আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধরাছোঁয়ার বাইরে ছাত্রলীগ



ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। দলের বাঘা বাঘা নেতারাও ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবি করে একসময় শোরগোল তুললেও বর্তমানে কার্যত তা থেমে গেছে। কিন্তু থেমে নেই ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের অপকর্ম। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ছাত্রদলের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে বিএনপি ছাত্রদলের সব ধরনের কর্মকান্ড স্থগিত করে সংগঠনের সভাপতিকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ছাত্রলীগের সীমাহীন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে আমলেই নিচ্ছে না।

হুমকি-গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে আর লোক দেখানো কয়েকজনকে বহিষ্কারের মহড়া দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সরকার ও দলীয় ব্যবস্থা। এর মধ্যে অপকর্মকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের শিথিলতা দেখানোর কারণেই রাজনীতিহীন ছাত্র রাজনীতির বলি হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র। যাদের মধ্যে ১২ জন ছাত্রলীগের হাতেই খুন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথমদিকে ছাত্রলীগের এ ধরনের কর্মকান্ডে সরকার প্রধান তাদের এড়িয়ে যেতে শুরু করলেও সম্প্রতি তাদের আয়োজিত সভায় ফের যোগদান করে ১৯ মাস আগে দেওয়া বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি যে সরকারের আশকারা পাচ্ছে তা দিবালোকের মতোই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফের ছাত্রলীগের সভায় শেখ হাসিনা : ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল আওয়ামী লীগ একটি জরুরি প্রেসিডিয়াম সভা আহবান করে এবং সভানেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও এর আসল কারণ ছিল নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংক্রান্ত। তবে তিনি ছাত্রলীগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে কয়েক দফা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এবং ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে যোগদান থেকে বিরত থাকেন।

যা ফলাও করে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। কিন্তু তিনিই তেমন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে গত ৩১ আগস্ট ফের ছাত্রলীগের আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুনরায় যোগ দেন। এসময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগে যারা ছাত্রদল-শিবির ঢুকিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের যারা টেনেছে, তাদের প্রত্যেকের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা অপরাধ করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

শেখ হাসিনার এ বক্তব্য নতুন নয়। গতবছর ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের এক সমাবেশে বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা আর দেখতে চাই না। ’ ওই বছরেরই ৩১ অক্টোবর শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমার কষ্ট হয়, যখন পত্রিকার পাতা খুলে দেখি ছাত্রলীগের কর্মীরা টেন্ডার-চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। ’ তার এধরনের বক্তব্যও ছাত্রলীগকে অপকর্ম থেকে ফেরাতে পারেনি। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামও অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগে শিবির ঢুকেছে।

’ কিন্তু আজ পর্যন্ত শিবির কারা তা বের করা হয়নি। সরকার ছাত্রলীগের পেছনে জনগণের অর্থে বেতন-ভাতা দেওয়া গোয়েন্দাদের কাজে লাগাচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপি আহূত ২৭ জুনের হরতাল মোকাবিলায় ছাত্রলীগের ঘোষণার প্রেক্ষিতে আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না। কারণ এরা অঙ্গ সংগঠন নয়, সহযোগী সংগঠন। এ প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা অনেক দিন পর ছাত্রলীগের বৈঠকে যোগ দিয়ে ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিলেন কিনা তা নিয়েও পর্যবেক্ষকদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ছাত্রলীগের হাতে ১২ খুন : সাপ্তাহিক বুধবারের হিসাবে, বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর ১৮ মাসে ছাত্রলীগের হাতেই ১২টি হত্যাকান্ড হয়েছে। এসময় তাদেরও কয়েকজন প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের হাতে মারা পড়ে। সর্বশেষ ২৩ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিম (২৩) মারা যায়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের খাবার নিয়ে বিবাদের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে মারধর করে শাহ মখদুম হলের ছাদ থেকে ফেলে দেয়। ওই দিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

