আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে বাঙ্গালী........ হায়রে মুক্তিযুদ্ধ........ হায়রে স্বাধীনতা



আজকে আমাদের দেশের মাথারা কে কার চাইতে বেশি VIP গ্যালারীর টিকিট পাবেন সেই লড়াইয়ে ব্যাস্ত । আর এদিকে যাদের ভোটে তারা আজ এমপি, মন্ত্রি, তাদের একি অবস্থা !!!! বাবা দুনিয়াত আমার কাউ নাই, বাইয়ের বাড়িত থাহি। টেলকায় হারা গতর কাঁপতেছে। হাত-পাও শান্নিক ধইরা আইসে। হুনছি সরকার কম্বল দিব।

হেই জন্য আইছি। নেম্বার-চেয়ারম্যানেক কইয়া এডা কম্বল নিয়া দিবেন?' কথাগুলো বলছিলেন ৭৫ বছর বয়সী পচিরন বেওয়া। রাজীবপুরের ব্রহ্মপুত্র নদের বিচ্ছিন্ন গ্রাম চরসাজাইয়ের ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা হয় সোমবার পশ্চিম রাজীবপুর মদনেরচর খেয়াঘাটে। পচিরন বেওয়া আরো বলেন, 'এবারের টেলকায় আর বাঁচমু না বাবা। আইতে ঠাণ্ডা বাতাসে ঘুম আইসে না।

নেম্বার ঘরোক ট্যাহা দিবার পারি না বইলা আঙ্গরের নাম নেয় না। ' শুধু পচিরন বেওয়াই নন, তাঁর মতো তীব্র শীতে কাঁপছেন অনেক বৃদ্ধা। মদনের চর ইউপি মেম্বার আশরাফ আলী বলেন, তাঁর এলাকার চরসাজাই, মদনেরচর, শংকর মাদবপুর, কেঁচোমারীচরের অনেক বিধবা এ শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন। আরেক স্বামীহারা হাজেরা বেগম (৬৫)। কম্বলের আশায় যাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদে।

খেয়াঘাটে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। ঠাণ্ডায় জবুথবু অবস্থায় তিনি বলেন, 'পোলারা বিয়া কইরা আলাদা থাহে। আমাক দ্যাহে না। আমার ঘরে কোনো খ্যাতা নাই। বড় পোলায় এডা চাদর কি না দিছে।

এইডা দিয়া কী ঠাণ্ডা যায়? খড় বিচিয়ে ও পরনের কাপড় গায়ে দিয়ে থাহি। ' ভারতের গারো পাহাড়ঘেঁষা রাজীবপুরে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে নদীভাঙা রাজীবপুরের দুস্থরা। কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু বলেন, 'প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদে অসংখ্য শীতার্ত মানুষ আসে কম্বলের আশায়। 'ক.ক.


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.