দেশ নিয়ে পুরাই হতাশ,,,, তাও ভালবাসি দেশকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফেব্র"য়ারি ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগকারী ছাত্রীকে মাস্টার্সের পরীক্ষায় শতভাগ নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গিয়াস উদ্দীন মোল্যা বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর এ অভিযোগ করেছেন।
২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফাহিমা নাজনীন ফুমি অধ্যাপক মোল্যার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এ অভিযোগ আনেন।
এরপর গত বছরের ৯ জানুয়ারি বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির এক সভায় অধ্যাপক মোল্যাকে বিভাগের সব কর্মকাণ্ড থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পরবর্তীতে হাইকোর্ট এক আদেশে ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ বিভাগের কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে এবং কেউ এ ধরনের কাজে ইন্ধন যোগালে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয় একাডেমিক কমিটির ওই সভায়।
গত ৯ ফেব্র"য়ারি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর ওই লিখিত অভিযোগে অধ্যাপক মোল্যা তার বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগকে 'মিথ্যা, বানোয়াট ও প্ররোচণামূলক' অভিহিত করে তা বাতিল, অভিযোগকারী ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং ছাত্রীকে 'প্ররোচিত' করার দায়ে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির পদ নিয়ে 'দ্বন্দ্বের' জের ধরে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির 'মিথ্যা অভিযোগ' আনা হয় বলে দাবি করেন অধ্যাপক মোল্যা।
তিনি অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনতে একই বিভাগের দুই শিক্ষক মামুন আল মোস্তফা ও ড. সাব্বির আহমেদ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফাহিমা নাজনীন ফুমিকে প্ররোচিত করেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষক তার এ বক্তব্যের যৌক্তিকতা প্রতিপন্ন করতে ফাহিমাকে মাস্টার্সের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে মর্মে বিভাগের অপর শিক্ষার্থীদের দুটি অভিযোগপত্রের কথা উল্লেখ করেন ও তা সংযুক্ত করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, "বিভাগীয় দুইজন শিক্ষক সম্পর্কে আমার দেওয়া অভিযোগ সঠিক ও প্রমাণিত। বিভাগের ছাত্রদের অভিযোগপত্র দুটির বক্তব্য আমার অভিযোগের সত্যতা তুলে ধরেছে। "
অধ্যাপক মোল্যা দাবি করেন যে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে প্ররোচনাকারী শিক্ষক ড. সাব্বির আহমেদ বিভাগের আরেক শিক্ষক এমরান হোসাইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনার জন্য বিভাগের এক ছাত্রকে অপর একজন ছাত্রী খুঁজতে বলেছেন।
বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর তার এ লিখিত অভিযোগের অনুলিপি গত ১৪ ফেব্র"য়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এই ঘটনায় একটি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী তথ্যানুসন্ধান কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে। "
মামলা নিষ্পত্তির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সুএ: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।