এ নিয়ে ২০ মাসের সহিংসতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনজন ছাত্র খুন হয়। ৭ এপ্রিল চাঁদা না দেওয়ায় মৌলভীবাজারে জেলা ছাত্রলীগ সদস্য এনামুল হক আবদুস (২৪) ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নিহত হয়। মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও তার ওপর আরেক দফা হামলা চালানো হয়েছিল। এতে তার অবস্থার আরো অবনতি হয়। মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

১২ জুলাই সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণের জের ধরে গণিত (অনার্স) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উদয়ন সিংহ পলাশ নির্মমভাবে খুন হয়। ২৯ মার্চ ছাত্রলীগের হাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র শিবিরকর্মী হারুনুর রশীদ কায়সার খুন হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুই ছাত্র মাসুম ও আসাদও ছাত্র রাজনীতির বলি হয়। এদের দুই জনকেই ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে পরস্পরের প্রতি খুনের অভিযোগ আনে। আসাদ হত্যা মামলায় একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।

২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র দরিদ্র পরিবারের সন্তান আবু বকর। পর দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে তার মৃত্যু হয়। গত বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নেওয়ার পরের সপ্তাহেই নারায়ণগঞ্জের সদর থানার ২নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম রনিকে হত্যা করা হয়। ১০ মার্চ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ মাদ্রাসার শিবির নেতা হাফেজ রমজান আলীকে খুন করে ছাত্রলীগ।

১৩ মার্চ রাজশাহীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী। ৩০ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের রাববী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আসাদ নিহত হয়। বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয় ছাত্রলীগের নেতা পলাশ জমাদ্দার। এছাড়া গত রমজানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বপন মন্ডল নামের এক এনজিও কর্মীকেও হত্যা করে ছাত্রলীগ। ৭ জানুয়ারী ছাত্রলীগের হামলায় মারা যায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি রেজানুল ইসলাম চৌধুরী।

অন্যদিকে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক, মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন ইসলামী ছাত্র শিবিরের হাতেও নিহত হয়। নৃশংসতার নতুন পদ্ধতি : একসময় ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিপক্ষকে দমন করতে রগ কাটার মতো গর্হিত পদ্ধতি প্রয়োগ করে। এ বছর ছাত্রলীগও প্রতিপক্ষ দমনে এসব পদ্ধতির সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিন-চার ফুট লম্বা চাপাতি দিয়ে একে অপরকে কুপিয়ে আহত করার দৃশ্যও পত্রিকায় ছাপা হয়। এর পর তাদের উদ্ভাবন ভবনের ছাদ থেকে পিটিয়ে নিচে ফেলে দেওয়া।

এতে এ পর্যন্ত একজন নিহত ও অনেক কর্মী চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। সর্বশেষ ছাত্রলীগের একজন নেতা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আরেকজনের হাতে ও পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দিয়েছে। ৫ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ প্রতিপক্ষ ছাত্রদের ৪ তলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় আহতদের পেটানো হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টরকেও ছাত্রলীগ কর্মীরা রড দিয়ে পেটায়।

৩০ আগস্ট রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে মশিউর রহমান নামে এক ছাত্রের হাতে পায়ে পেরেক মেরে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগ নেতা পেরেক ফিরোজের নেতৃত্বে ১০-১২ জন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় পুলিশ পেরেক ফিরোজকে গ্রেফতার করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ : আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুন, হত্যা, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য, সাংবাদিক নির্যাতন, শিক্ষক ও ছাত্রী লাঞ্ছনা, নিজ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তারে দখলবাজির জন্য সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলুষিত করেছে। পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী, ১৮ মাসে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে এবং ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মোট ১২৭টি মাঝারি থেকে বড় আকারের সংঘর্ষ ঘটেছে। বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৪৫টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব সংঘর্ষ হয়েছে।

এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২৭টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে বাধ্য হয়। এসব সংঘর্ষে আহত হয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। ৩৫টি সংঘর্ষ ছিল ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের। বাকি সব সংঘর্ষ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ছাত্রলীগ থেকে ২৫০ জনেরও বেশি বহিষ্কার এবং ঢাকা কলেজ থেকে ৫৭ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের আরো শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সবচেয়ে বেশি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে ছয়-সাতবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পরই স্থান পায় রাজশাহী । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও ভিসিকে অবরুদ্ধ এবং তিনটি খুন দিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়।

ছাত্র সংঘর্ষের ফলে ২০ মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় মোট ২৮৭ দিন বন্ধ থাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ দিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২শ’ দিন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ৯০ দিন এবং চুয়েট ১৭ দিন বন্ধ থাকে। এছাড়াও ২৩টি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো প্রত্যেকটি পাঁচ থেকে ১৫ দিন করে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সে হিসাবে প্রায় ৪শ’ দিনের ওপর বন্ধ থাকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংঘর্ষে বন্ধ হয়েছে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, কুয়েট, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং বগুড়া মেডিকেল কলেজসহ নয়টি মেডিকেল কলেজ, কারমাইকেল কলেজ, রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী পলিটেকনিক, রাজশাহী, দিনাজপুর, বিয়ানীবাজার এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েকবার ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয় । এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরো যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু বন্ধ হয়নি সেগুলো হলো বরিশাল, সিলেট ও তেজগাঁও পলিটেকনিক, বিএম কলেজ, বিএল কলেজ, গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী সরকারি কলেজ, নাজিমুদ্দিন কলেজ, আজম খান কমার্স কলেজ, ডুয়েট, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ, ঢাকা আলিয়া মাদরাসা, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও আজিজুল হক কলেজ। এসব কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েক হাজার আহত হওয়ার সংবাদ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। শিক্ষক লাঞ্ছনা ও মারধর : ২০ মাসে ছাত্রলীগের হাতে ৩০ শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাঁচ মাসে ছাত্রলীগের হাতে ২৫ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বাসে হামলা করে আগুন দিয়ে আলোচিত হয়েছে ছাত্রলীগ। দিনের পর দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা। এছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং প্রভোস্ট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ, বিএল কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও মহেন্দনগর কলেজ লালমনিরহাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষসহ অনেক শিক্ষকের ওপর সরাসরি হামলা করেছে ছাত্রলীগ। সম্ভ্রমহানি, ধর্ষণ করে ভিডিও : ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সম্ভ্রমহানি, ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ভিডিও করে বাজারজাত করারও অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ২৬ এপ্রিল প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে অনেক ছাত্রী নিপীড়নের শিকার হয়। এর আগে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এক ছাত্রীকে অভিভাবকের সামনে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারি ফুল দিতে গিয়েও লাঞ্ছিত হন এক মেয়ে। ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ অভিযোগ করেছে- এই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীসহ অনেক ছাত্রীকে হলে সিট দেওয়ার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছে জোর করে মনোরঞ্জনের জন্য পাঠানো হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ এপ্রিল এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে কয়েকজন ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ কর্মীরা আছড়ে পড়ে ছাত্রীদের ওপর। লাঞ্ছিত ছাত্রীদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। বরিশাল বিএম কলেজে এক ছাত্রলীগ নেত্রী তার রুমমেটের নগ্ন দৃশ্য মোবাইলে ধারন করে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। সেই ছাত্রী তিন হাজার টাকা দিলেও রক্ষা হয়নি।

আরো টাকার দাবি করে বেশ কিছু নগ্ন ছবি ছাত্রদের মোবাইলে দেয়া হয়। এর আগে পটুয়াখালীতে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা এক ছাত্রীকে ধর্ষনের পর তার সিডি বাজারে ছেড়েছিল। এপ্রিলে পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গৃহবধূ। এর আগে পিরোজপুরে স্থানীয় ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহসান কবির মামুন এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর সে দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বাজারে সিডি আকারে ছাড়ে। পরে ছাত্রলীগ গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে বাহিষ্কারও করে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামে পূজা দেখতে আসা সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ১০ ছাত্রলীগ নেতা গণধর্ষণ করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আর প্রেসক্লাবের সভাপতি। বিচারে গণধর্ষণের শাস্তি ১০ হাজার টাকা জরিমানা আর ১০০ বেত্রাঘাত। পরে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসলে উল্টো ধর্ষিতার পরিবারকে হেনস্থা করে ধর্ষণ হয়নি মর্মে সাদা কাগজে টিপসই নেওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চার ছাত্রলীগ কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

