখে উত্থাপন করারও প্রয়োজনও বোধ করেনি তারা। এই চুক্তির ফলে আমরা যতটুকু উপকার ভোগ করব ভারত করবে তার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশি সুবিধা।
এই চুক্তির ফলে আমরা রেলওয়ের সরঞ্জামাদি ভারতের কাছ থেকে কিনতে বাধ্য থাকব কোন আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ছাড়াই- যাতে কম দামে ভাল জিনিস পাবার সুযোগ থাকবে না, বরং ভারতীয়রা সর্বোচ্চ মূল্যে সবচেয়ে নিম্মমানের পণ্য দিলেও কিছুই করার থাকবে না।
হয়ত পজিটিভ কিছুও আছে এই চুক্তির। কিন্তু সরকারকে ধিক্কার দেশের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনসাধারণের মতামত না নিয়ে গণতন্ত্র, সম্মান ও সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত কাজ করার জন্য।
ধিক্কার আমাদের গণমাধ্যমকে যারা ব্যর্থ হয়েছে চতুর্থ রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে। সরকারের চাটুকারিতায় সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছে দেশের বৃহত্তর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার মাধ্যমে জনমত যাচাই করার বিষয়টি।
থু থু গণমাধ্যমের সেই সম্পাদক, মালিকদের মুখে। আজ প্রকটভাবে প্রমাণিত হয়েছে, এদেশের গণমাধ্যম সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের জন্য ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করে না।
অনেক কথা আছে চুক্তিকে ঘিরে। অত বলার সময় নেই। শুধু এতটুকু দেখলাম, জাতীয় এই ইস্যুতে বিরোধী দলের কাছ থেকে যে নজরদারি ও প্রতিবাদ আশা করা উচিত, বাংলাদেশের সো কলড বিরোধী দল তার বিন্দুমাত্র পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আজকের দিনে তারা আভ্যন্তরীণ কোন্দলে ব্যস্ত কোন এক জেলার ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে।
ওয়াক থু.....মেরুদন্ডহীন বিরোধী দলের মুখে, এই নির্লজ্জ অক্ষমতার জন্য। তারা ব্যস্ত রাজাকারদের কিভাবে বাঁচানো যায় তা নিয়ে জল্পনা কল্পনায়।
আসুন আমরা দলে দলে থুথু দিই এই নপুংশকদের মুখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।