যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা
নূপুরের গান আর বৃদ্ধা সাপের হিসহিসানিতে, আমরা মুর্ছিত হব।
আমরাও হাটব, যত দূরে চোখ না যায়, ততটা।
যেখানে মনে হয় আকাষ, নদী পৃথিবী একসাথে কথা কয়।
বিস্তির্ন সবুজ ধরে আমরা হেটে যাব, কালো সাদা ধূসর মেঘেদের সাথে।
যেতে যেতে আমরা যাব, আমরা পাব আমাদের
আর শিতে কুকড়ে থাকা পানকৌড়ি,
আর বষন্তের নাটেঙ্গেল, আর কোকিল আর সমস্তই।
সন্ধে হলেই আমরা চাঁদে আলো জ্বালিয়ে দেব।
মেঘ ফেটে চাঁদ বেরোবে, চাঁদ থেকে ঝরে পড়বে
হরেক রকমের রোদ নীল, সাদা, কলাপাতা রঙ।
আমরা এক হাতে বৃষ্টিকে ছুয়ে দেখব।
একহাতে ধরে রাখব অজস্র তুষার পতন।
আমরা যাব, যেতে যেতে ভেসে যাব
সুমুদ্রের ডানার উপর দিয়ে, যেদিকে ছুটে চলে
সদ্য চোখ ফুটে উড়তে শেখা ধুসর এ্যাল্বাট্রস।
আমরা পার হয়ে যাব, বাঁশ বাগান, চেরী বাগান,
হলুদ গাঁধার উঠোন আর রক্তগোলাপের বন।
এরপর আমরা পৌছাব হৃদের স্বচ্ছ পানিতে।
ছেড়া পালের জাহাজ ভাসিয়ে আমরাই তৈরি করব
অশান্ত সুমুদ্র, আর লক্ষিছাড়া ঢেউ।
ভোরের সুর্য ওঠার সাথে খুজে পাব বাতিঘর।
আমরা হব নাবিক যুগল।
আমরা যাব, যেতে যেতে দুলে উঠব।
চূড়ান্ততম উন্মাদনায় আমরা অংশ নেব লাভা তৈরিতে।
প্রবল ঝাকিতে উদগিরিত হব, নেয়ে উঠব জলপ্রপাতে।
আমরা কিছুই জানবনা
আকাষ-বাতাষ, চন্দ্র, ফুল, পাখি
এ্যানাটমির হাড়গোড়, উতপাদন তত্ব
এমন সব যা কিছু আমরা জানি।
আমরা শুধু জানব, যেতে, দুলতে, ভাসতে, ভালোবাসতে।
ঊষ্ণ শুষ্ক বাতাসের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে,
আমরা পেছনে ছুড়ে ফেলে দেব মরুভুমি।
চেয়ে নেব প্রজাপতিদের জামা আর রংধনু।
যখন খুজে পাব শ্যাওলা ধরা পাহাড়ের শরীর।
ঝর্ণা বেয়ে নেমে আসব নিন্ম জলাভুমিতে।
শুদ্ধ স্নানে স্নানিত হয়ে হব শুদ্ধতা আর শুদ্ধ কবি।
ওক গাছের ছাল, পুই ফল আর এক মুঠো জ্যোৎস্না
দিয়ে বানাবো অমৃত ভেসজ কবিতাসমগ্র।
আমরা মরে ভূত না'হয়ে, কবি যুগল হব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।