মানুষ আসে মানুষ যায় কিন্তু সময় যায় চিরতরে
কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্যকিছু শুনতে চাননি জিয়াউর রহমান- বলেছেন সামরিক আদালতে তাহেরের সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া এক সেনা কর্মকর্তা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত মেজর জিয়া উদ্দিন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, "বিচারের আগেই জিয়াউর রহমান উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের সামনে রায় অনুমোদন করিয়ে নিয়েছিলেন। সেখানে মেজর মঞ্জুরসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা তাহেরের মৃত্যুাদণ্ডাদেশের বিরোধিতা করেন।
"এতে জিয়া বলেছিলেন, 'তাহেরের ব্যাপারে তিনি মৃত্যুদণ্ড ব্যতিত অন্যকিছু শুনতে চান না। '"
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চে সাক্ষ্য দেওয়ার পর সাংবাদিকদের একথা বলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জিয়া উদ্দিন।
"এর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান দুই শতাব্দীর প্রজন্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন," বলেন তিনি।
কর্নেল এমএ তাহেরসহ ১৭ জনকে সামরিক আদালতে গোপন বিচারে ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সাজা দেওয়া হয়। এরপর ২১ জুলাই ভোররাতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
জাসদ সভাপতি ও সাংসদ হাসানুল হক ইনুও মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "১৭ দিন চলা ওই গোপন বিচারে তাকে [কর্নেল তাহেরকে] আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
"
তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে স্পষ্ট করার দাবি জানান।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের ভাই ও স্ত্রীর রিট আবেদনে গত ২৩ অগাস্ট হাইকোর্ট সামরিক আদালতে তার গোপন বিচারের নথি তলব করে।
পাশাপাশি তাহেরের গোপন বিচারের জন্য সমারিক আইনে জারি করা আদেশ ও এর আওতায় গোপন বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করাকে কেনো অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানাতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। void(1);
সুত্রঃ-ঢাকা, জানুয়ারি ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।