"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ
লিখতে ইচ্ছে ছিল অনেক দিন থেকেই কিন্তু লিখার সাহস পাচ্ছ
না..........হয়ত আমার দুর্বল চিত্তের মন আমাকে প্রেরনা দিচ্ছে
না...........কিন্তু লিখতে যখন বসেছি তখন আজকে পন করেছি যে যেভাবেই হোক
আমাকে লিখতেই হবে................
আমার শিশুকালটা ছিল অনেকটাই নিয়ম এর গন্ডি তে সী্মাবদ্ধ.....এটা করা
যাবে না ওটা করা যাবে না.....এই ধরনের.....বাসায়ই আম্মু ক্লাস ওয়ান এর
পড়া পড়িয়ে ফেলেছিলেন......তাই স্কুল এ যখন ভর্তী হতে গিয়েছিলাম মনে আছে
তখন আব্বু নিয়ে গিয়েছিলেন। এখানে বলে রাখা ভাল যে আমি পড়েছি মফস্বলের
এক স্কুলে। তো প্রথম ক্লাস নতুন জায়গা সবকিছুই ভাল লাগছিল........কিন্তু
এই নতুন জায়গায় এসে ভুল করে ফেললাম আমি .....স্যার এর কাছ থেকে অনুমতি
নিয়ে বাথরুমে গিয়ে ফিরে আসার সময় আমি ক্লাস ভুল করে অন্য এক ক্লাস এ
ঢুকে পরলাম। এদিকে আমার আব্বু তো স্যার কে বলে গেছেন যেন আমাকে দেখে
রাখেন আর অন্য দিকে আমি বড় দের ক্লাস এ ঢুকে বসে আছি তখন কিছু বড় ভাই
ছিল। (হয়ত ওটা ক্লাস ফো্র হবে) তারা আমার নাম জিজ্ঞেস করেছিল।
আর কি কি
জিজ্ঞেস করেছিল আমার কিছুই মনে নেই আমি তো উনাদের বই দেখে ভাবছিলাম যে
আম্মু আমাকে যে বই বাসায় পড়িয়েছে সে বই হয়ত স্কুল এ ভর্তীর জন্য
লাগে। আর এখন এই বই হলে আবার ভাল করে পরতে হবে অন্য দিকে স্যার আমাকে
সারা স্কুল এ খুজে পান না। খুজতে খুজতে তিনি আমাকে শেষ পর্যন্ত
পেয়েছিলেন তাও এক ঘন্টা পর.........। ।
এরকম আর একদিন এর ঘটনা প্রথম দিন যে স্যার এর ক্লাস থেকে গায়েব হয়ে
গিয়ে ছিলাম ………উনি ছুটির পর এসে বললেন যে চল বাজারে যাই নাস্তা খেয়ে
আসি......।
। তো স্যার এর কথা মত......স্যার এর সাথে চললাম কিন্তু এদিকে
আমার আব্বু স্কুল এ এসে আমাকে নিয়ে যাবার জন্য বসে রয়েছেন র আমার এদিকে
কোনো খেয়াল ই ছিল না। । স্যার এর সাথে বাজারে ঘুরে ফিরে যখন স্কুল এ ফিরে
আসি তখন তিনি দেখি রাগি চেহারায় আমার জন্য অপেক্ষা করছেন......। ওইদিন
বাসায় ভালই পিটুনি খেয়েছিলাম..............
এই হল আমার ক্লাস ওয়ান এর সামান্য ঘটনা কারন আমি মাত্র ৭ দিন ক্লাস করেছিলাম
আর একবার এর ঘটনা।
তখন আমি খুব সম্ভব ক্লাস ফো্র এ পড়ি। তখন ইত্যাদিতে এক পর্বতে এরকম একটা
অংশ দেখিয়ে ছিলো বাংলা সিনেমার অনুকরনে- নায়ক বলছে- " ঘরের তালা ভাঙব
তোমায় আমি আনব………….তো্মার ভাই এর চামড়া তুলে নাব আমরা……..”এই লাইন তা
তখন আমার মনে খুব ধরে ধরেছিল। তো বাচ্চা কালের একটা বাচ্চামি সবার এ থাকে
যে স্কুল এ কোন ছেলের সাথে কোন মেয়ের জোড়া তৈরি করা যায় তো একদিন
ক্লাসে বসে এরকম কোন একভাবেই হয়তো বলে ফেলেছিলাম । আর যায় কথায় সবাই
পাইসে নতুন এক সুত্র। ক্লাস এ বসে আমাকে খেপানোর জন্যই হয়ত সারাদিন এই
লাইন তা বলত......তবে একটু পরিমার্জিতো করে বলা শুরু করল...।
“ঘরের তালা
ভাঙব ***** (নাম টা আর বলতে চাই না) তোমায় আমি আনব……তোমার বাপের চামড়া,
তুলে নেব আমরা (যেহেতু তার কোনো ভাই ছিল না!!)তখন চিন্তা করতাম যে হানিফ
সংকেত আর লাইন পাইল না……দুনিয়ার এত থাকতে............। আফসুস্!!!!!!!
এই বছরের আমার দিত্বীয় আর শেষ পোষ্ট......সবাই ভাল থাকবেন শুভ নববর্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।