গুজরাট দাঙ্গার জন্য ‘দায়ী’ নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না বলে কিছুদিন আগে বলেছিলেন নোবেলজয়ী বাঙালি এই অর্থনীতিবিদ।
তার মন্তব্যে বিজেপির মধ্য থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। তাকে দেয়া ‘ভারত রত্ন’ পদক কেড়ে নেয়ারও দাবি তোলেন বিজেপির এক এমপি।
রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে এই বক্তব্যের জন্য অমর্ত্য সেনকে ক্ষমা চাইতেও বিজেপির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়, যা প্রত্যাখ্যান করলেন তিনি।
সেই সঙ্গে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক নিয়ে কথা বলাও নিজের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে জানান এই নোবেলজয়ী।
অমর্ত্য সেন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি মোদীকে নিয়ে করা বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি না। ভারতের একজন নাগরিক হিসেবে আমি ভীষণ চিন্তিত যে অনেক বিষয় নিয়েই আমরা যথেষ্ট খোলামেলা আলোচনা করছি না। যে কারণে অনেক বিষয় নিয়ে আমরা সঠিক মতামত জানাতে পারছি না। ”
২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার মুসলমান নিহত হন, যাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নরেন্দ্র মোদির উস্কানি ছিল বলে বলা হয়ে থাকে।
মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে ভারতের আগামী নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে যাচ্ছে এখনকার বিরোধী দল বিজেপি।
আর তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েই গত সপ্তাহে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেন, একজন ভারতীয় হিসেবে তিনি কখনোই মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান না।
অমর্ত্য সেনকে ‘ভারত রত্ন’ পদক দেয়া হয় বিজেপির শাসনামলে। বিজেপির এমপি চন্দন মিত্র তা কেড়ে নেয়ার দাবি তোলার পর তিনি বলেন, পদক ছেড়ে দিতেও তিনি প্রস্তুত।
“মি. চন্দন মিত্র হয়তো জানেন না যে, বিজেপি সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপায়ী আমার হাতে ভারতরত্ন পদক তুলে দিয়েছিলেন। মি. বাজপেয়ী সেটা ফেরত চাইলে আমি অবশ্যই তা ফেরত দেব।
”
চন্দন অবশ্য পরে তার বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।