"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ
আবার লেখার দুঃসাহস নিয়ে বসলাম। কিন্তু আমি খুব ভালো করেই জানি আমার লেখার দৌড় কতটুকু ......
প্রতিদিন ব্লগে আসি। আমার আনুসারিত ব্লগারদের লেখা পড়ি আর ভাবি যে না আরও লেখা পড়তে হবে! এই জ্ঞান নিয়ে কিছুই লেখা যায় না!!!(ব্যপক আফসোসের ইমো)
যাই হোক!! আমার বাচ্চাকালের দুষ্টুমির কাহিনী লিখতে হয়তো এতো জ্ঞান না হইলেও চলবে। কারণ ওটা ছিল শিশুসময়ের কিছু অমূল্য সময়ের চুম্বকআংশ!
গত অংশ লেখার পর একদিন ক্যাম্পাসে কে জানি বলল সিরিজটা ভালো হচ্ছে ...........চালিয়ে যেতে!আমি ভাব নিয়ে দাড়িয়ে থাকলাম আর মনে মনে বললাম যে ব্লগে যে আমার চেয়ে ভালো লেখে এরকম কত যে আছেন!!!!তারপরও অনেক বড় ও ছোটো ভাই ব্লগাররা কষ্ট করে পড়েছেন সাহস যুগিয়েছেন ........সেই দুঃসাহস থেকেই লিখছি!
হাটি হাটি পাপা -৩
ক্লাস ৩ তে উঠার পর আব্বু আম্মুর মনে হল সবার মতো হয়তো এবার আমার ছেলেমানুষিগুলো আস্তে আস্তে কমে যাবে। কিন্তু এটা যে আসলে কে...... তা দেখতে হবে না???
নানা দুষ্টুমিতো করছিলামই সাথে কিছু বোকামির জন্য পাওয়া শাস্তিগুলোই এতো ব্যতিক্রম ছিল যে আজ আমার এখন ও মনে পড়ে......
একদিন সমাজ ক্লাসে ম্যাডাম জাতীয় সংগীত মুখস্ত করে লিখে আনতে বলেছিলেন।তো আমি মুখস্ত না করেই খাতায় লিখে এনেছিলাম!!! (চালাকি আর কারে কয়)
তো ম্যাডাম ক্লাসে এসে সবার কাছে এই H.W চাইলো. দেখা গেলো আমি সহ ৩/৪ ছাড়া বাকিরা কেউই আর আনে নি ......তো ম্যাডাম তার শাস্তি হিসেবে সবাইকে স্কুল মাঠে দুপুরে কানে ধরে পুরো পিরিয়ড উঠ বস করতে বললেন!!
তো সবাই ম্যাডামের শাস্তি পালন করতে ব্যস্ত আর ম্যাডাম ক্লাসে বসে তাদের শাস্তি দেয়া দেখছেন। আমিও উনার সাথে দেখছিলাম.........এর মাঝে আমি কেন জানি হঠাৎ করে হেসে উঠলাম!!
ম্যাডাম ছিলেন খুব কড়া! তিনি তখনই আমাকে দাড়া করালেন!!
ম্যাডামঃ এই ছেলে তুমি হাসছো কেনো?
আমিঃ (কিছু চিন্তা করে না পেয়ে )ম্যাডাম ওদের দেখে হাসি পেলো! (পোলাডা কত্ত বলদ !!!!)
ম্যাডামঃ তোমার মজা লাগছে না???
আমিঃ (বরাবরের মতই কনফিডেন্ট)জি ম্যাডাম!!
ম্যাডামঃ যাও ওদের সাথে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকো!!
এরপর আর কি করা ম্যাডামের কথা মত তাদের সাথে কান ধরে উঠ বস করতে থাকালাম ....!!!
আমি স্কুলে যেমন ত্যাদোড় ছিলাম স্কুলের বাইরে তেমনি। একদিন আম্মুর সাথে পাশের বাসার এক আন্টির বাসায় গেলাম …….কারণ বাসায় থাকলে আমি হাতুড়ি বাটালি দিয়ে কাঠমিস্ত্রিগিরি করা আরম্ভ করে দেই!
তো সেখানে এক আন্টির ২ মেয়ে ছিলো! একজন ছিলো আমার বড় উনি সম্ভবত ক্লাস ৮ এ আর আরেকজন ছিলো আমার চেয়ে ছোটো হবে হয়তো ক্লাস ২ তে পড়তো তখন!!
তো আপু আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে, তুমি বড় হয়ে কি করবে??
আমি বললাম বড় হয়ে পুলিশ হব !!
আপু তো হাসতে হাসতে শেষ!
বলল যে পুলিশ হয়ে কি করবে??
আমি বললাম পুলিশ হয়ে গুলি করবো ঠিস ঠিস!!
তখন আবার অনেক বাসায় ভি-সি-আর ছিলো আর সেখানে সারাদিন ই শাহরুখ খানের কোনো না কোনো একটা মুভি চলতো। তো সেখানে ভি-সি-আর সেটে এরকম একটা মুভি চলছিল! তো আমি আপুকে আমার স্বপ্নের রূপরেখা কিরুপ হবে তার একটা প্রাক্টিকাল এক্সপেরিমেন্ট দেখিয়ে দিলাম!!
আমার পাশে ছিলো আন্টির ছোটো মেয়েটা!
তার হাত ধরে আমি হঠাৎ খাট থেকে লাফ দিয়ে বললাম আপুকে যে আপু আমি এভাবে এশাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবো!!
আপু তখন হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছিলো না!
পূর্বের পর্ব গুলো......
হাটি হাটি পা পা... -২
হাটি হাটি পা পা...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।