ড. অমর্ত্য সেনের পরিচয় নতুন করে দেওয়ার খুব একটা প্রয়োজন বোধ করি না । তবে সবার কাছে অতি পরিচিত তিনি, একটা কারণেই বেশি তা হলো নোবেল প্রাইজ প্রাপ্তি। ড. অমর্ত্য সেন অর্থনীতি, ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কিত গ্রন্থ রচনা করে বেশ খ্যাতিও পেয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পরিচিতি সম্পর্কে একটা বই লিখেছেন। গ্রন্থটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গ্রন্থটির নাম দি আরগুমেনটেটিভ ইন্ডিয়ান । এ গ্রন্থে তিনি ভারতের বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখেছেন । বিশেষ করে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জনগোষ্ঠীর জীবন সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন সুগভীরভাবে। তিনি ইসলাম সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বলেছেন- ইসলাম একটি পুরাতন সনাতন ধর্ম । তাই সেই পুরাতন ইসলাম বাদ দিয়ে মডারেট দীনি ইলাহী মেনে চলা উচিত।
আবার তার হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বলেছেন - হিন্দু ধর্ম উদার ধর্মনিরপেক্ষতার একটি ধর্ম।
উক্ত বিষয়ে দুটি কথা বলা প্রয়োজন হেতু ড. অমর্ত্য সেনের কাছে এ খোলা চিঠি।
তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে না জেনেও একটা গ্রন্থে এ রকম শিশুসুলভ লিখনী উপস্থাপন করেছেন যা আমাদের হতবাক করেছে। তিনি ইসলামকে পুরাতন বলেছেন কিন্তু হিন্দু ধর্ম কি তাহলে নতুন, আর ড. অমর্ত্য সেনই হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক ফলে এটি নতুত্বের আবরন পেল।
শুধু পুরাতনের জন্য যদি ইসলাম বাদ দিতে হয় তাহলে পুরাতন সবকিছু ঝেড়ে ফেলেন না কেন অমর্ত্য সেন ও তার অনুসারীরা ।
যেমন সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষ মুখ দিয়ে খায় অমর্ত্য সেন এ যুগে মুখ দিয়ে কেন খাচ্ছেন ? কেন পুরাতন বাবা কে বাবা, মাকে মা ডাকছেন ?
আবার তিনি নিজ ধর্মকে ধর্মনিরপেক্ষতার গুনে গুনান্বিত করছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার সঠিক অর্থ কি তিনি জানেন ? কারণ তিনি হিন্দু হলেও পরধর্ম ইসলাম কে আক্রমন করে সাম্প্রদায়িক আগুন উস্কে দিচ্ছেন আবার মুখে বড় বড় বক্তব্য এ মানাইনা। পৃথিবীর ইতিহাসে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সবচেয়ে বেশি ভারতে, যে দেশে বাবরী মসজিদ ধ্বংশ করে ইতিহাস কলঙ্কিত করেছে তারাই ধর্মনিরপেক্ষ। আবার হিন্দু ধর্মে পৃথিবীর সবচেয়ে জাত ছোট বড় করে মানুষকে ছোট করা হয়েছে। যে ধর্মে জাত বা বর্ণ আছে তা কখনও ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না ।
আরও অনেক কথা আছে তবে তার পরে বলব পর্যায়ক্রমে।
শুধু বলতে চাই গোটা পৃথিবীর মুসলমানদের কাছে ড. অমর্ত্য সেনকে ক্ষমা চাইতে হবে। এটি তার উদারতার প্রামানিক নিদর্শণ হবে এ প্রত্যাশা আমাদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।