প্রতিদিন যা পড়ি পত্রিকার পাতায়, ভাললাগা-মণ্দলাগা সবই শেয়ার করি সবার সাথে।
লিভ টুগেদার। পরকীয়া। ইভটিজিং। কোর্ট ম্যারেজ।
অতঃপর প্রতারণা...। প্রাচ্যের বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ বাড়ছে।
আর এসব অভিযোগ তদন্তে হিমশিম অবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। গত কয়েক মাসে ৩০টির বেশি অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়াশোনা করতেই আসে।
কিন্তু এসব অভিযোগ তদন্ত করার বিষয়টি মোটেও সুখকর নয়। তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্যই একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী ও এক এডভোকেটের সঙ্গে লিভ টুগেদার নিয়ে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ১২ই অক্টোবর। ওই ছাত্রী ও এডভোকেটের লিভ টুগেদার নিয়ে তদন্তেও নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীর অতীত প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও অভিযোগ পড়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর কোর্ট ম্যারেজ ও পরবর্তী ঘটনা নিয়েও তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে প্রশাসন। গত ১২ই অক্টোবর সাংবাদিকতা বিভাগের ওই ছাত্রী তার লিভ টুগেদার ও পরবর্তী ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খানের কাছে তিন পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ করেন। ওদিকে ছাত্রীর অভিযোগের পর তার প্রেমিকও পাল্টা অভিযোগ করেছেন প্রক্টরের কাছে। দু’জনই তাদের অভিযোগে লিভ টুগেদারের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
প্রক্টর ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান মানবজমিন-এর কাছে এর সত্যতা স্বীকার করেন। প্রক্টর বলেন, আমি দু’টি অভিযোগই পেয়েছি। যদিও এটি একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়- এরপরও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত হচ্ছে। দু’জনের সঙ্গেই আমরা কথা বলেছি। দু’টি অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী এবং একজন এডভোকেট (যিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ) ২০০৮ সালের ১৫ই মে থেকে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস লিভ টুগেদার করেন।
এরপর মৌখিকভাবে বিয়ে করেন। সর্বশেষ ২০১০ সালের ৫ই জুলাই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর একে অপরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। শাহবাগ থানায় গত ৫ই আগস্ট একটি জিডি-ও করেন ওই ছাত্রী। অভিযোগে ছাত্রী লিখেছেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
২০০৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক সাবেক ছাত্র আমাকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে এক বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর আমি তাকে মেনে নেয়ার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে মৌখিকভাবে কলমাও পড়তে বাধ্য হই। কিন্তু এরপর থেকে তার আসল রূপ আমার চোখে পড়তে থাকে। আমি জানতে পারি, সে এর আগে বিয়ে করেছিল। সেই বউ তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।
বর্তমানে সে মামলা বিচারাধীন। কিন্তু তা-ও আমি মেনে নিয়েছিলাম এবং নানাভাবে তাকে সাহায্য করে আসছিলাম। মানসিক-আর্থিকভাবে সব দিক থেকেই তাকে সাহায্য করে আসছিলাম। এক পর্যায়ে সে ব্যবসার নামে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু সে টাকা দিয়ে কোন ব্যবসা তো করেইনি বরং আমার কাছ থেকে আরও টাকা নিয়ে যায়।
সে টাকাও ফেরত দেয়নি। সংসার করতে হলে ন্যূনতম একটা আর্থিক সাপোর্ট লাগে, তা তার ছিল না। এজন্য তাকে যে কোন একটা কাজ করতে সব সময় তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু এসব কথা যখন বলতাম তখন সে আমাকে সন্দেহ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সে আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
এ কারণে আমি এতটা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি যে, আর কোন ইচ্ছাই নেই তার সঙ্গে সংসার করার। তার নিজেরও যে ইচ্ছা নেই- তা সে ১১ই জুলাই প্রমাণ দিয়েছে। সেদিন সে আমাকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। আমি এখন জোর গলায় বলতে চাই, সে এতদিন পর্যন্ত যা করেছে তা স্পষ্টতই উদ্দেশ্যপূর্ণ ছিল। আর এখন সে যে আমাকে নিয়ে সংসার করার কথা বলছে তা সম্পূর্ণ নাটক ছাড়া কিছুই নয়।
এ অবস্থায় তার সঙ্গে সংসার করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই। আমাকে এসএম হলের এক ছাত্র মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তাছাড়া সে আমাকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি ভয়ে দেড় মাস ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছি না। আমাকে সে একদিন ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মৌখিকভাবে কবুল পড়ায়।
আমি অনন্যোপায় হয়ে কবুল বলতে বাধ্য হই। কিন্তু সে আমাকে মৌখিক তালাকও দিয়ে দিয়েছে। এরপরও সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমার ক্লাসমেট, বন্ধুবান্ধবকে সে বলে বেড়াচ্ছে আমি তার স্ত্রী। তাছাড়া সে আমাকে আরও হুমকি দিচ্ছে যে, সে আমার লেখাপড়া বন্ধ করে দেবে।
ওই ডায়েরির কপি কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওই ছাত্র ১০ই আগস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এক অভিযোগে লিখেছে, ওই ছাত্রী আমার স্ত্রী। ২০০৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে আমার সঙ্গে মুসলিম শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে স্বেচ্ছায় সে ২০০৮ সালের ১৫ই মে থেকে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত আমার সঙ্গে লিভ টুগেদার করে। গত কয়েক মাস ধরে সে তার লন্ডন প্রবাসী কলেজ সহপাঠীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
