চলতে এখনও করিনি শুরু, খাঁচার ভেতর কেবল উড়ুউড়ু!!
আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। । আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে দুইটি বছর অতিক্রম করার পর কালকে আমি আমার ক্যাম্পাসে প্রথম কোন বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান পেলাম। ব্লগারদের অনেকেই আবাক হতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেকেই বলতে পারেন ‘দুই বছর পর,অসম্ভব’! কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে আমার ক্যাম্পাস(রুয়েট), আমার ডিপার্টমেন্ট ।
তবে গতকালকের সন্ধ্যাটা ছিল দুই বছরের সন্ধ্যার চেয়ে আলাদা, গতকালকের রাতটা ছিল দুই বছরের অন্য রাতের চেয়ে আলদা।
অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিল যন্ত্রকৌশল বিভাগ । আমার বিভাগের সবার মাঝে দেখেছি উৎসবের আমেজ, সবার চোখে দেখেছি নতুন কিছু দেখার বাসনা, সবার মাঝে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। “২০০৪ সিরিজের বিদায় আর প্রথম বর্ষের বরন”-এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি আধ্যাপক ডঃ ফজলুল বারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডি এস ডব্লিউ আধ্যাপক ডঃ আশরাফুল আলম আর সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান আধ্যাপক ডঃ সিরাজুল করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানের একেবারে শুরুতে ছিল একটি সেমিনার-“Prospects & Fields of Mechanical Engineering”. বিদায়-বরন পর্বের পর শুরু হয় অতি আকাঙ্ক্ষীত কালচারাল অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে ছিল অপার উন্মাদনা।
কালচারাল অনুষ্ঠান যন্ত্রকৌশল বিভাগের গন্ডি পেরিয়ে পৌছে যায় সবার মাঝে। গান, নাটিকা, কবিতা আবৃতিতে কেটে গেছে আমাদের কালকের সন্ধ্যাটা। অডিটরিয়াম ভর্তি দর্শকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে আনন্দের উত্তাল স্রোত। আজ কেন মন উদাসি হয়ে, ভাল লাগে ফুল, নিঃস্ব করেছ আমায়, এই বৃষ্টি ভেজা রাতে, চাইতেই পারো, পাগলা হাওয়া, সেই তুমি কেন ……. এমন সব গানে জোয়ার উঠেছিল পুরো অডিটরিয়ামে। গান গাইল যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা।
অনুষ্ঠান শেষ হয় পৌনে বারোটায় কিন্তু তার আগে ঘটে গেছে একটা মৃদু বিপ্লব। ইঞ্জিনিয়াররাও যে গান গাইতে পারে, অভিনয় করতে পারে, ক্লাস-ল্যাব-রিপোর্ট এসবের বাইরেও যে আমাদের একটা জীবন আছে তার প্রমান তো কালকের রাতটা। আমাদের এই জীবনের অস্তিত্ব মনে করিয়ে দেবার জন্য কালকের দিনটার খুবই দরকার ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।