ঘুমিয়ে পড়েছো। ফোন ধরছো না যে। রিং বেজেই চলেছে। সেটাই স্বাভাবিক। সবাইতো আর আমার মতো নিশাচর প্রাণী নয়।
জীবনে এই লিখে দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। বদলানোর ক্ষমতা হয়তো আছে, চাইনা। এর চেয়ে ভাল বা বেটার বলতে কি কিছু আছে? সেটা আমার মনে হয় না। মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই। আমিতো মানুষই নাকি?
ছোটবেলায় খুব স্বপ্ন দেখতাম এখনো দেখি তবে ছোটবেলার মতো নয়।
অনেক অনেক স্বপ্ন, সব স্বপ্ন কি মনে আছে? সেই স্বপ্নগুলোই ভালো ছিল জানতাম কোনদিন পূরণ হবে না। এখন স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে চাই। কিন্তু হয়না। তখন বেশি করে হতাশা, কষ্ট, না পাওয়ার বেদনা কাজ করে। তাই চাহিদার পরিমাণটা কমিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেও ন্যূনতম চাহিদা নিয়েও বাঁচাতে পারছি কই?
ইদানিং নিজেকে খুব একা, অসহায় মনে হয়।
মনের জোরটা অনেকখানি কমে গেছে। কথায় আছে সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত পরে সেটা করলেও ফল তেমন করে পাওয়া যায় না। অনেকগুলো দিন সময় মুহূর্ত কাটিয়ে এসেছি। সবকিছুই কি ভুল ছিল। ছোটবেলার স্বপ্নগুলো ছিল সব আকাশ কুসুম।
এটা বড় হয়ে বুঝেছি। আরো বুঝতে পারলাম আমি কত বোকা। বোকারাই তো আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখে। এরপরও সৃস্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যা করে পাঠিয়েছো এটারই হয়তো প্রাপ্ত আমার। এর চেয়ে বেশী কিছু পাওয়ার অধিকার আমার নেই।
অনেকভাবে চেষ্টা করি মনের জোর বাড়ানোর। অন্যকে বলি এভাবে না ওভাবে চলা উচিত এরকম নয় ওরকম করে ভাবা উচিত। অন্যের সাফল্যে এখনও আনন্দ লাগে। নিজের সাফল্য’র আনন্দটুকু পুরোপুরি পাইনা। আসলে দিতে শিখিনি পুরোপুরি পাওয়ার আশা করি কিভাবে? এরপরও যে যেটুকু দিচ্ছে সবই দিতে চাই সম্পূর্ণ করে।
সেখানেও ব্যর্থতা এসে ভর করে।
তোমার সাথে কথা বলার দশ মিনিট পড়ে মানে ১-৪৫ মিনিটে বাসায় আমার রুমে প্রবেশ করলাম। আমার বিছানায় আমার এক ভাই ঘুমিয়ে আছে। রাতের বেলা বাড়ি থেকে এসেছে। নিজের আগে থেকে জানা না থাকলে আমার বিছানায় কেউ ঘুমালে আমার ঘুমাতে কষ্ট হয়।
আগে এটা হতোনা ইদানিং হচ্ছে। এর কোন কারণ জানা নেই। ফ্রেশ হয়ে ভাত খেতে বসলাম। টিভি চলছিল তাই ভাত খেলাম আর টিভি দেখলাম কিছুক্ষণ। টেবিল গুছিয়ে এসে রুমে ঢুকে দেখলাম ২-২৭ বাজে।
তখনই ফোন দিয়েছিলাম। তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো. . .। ঘুমাও, ঘুমের সময় ঘুমটাই বেশী জরুরী।
কম্পিউটারে গেমস খেলতে বসেছিলাম। একটা সহজ গেম কিছুতেই মেলাতে পারিনি।
এটা কখনো হয় না। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। অনেক কষ্ট করে নিবৃত্ত করতে চাইলাম। তখনই ভাবলাম তোমাকে একটা চিঠি লিখি। অনেকদিন তোমাকে চিঠি লেখা হয় না।
কি লিখব তাইতো বুঝি না। মনের খারাপ লাগাটা কিছুটা কমেছে। তাই তোমাকে একটি কবিতা লিখে দিলাম অলোকনাথ মুখোপাধ্যায়-এর লেখা। দেশ পত্রিকাতে ছাপানো হয়েছে। কবিতাটা আমার কাছে অন্যরকম মনে হয়েছে।
শান্ত হয়ে আসছে জীবন
দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি এসে পড়ছে চোখেমুখে
আঃ কার্তিকের হাওয়া, চেনা ছন্দ, চিরচেনা রাত
সব ক্লান্তি হাহাকার,
ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে মনে হয় আজ।
কে দরজায় কড়া নাড়ছে? তাকে ডাকো
ঘরে বসতো দাও
জলে ভেজা হাতদুটো ধরে বলো, ভাল আছো? ভাল?
কপালে যে-কটা চুল লুটিয়ে পড়েছে—
ধ্বস্ত জীবন থেকে খুঁটে নাও কষ্টকণাগুলি
বলো, ভাল থেকো।
দু-একটা শালিখ চড়ুই, দু-একটা তিতলি ফড়িং
মানুষের খুব প্রয়োজন
মানুষ কি জানে?
কবিতা আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে না। আমি কবিতা পড়ি। তবে কবিতার ভক্ত নই।
মাঝে মাঝে কবিতাকে খুব ন্যাকামো মনে হয়। আমি যখন আমার চঞ্চলতাকে খুজি তখন কবিতা পড়ি। তখন নাটক পড়ি উপন্যাস, গল্প, কমেডি মুভি, ভয়ংকর সব ফিল্ম দেখার চেষ্টা করি।
অনেক কবিতা অবশ্য আমার মনকে ছুঁয়ে গেছে। ঘুরে ফিরে সেইগুলোই বারবার পড়ি।
এই মুহূর্তে এই কবিতাটা কেমন যেনো অবুঝ মনে হল। তুমি বুঝতে পারো কি না দেখোতো। এখন রাত ৩-৩০ বাজে। বাইরে সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করছে। আমি এখনো ঘুমোতে যাইনি।
আজকের পত্রিকাতে একটা খবর পড়ে খুব খারাপ লেগেছে। একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তার ছোটভাইয়ের সাথে মোবাইল ফোন নিয়ে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করেছে। এত ছোটখাটো বিষয়ে মানুষ নিজেকে শেষ করে দেয়। আমি পারছি কই। সাহসের বড়ই অভাব. . .।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।