ছবিটি ২টি পত্রিকার, একটিতে প্রাইভেট গাড়ীর কারণে মানুষ হাটতে পারছে না, অপরটি হচ্ছে ভিআইপি রোডে রিকশা চলনর কারণে রিকশা চালকের রিকশাটি আটক করা হয়েছে...
হায়রে সভ্য জ্ঞানী মানুষ,,, হায়রে সভ্যতা, মানুষের অন্ন কেড়ে নিয়ে উন্নয়ন আর আধূনিকতা...
বাংলাদশের রাষ্ট্রনীতির অন্যতম মূল বিষয় হচ্ছে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা। বৈষম্যমূলক নীতি সংবিধান সম্মত নয়। প্রতিটি নীতিনির্ধারক, সুশিল সমাকের প্রতিনিধি, চিন্তাবিদ, মানবাধিকারকর্মী, গনমাধ্যমকর্মী বৈষম্যমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলেন। অথচ প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন আইনের মাধ্যমে সৃষ্টি করার হচ্ছে বৈষম্য।
ঢাকার যানজট একটি মুখরোচক শব্দ।
যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য বাস, ট্রাক, রিকশা বিভিন্নভাবে নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান আসেনি। কারণ দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত যান প্রাইভেট গাড়ী নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। প্রাইভেট গাড়ীর সুবিধা নিশ্চিতে এখন আবার ফ্লাইওভার, এলিভেটর এক্সপ্রেস, পাকিং তৈরির কথা হচ্ছে। বাড়ী, মার্কেট, অফিসে প্রাইভেট গাড়ীর জন্য জায়গা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দেশের সাধারণ জনগনের অর্থ গুটিকয়েক ধনী শ্রেনীর মানুষের জন্য এত সুবিধা নিশ্চিতের পরও, বিভিন্ন রাস্তায় বন্ধ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের বাহন ও গরীবের অবলম্বন রিকশা।
যানজটের কারণ প্রাইভেট গাড়ীর হওয়া স্বতেও তার নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি, বরং নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অথচ পরিবেশ বান্ধন, সাধারণ মানুষের বাহন এবং দরিদ্র মানুষের অবলম্বন রিকশা বন্ধ করা হচ্ছে। জনগনের টাকায় গুটিকয়েক ধনী মানুষের সুবিধা নিশ্চিত এবং গরীব ও সাধারণ মানুষের বাহন বন্ধ কোন ধরনের রাষ্ট্রনীতি?
বৈষম্যমূলক নীতির অংশ হিসেবে নীতিনির্ধারকগন কখন পারবেন গুটি কয়েক মানুষের বাহন প্রাইভেট গাড়ী বন্ধ করে, সাধারণ মানুষের বাহন নিশ্চিত করতে। নাকি আমরা সকলেই হয়ে থাকবো প্রাইভেট গাড়ীর সেবাদাস?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।