ঢাবিতে ভর্তির আগ পর্যন্ত তার সঙ্গে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক ছিল, যা সে বিয়ের সময় আমার কাছে গোপন রাখে। ওই সম্পর্কের বিষয় আমি ২০শে জুন অবগত হই। ২০১০ সালের মার্চে সে যোগাযোগ শিথিল করে এবং মাঝেমধ্যে আমার আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আমার সঙ্গে রাত যাপন করতো। সর্বশেষ গত ৫ই জুলাই রাত আটটায় বেইলি রোডে আমার এক আত্মীয়ের বাসভবনে সে আমার সঙ্গে রাত কাটায়। অভিযোগ দু’টি নিয়ে তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করলে ওই ছাত্র বলেন, তার অতীত না জেনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। বিয়ের আইনি কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌখিকভাবে বিয়ে হয়েছে।
প্রেমিক হয়ে গেল ইভটিজার: ২৭শে সেপ্টেম্বর ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী প্রক্টর বরাবর এক অভিযোগে লিখেছেন, গত তিন বছর ধরে হাবিবুর রহমান মামুন নামের এক বহিরাগত ছেলে আমাকে সকাল-সন্ধ্যা উত্ত্যক্ত করছে। ২৭শে সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার ক্লাস শেষ হওয়ার পর বিভাগের সামনে আমাকে উত্ত্যক্ত করায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। আমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছি না।
এ বিষয়ে আমি আগেও প্রক্টরের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছি। এরপরও বহিরাগত ছেলেটির উৎপাত থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। হাবিবুর রহমান ওইসময়ই প্রক্টর ও সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় চার বছর তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হাবিব দর্শন বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন। ২৭তম বিসিএসে তার চাকরিও হয়।
কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বিসিএসের ফল বাতিল করায় হাবিব আর চাকরি পাননি। ওই ছাত্রীর সঙ্গে হাবিবের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল দাবি হাবিবের। বিসিএস থেকে বাদ পড়ায় তার প্রেমেও ভাটা পড়ে। ২৭শে সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেল ওই ছাত্রী তার বন্ধুদের বলে- ছেলেটা তাকে বিরক্ত করছে। পরে বিভাগের ছাত্ররা হাবিবকে জুতার মালা পরিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরায়।
কোর্ট ম্যারেজ, অতঃপর অস্বীকার: সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ৩১শে মার্চ কর্তৃপক্ষের কাছে এক অভিযোগ করেছেন- বহিরাগত এক ছাত্র আমাকে চুল ধরে টানে এবং অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলে। সে আমাকে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষ থেকেই উত্ত্যক্ত করে আসছে। কখনও তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় সে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। আমার মাকে সে ৩১শে মার্চ জানায় যে, আমি তার বিবাহিত স্ত্রী। আমি এগুলো সম্পর্কে একেবারে জানি না।
সে আগে থেকেই ভয় দেখিয়ে আসছে, আমাকে নাকি সে ধর্ষণ করবে এবং এর চেয়েও আরও খারাপ কাজ করবে যাতে আমি সমাজে মুখ দেখাতে না পারি। এ কারণে ভয়ে ভয়ে থাকতাম যে, সে যদি এমন কিছু করে বসে! তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। এ কারণে আমার একটা ধারণা জন্মে যে, সে সব কিছুই করতে পারে। ওই ছাত্র ইউনিভার্সিটি অব ইনফেরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের ছাত্র। ওই ছাত্রকে শোকজ করা হলে ৩রা মার্চ লিখিতভাবে সে জানায়- আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
কারণ সে আমার বিবাহিত স্ত্রী। সঙ্গত কারণেই আমি ঢাবি ক্যাম্পাসে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩০শে জুন ওই ছাত্র ও ছাত্রী কোর্ট ম্যারেজ করেন। ছাত্রী ঢাবিতে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে বলে ওই ছাত্র শোকজের জবাবে বলেছেন।
পরকীয়া: বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী সমপ্রতি ৪০টি ঘুমের বড়ি খায়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় সে। তার বড়ি খাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, স্কুল জীবনেই তার বিয়ে হয়। তার স্বামী টাঙ্গাইলের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর পরই মার্কেটিং বিভাগের এক ছাত্রের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে ভেঙে যায় তার দীর্ঘদিনের বিবাহের সম্পর্ক। কিন্তু মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রটিও এক সময় সরে পড়ে। স্বামীকে আগেই তালাক দিয়েছিল ওই ছাত্রী। কোন কূল না দেখে সে ঘুমের বড়ি খায়।
আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিন: ফার্সি বিভাগের এক ছাত্রীর স্বামী প্রতিনিয়ত প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
ওই ছাত্রীটি সমপ্রতি রোকেয়া হলে ওঠেন প্রক্টরের সুপারিশে। ওই ছাত্রী বিবাহিত। তার স্বামী বরিশালে একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন। কিন্তু হলে ওঠার পর থেকেই ছাত্রীটি তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করছেন না। কেন করছেন না তা-ও বলছেন না।
ফোন দিলেও রিসিভ করছেন না। পুরুষটি প্রতিনিয়ত হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, আর প্রক্টরের কাছে যান পরামর্শের জন্য। বিষয়টি প্রক্টর স্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য: বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার বাইরে অনেক কাণ্ডই ঘটে চলেছে- যা আমাদের জন্য বিব্রতকর। তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের নৈতিক পতনের জন্য এসব ঘটনা ঘটছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও ছাত্রদের একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। এমন কিছু বিষয় আমাদের কাছে আসছে যা বিব্রতকর। তিনি বলেন, একান্ত পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমাদের তদন্ত করতে হচ্ছে। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ঘটনা হলেও আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে।
মানব জমিন ২৫/১১/১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।