"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ
আবার লিখতে বসলাম ,তবে আজ মন ভালো না,যদি কোনো রাজনৈতিক নেতা হতাম তাহলে হয়তো আমার উপমা হত “হে ঝাতি!! আজ আমি অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি…………”
যাই হোক কথার প্যাচগিতে না গিয়ে আমার সেই দুষ্ট কাহিনীর আজ পঞ্চম পর্ব (আগের পর্বগুলো ....
হাটি হাটি পা পা... হাটি হাটি পা পা... -২ হাটি হাটি পা পা... -৩ হাটি হাটি পা পা... -৪ )
হাটি হাটি পা পা -৫
ক্লাস ফাইভ এ উঠলে মানুষের নিজেকে কেনও যেনো নিজেকে দায়িত্ববান মনে হয় ,জানি না আমার মনে হত,তাই হয়তো স্বপ্ন দেখতাম ইশ আমাকে যদি কেউ বিপ্লব করে দেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা বানিয়ে দিতো তাহলে আমি কি করতাম , যদি তখন কোনো আমলা অথবা কামলা সে যাই হোক কেউ আমাকে এম.পি করে দেবার চান্স দিতো তাহলে আমি কি করবো তা নিয়ে এক লম্বা বক্তৃতা হয়তো তৈরি করতে বসে যেতাম ,আসলে আমি তখন এম.পি কি জিনিস সেটাই বুঝতাম না বুঝতাম যা তা হল এম . পি – মেয়ে পাগোল ,যা খুব সম্ভব আমার নামের অপর সমার্থক …
স্বাধীনচেতা ছিলাম প্রচুর ,প্রায় ক্লাস ফাকি দিয়ে চলে যেতাম হেটে হেটে সেই পাহাড়ের পথে ,জাফলং সড়ক এর তখন নির্মাণ কাজ চলছিল,কিভাবে বড় বড় ইন্ডিয়ান ক্রেন গুলো মাটি একবার উপরে তুলে আবার নিচে ফালে হাল চাষের মত সেটা ছিল আমার গবেষণার এক বিশাল বিষয় ………..আমার এক বন্ধুর বাসা স্কুল এর খুব কাছেই ছিলো তার বাসায় চলে যেতাম,ওদের বাড়ির পাশেই মনে হয় সারি নদীর একটা শাখা ছিলো সেখানটার তীরে বসে বসে মহিষের গোছল দেখতে দেখতে যে কিভাবে দিন কেটে যেতো মাঝে মাঝে সেটাই টের পেতাম না …….
একদিন ঘটলো একমজার কান্ড ,আমার বন্ধু খুব বড়াই করে একদিন স্কুলে বলছিলো যে সে নাকি গাভীর দুধ গাভী থেকে বাছুর এর মত করে খেতে পারে ,আমি আবার ওর খুব বড় ভক্ত ছিলাম যাই বলতো তাই বিশ্বাস করতাম,তাই একদিন তার বাড়িতে যাবার পর তার ওই ব্যাপার টা দেখাতে বললাম তাকে,বেচারা অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের ২ জনের ই অবস্থা খারাপ করে দিলো,মনে হয় অতি আত্মবিশ্বাসে জোরে ………তারপর আর কি ২ জন ২ দিকে দৌড়,বনের কাটা লতায় আমার হাত পা কেটে একাকার হয়ে গিয়েছিল……..
ক্লাস ছিলো সকাল আটটায়,তাই এসেম্বলি ফাকি দেয়াটা ছিলো আমার সেই দিন গুলোর অন্যতম একটা ব্যাপার,স্যার রাও কম যেতেন না ক্লাস চেক করতেন নিয়মিত।একদিন বেঞ্ছের নিচে লুকিয়ে আছি স্যার ক্লাস চেক করতে এসেছেন কিন্তু বিধি বাম কেমন করে যেন ধরা পড়ে গেলাম ,এর পরের কাহিনী হল স্কুল এর এসেম্বলিতে সবার সামনে ক্লাস ৫ এর ফাস্ট বয় আর কান ধরে ঘন্টা পর্যন্ত উঠবস ………
কাউকে প্রপোজ করা এটা এখন কার যুগে বাচ্চাদের মুখে তো কোনো ব্যাপার ই না ,আমার পিচ্চি খালাতো ভাই কে MARRY করার জন্যা বলে তার স্কুলের সব মেয়েরা পাগোল,বেচারা আবার উইলস লিটল এ ক্লাস ওয়ান (স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান) এ পড়ে ।
আর আমিও একজনকে পছন্দ করেছিলাম তাকে যে কতকিছু দিয়ে দিয়েছি নিজে না পড়ে ,আমি চাইতাম ও ফাস্ট হোক কিন্তু মেয়ে তো আমার মন বুঝলো না।
যেনো যাহা চাই তাহা পাই না ……………………তাকে বলেছিলাম পছন্দের কথা ,কিন্তু বেচারী বলে দিলো তার আম্মুকে তারপর ………….আর কি তৎকালীন বিখ্যাত !! শিল্পী আসিফ এর “বাচবোনা মরে যাবো ” গানটা সারাদিন শুনতে থাকলাম …………
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।