আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাইয়ের কাছে লেখা অলিম্পিকের খোলা চিঠি!!

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা... চির উন্নত শির......

ভাইয়া, কেমন আছো তুমি?ঐ দূর দেশে আমাদের ছেড়ে তুমি কি ভালো আছো?তোমাকে যে খুব মিস করি আমরা!তোমার সেই হই চই,তোমার সেই ভেংচি দেয়া মুখ,উস্কানিমুলক কথা বার্তা,সব মিস করি আমরা!!আমরা সবাই মিস করি-আমি,আপু আম্মু,আব্বু--সবাই!! আজ তোমাকে চিঠি লিখছি একটা কারনে। আজকের দিনটাতে তোমাকে আর ভাবিকে মনে পড়ছে খুব বেশি। ঠিক এক বছর আগে আজকের এই দিনে তুমি দেশে এসেছিলে। সেদিন আমাদের আনন্দের কোন সীমা ছিলো না। কিন্তু বেশি দিন তো হয়নি তুমি সেখানে গিয়েছো!!মাত্র নয় মাস।

কিন্তু এই নয় মাসকে তো আমাদের মনে হয়েছিলো নয় যুগ!!য়ার এখন হয়ে গেলো এক বছর!!হয় তো বা আগামী বছরি আবার আসবে। কিন্তু আগামী বছর আসতে যে আরো অনেক দেরি!! এখন বাজে একটা। দুপুরের কড়া রোদ বাইরে!!এমন সময় তুমি সেদিন কি করছিলে তোমার মনে আছে?জানি না মনে আছে কিনা!!তুমি সেদিন এই সময় সবার সাথে হই চই করছিলে। আর আমি তৈরি হচ্ছিলাম পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য। সেদিন যে কতটা আনন্দ হয়েছিলো আমাদের!!এসেছিলে মাত্র ২২দিনের জন্য।

বিয়েটাই দিয়ে দিলাম। ভাবিকে পাঠিয়েও দিলাম!!আনন্দময় সেই ২২ দিনের স্মৃতি খুব মনে পড়ছে আজকে!! প্রতিটাখন আমরা তোমাদের কথা মনে করি। তুমি তো জানো না ভাইয়া,আম্মুকে আমরা প্রায়ই দেখি একা ঘরে কাদে!!তুমি তো জানো না ভাইয়া,তোমাদের কথা উঠলে আব্বুর চোখ ছল ছল করে। আপু কতটা মিস করে তোমাকে। প্রতিদিন সকালে তোমাদের সাথে কথা হয়,কিন্তু তবুও মনে হয় যেন কত কাল কথা বলি না তোমাদের সাথে।

তুমি তো জানো না ভাইয়া,আমাদের ঈদের দিন শুরু হয় কান্না দিয়ে!!তোমার জন্মদিন শুরু হয় কান্নায়!!ভাবিকে আর তোমাকে আমরা কত মিস করি সেটা তুমি জানো? তুমি যখন ঢাবির একুশে হলে থাকতে,প্রতিটা শুক্রবারের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম। কারন সেদিন তুমি বাসায় থাকবে!!আমরা সব স্পেশাল ব্যপার রেখে দিতাম সেই দিনের জন্য। এখনও কোন স্পেশাল দিনে স্পেশাল কিছু রান্না করার সময় তোমার কথা মনে হয়,ভাবির কথা মনে হয়!!কিন্তু রাখার তো উপায় নেই!! বেশি কিছু তোমাকে লিখব না ভাইয়া!!অনেক বেশি লিখে ফেলেছি। তোমার কাছে লেখার সময় তো লেখা কোন বাধ মানে না!! হুম,আমি এই চিঠিটা তোমাকে মেইল করতে পারতাম। অথবা ফেসবুকে মেসেজে দিতে পারতাম।

কিন্তু আমি তা দেইনি। কারন আমি চাই না এই চিঠিটা তোমার হাতে যাক। তুমি অনেক মন খারাপ করবে। দেশে আসার জন্য তোমার মন উতলা হবে। আমরা সেটা চাই না।

তুমি ভালো করে পড়াশুনা কর। ডক্টরেট ডিগ্রিটা নাও। ফার্স্ট হও। এটাই আমরা চাই। মন খারাপ থাকলে তো পড়া শুনা হবে না!! ভালো থেকো ভাইয়া।

সামনে তোমার পরীক্ষা। ভালো ভাবে পরীক্ষা দিও। ভাবির রেজাল্ট যেন ভালো হয় সেই দোয়া করি। আর খারাপ হলে বকা দিও না। বুঝই তো ওখানে তো তুমি ছাড়া ভাবির আর কেউ নাই!! তোমরা অনেক ভালো থেকো ভাইয়া!! ইতি- তোমাদের "অলিম্পিক"



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।