আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুয়েট লাইফ -পার্ট ২

অপেক্ষায় আছি!!!!! ইউনিভার্সিটি লাইফ এর শেষ পর্যায়ে আছি, আমার ভালোলাগার এই ছোট্ট সময়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এর আগের পোষ্টে ফার্স্ট ইয়ার এর প্রথমদিক এর কথা ছিল,আপনারা চাইলে সেটা এইখানে পাবেন। প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল দেওয়ার পর বুঝলাম আসল BAMBOO কারে বলে। স্যার রা ক্লাসে সবথকে সোজা প্রবলেম টা করিয়ে ফাইনাল এ দেয় সবচে কঠিন টা। কিন্তু এত কঠিন প্রশ্নের পরও দেখলাম কিছু পুলাপাইন( আমরা কেল্টু বলি) এর মুখে PEPSODENT এর হাসি , পরে ওঁরা যা বলল তাতে মাথায় নষ্ট।

সব নাকি আগের ইয়ার এর প্রশ্ন থেকে দেওয়া। আফসোস চোথায় এসব ছিল না... কোনরকম এ সেমিস্টার ফাইনাল টা শেষ করলাম।  আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, এইবার বাঁশ খাইসি তো কি হইসে?? নেক্সট টাইম কুপাই দিব। সেকেন্ড সেমিস্টার এর প্রথম দিক এ কত প্লান?? এইবার সব কিছুর চোথা বানাবো... আর ও কত কি?? প্রথম ১ সপ্তাহ সব ওকে। কিন্তু নেক্সট বৃহস্পতি বার থেকে আবার সব আগের মতো হতে লাগলো  ।

ফ্রেন্ড রা সবাই মিলে মুভি দেখা, কার্ড খেলা, টেবিল টেনিস এর ফাকে পড়ার সময় কোথায়?? এইসময় হল লাইফটা অসাধারন কেটেছে। গরম এর সময় রাত এ প্রায় ২ঘণ্টা কারেন্ট না থাকা একটা স্বাভাবিক ঘটনা। এই সময় আমরা ফ্রেন্ড রা রুয়েট এর কত আম লিচু চুরি করসি তার হিসেব নেই।  মাঝে মাঝে রাত ১.৩০ থেকে ৩ টার দিকে তালাইমারি যেতাম বট(গরুর ভুরি)+পরটা খেতে। এটার স্বাদ এক কথায় জটিল।

 রাত্রে সবধরনের কাজ( অকাজ) শেষ হতে দেখা যেত ৩.৩০ বেজে গেছে। এরপর ঘুম। আমাদের ক্লাস থাকতো সকাল ৮ টাই। রুম মেট দের ডাকশুনে প্রতিদিন মনে হতো, থাক আজ ক্লাস করব না, কিন্তু শেষ এ ঠিক এ যেতাম। অবশ্য ক্লাস এর লাস্ট বেঞ্চ আমাদের কয়েক জন এর জন্য বরাদ্দ ছিল।

মাজেদ স্যার এই ক্লাস শুরু হলেই কেন যে চোখে রাজ্যের ঘুম চলে আসতো? এইটা আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি... একটা কারন হতে পারে স্যার অনেক ভাল পড়াত । আজ আর না, ভাল থাকবেন সবাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.