নেটে ঘুরতে ঘুরতে কেমন কইরা যানি এই ব্লগটার সন্ধান পাইলাম। এই কাহিনী বেস পুরাইন্নাই কওয়া যায়।
বিশেষ কইরা এইটা ভালোলাগার কারন হইল আমাগো মাতৃভাষায় করা হেই লাইগ্গাই।
যাইহোক,
আমার কয়েকজন দোস্ত আছে অনলাইনে, কইতে পারেন হ্যারাই আমারে এই লাইনড্যা চিনাইছে। হ্যাগো কইলাম আমারে একটু হেল্প না কি যানি কয় ওইডা করতে।
একজনে কয় "সরি রাজিব, আমি বাংলা লিখতেতো যানিই না এমনকি লেখা পড়তেও পারি না"
যদিও আমি এই লাইনে (অনলাইন) নতুন, তারপরও এই কথা সুইন্না আমিতো অবাক!
আমি ভাবতেই পারিনাই, যারা এত শুদ্ধ কইরা কথা কয় তারা বাংলা পড়তে পারেনা?
বাঙালী হইয়া বাংলারে অবগ্যা করা এই যা। হায়রে আমার বাঙালী জাতি (কিছু অংশ) ।
হ্যাগো কথা বাদ এইবার আসি আমার কথায়,
আমি বাংলা পড়তেও পারি, আর লেখতেও পারি ১৯৯২ সাল থেইক্কাই (যতদুর মনেপড়ে), যদিও ওই টাইমে আমি তালপাতায় দোয়াত কালি (ডুপ্লিকেট) দিয়ে লেখতাম।
আর ওই টাইমেই আমার দোস্তরা এই কম্পিউটার যানে, পার্থক্য আমারডা ওইলো বাংলাদেশ আর তারা ইউরোপ আমেরিকা।
তার মানে কি দাড়াইলো? তাদের কিবোর্ড আর আমার তালপাতা।
আমাগো এলাকাডা আওয়ামিলীগ এর রক্তের, কাম ওইবে কি, খালেদা যহন খমতায় আইল, হ্যায় চিন্তা করছে কি, এইডাই আগে দরি,
মাশাআল্লাহ, একেবারে ব্রীজ,কালভার্ট, কারেন্ট, ইসকুল সব হইছে।
আমিও আগাইছি, মানে "প্রাইমারি শেষ করেছি,আমি এখন সিক্সে, রুখবে আমায় কে?"
শেখ হাসিনা আইছে, এলাকার মাইয়া স্কুলে কম্পিউটার দিছে, আহা কি আনন্দ!!!
যাইহোক মনে আসা যাগছে এতদিনে এই জিনিসটা কি তা ভালোকরে যানতে পারবো, তার আর হইল কই? স্যারেরা কয় আগে নাইনে ওঠ পরে এইডা যানতে পারবা ।
আমাগো ইস্কুলে সিক্সে ১০০ ভর্তি হইলেও নাইনে আইসা পাইছি ১৭ জন, কারে আর দোস দেবেন ভাই, বেশিরভাগেরই তিন বেলার যায়গায় দুইবেলা খাইতে হইতো।
কথায় ফিরি,
আমাগো কম্পিউটার ম্যাডাম বাংলা পড়াইতেন, ওই পদে চাকরি পাইলেন আবার কম্পিউটার যানেন না, কিভাবে চাকরিটা পাইলেন তা আমি আপনি না যানলেও, সরকারদের কিছু কর্মচারি কর্মকতা ঠিকই যানেন। আমাদের যেনেও লাভ নাই।
যাইহোক ওই ম্যাডামের জন্যই হয়তো, মাধ্যমিক লাইফটা কসটেপ দিয়ে মোড়া কার্টুনই দেখে যেতে হল।
বেশিদিন না, ২০০৫ সালে কলেজ ত্যাগ করেছি, ওই সময়ে অতিরিক্ত বিষয়রে নম্বর যোগ হতনা, ওই বস্তুটা কি যানতে আমি বিষয়টা নেই, দুঃখের বিষয় হল ২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষের ওই বিষয়ের সময় যোগ করলে আমার মনটা উত্তর দেবে ০০০ দিন।
এতো গেল শিক্ষাজীবন,
আব্বা বললেন অনেক হয়েছে আর পারছি না, এখন নিজে কামাই কবো। বেচারাও কি দোস দেব, গরিবের তকমা লাগানো সংসারটা টানতে যে তার কষ্ট হচ্ছিল এটা আমিও বুঝতে পেরেছিলাম
অভাবকে জয় করানোর আসায় প্রথমে ধান বিক্রিকরে পাসপোর্ট করতে গেলাম, বয়স লাগবে ২৪,
অফিসার বললেন, আমাকে বোকা বানাতে চান? এই ছেলের ২৪ বছর বয়স দেওয়া যাবে না। আকুতি মিনতী করেও কাজ হলনা ।
কি আর করার নিরুপায় হয়ে ফিরে আসার সময় অফিসের পিওন বললেন ২০০০ টাকা দেন স্যারকে দিয়ে সিস্টেম করিয়ে দেই। পিওন কত খেয়েছে এটি আমি না যানলেও, টাকাটা নিয়ে ওই অফিসারই যে কাজটা করেছিলেন তার প্রমান আমি এখন মধ্যপ্রাচ্যে এসেছি ওই পাসপোর্টএ।
এবার পার্থক্য করি এখান আর ওখানের সাথে,
অনেকে বলেছিল, বাংলাদেশের এই লেখাপড়া দিয়ে বাইরের দেশে কোন লাভ নাই।
আসলে লাভ যে হচ্ছে কিনা, তা আমার দেশে পাঠানো ক্ষুদ্র রেমিটেন্সই এর প্রমান, যদিও আমি সুশিক্ষিত নই।
আমি যানি অনেক সুশিক্ষিত লোক বাইরে এসে সুবিধা না করতে পারলেও তাদের সংখ্যা খুব কম, বরং অনেক স্বল্পশিক্ষিত লোক কাজের তাগিতে অনেক কিছু শিখছে।
কলেজে আমার অধিকার, আমার শিক্ষাকে যখন শিখায়নি, এখন এরা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে আমাদের বিশেষ ট্রেনিং করাচ্ছে। হয়তো যার একটু অংশের কল্যানে আমার মত হাবা আজ ইন্টারনেটে একসেস করতে পারছি, যদিও এটি এমন কঠিন কোন কাজ না। কিন্তু কোন একসময়তো ছিল কল্পনাতীত।
পরিশেষে তাদের উদ্দেশ্যে বলব, একটু সদয় হন, আমাদের মত মানুষদের এই আধুনিক শিক্ষাটা থেকে দুরে রাখেন না।
আর প্রবাসী ওই দোস্তদের বলব বাংলা শিখতে হলে সামহ্য়্যারইনব্লগ তো আছেই অতয়েব আর কষ্ট কেন?
অনলাইনে আমার প্রথম পোস্ট এটি দয়াকরে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।