ঢাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ-গুলি, আহত অর্ধশতাধিক
ঢাকা, এপ্রিল ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হলের মধ্যেই এ সংঘাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানিয়েছে। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও অন্তত ৩৫টি হাতবোমার বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে। ভাংচুর হয়েছে ১৩টি কক্ষ।
সংঘর্ষের পর হলে তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তল এবং কয়েকটি রামদা ও লাঠিসোঁটা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে হল কর্তৃপক্ষ।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৬৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে এক জন ভর্তি হয়েছেন বলে ঢামেক ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোজাম্মেল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। তিন জনকে পাঠানো হয়েছে পঙ্গু হাসপাতালে।
কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে ছাত্ররা দাবি করলেন পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, কারো দেহেই গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তবে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হলের ছাত্ররা সাংবাদিকদের জানায়, সোমবার রাতে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক সোহাগ ও হলের সহসম্পাদক রাহাতের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
প্রক্টর কেএম সাইফুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদের দুটি অংশের মধ্যে রাতে উত্তেজনা দেখা দিলেও তা বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাতেই মিটমাট করে দেওয়া হয়।
ছাত্ররা জানায়, রাত আড়াইটার দিকে বৈঠক শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। লাঠি-সোঁটা, রড, হকিস্টিক নিয়ে একে অপরের ওপর হামলে পড়ে।
কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা যায়।
সংঘর্ষের সময় হলের টিভি কক্ষ এবং অন্য ১২টি কক্ষ ভাংচুর হয়। আহতদের মধ্যে মাহি, হাসান ও আশিকের অবস্থা গুরুতর।
সংঘর্ষের পর সাড়ে ৬টার পুলিশ হলে গিয়ে তল্লাশি চালায়। প্রক্টর বলেন, তল্লাশি চালিয়ে গুলিভর্তি একটি পিস্তল এবং কয়েকটি রামদা ও লাঠিসোঁটা উদ্ধার করা হয়েছে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আক্কাস আলী সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর বলেছেন, তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।