পরে ছাত্রলীগও তাদের বহিষ্কার করে। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মধ্যযুগীয় কায়দায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা বাজারে ছেড়ে দেয়। ছাত্রলীগের এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে সরকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে তো দূরের কথা, অতীতের লাঞ্ছনার ঘটনায়ও শাস্তির নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। ১৯৯৯ সালে নতুন ইংরেজি বছর উদযাপনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কানিজ আক্তার বাধনকে লাঞ্ছিত করেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় বাধন মামলা করলেও অজ্ঞাত কারণে সাক্ষ্য দিতে যাননি।

ফলে পার পেয়ে গেছে অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ কর্মী। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ভার্তি বাণিজ্য : ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তালিকা করে চাঁদাবাজি শুরু করে। গতবছরের ৩ অক্টোবর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের বৈঠকে নেতারা বলেছেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দলের নামে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করছে। এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু এ দাবির একবছর পার হতে চললেও আজ পর্যন্ত ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে গিয়ে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ ৫ সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জের চানপাড়া বস্তিতে জুয়া ও মাদকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মহিলা লীগের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। চাঁদাবাজি থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুরাও রক্ষা পাচ্ছে না। তাদের সম্পত্তিও দখল করছে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু নেতাকর্মী। ২০ মাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের টাকা আয়ের অন্যতম উৎস ছিল বিভিনণ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ ভর্তিবাণিজ্য।

ছাত্রলীগের বাধার মুখে বেশ কয়েকটি কলেজের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অনেক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ভর্তিতে রাজি না হওয়ায় ১৫ মার্চ ইডেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দা খায়রুননেসাকে ওএসডি এবং ভর্তি কমিটির আহবায়ক সাইখুল ইসলামকে যশোর এমএম কলেজে বদলি করা হয়। কলেজে ভর্তি ছাড়াও রাজধানীতে বিভিন্ন স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে শিশুদের ভর্তি নিয়েও ছাত্রলীগ এবার বাণিজ্য করেছে। নামকরা কোনো স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করতে এবার পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে।

বিপর্যস্ত সাংগঠনিক কাঠামো : বর্তমানে সারাদেশে ছাত্রলীগের ৮৭টি সাংগঠনিক শাখার ৪০টির বেশি শাখায় এখনো কমিটি করা সম্ভব হয়নি। নতুন কমিটি করলেও সংঘর্ষের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি স্থগিত রয়েছে। অনেক কমিটির মেয়াদ আট-দশ বছর পর্যন্ত হয়ে গেছে। ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠিত হয় ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল। বর্তমান কমিটির মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হলেও নতুন কোনো কমিটি করা হয়নি।

অথচ চার বছরে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী তৈরি হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব তৈরি হলেও তারা সাংগঠনিক ক্ষমতা পায়নি। এ অবস্থায় তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ নেই। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ ধারায় সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর (ক) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘অনূর্ধ্ব ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা ছাত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হতে পারেন।

প্রতি শিক্ষাবর্ষে সদস্যপদ নবায়ন করা বাঞ্ছনীয়। ’ কিন্তু বর্তমান কমিটি গঠনের সময় বয়স ছাড় দিয়ে অনূর্ধ্ব ২৯ বছর করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ‘নতুন প্রজন্মের যে তরুণ-তরুণীরা এবার প্রথম ভোটার হয়েছেন- উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রণীত ভিশন-২০২১ আমরা তাদেরই উৎসর্গ করছি। বিশ্বায়নের এ যুগে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য অপার সম্ভাবনাময় নতুন প্রজন্মের ভোটার তথা তরুণ-তরুণীদের শ্রম, মেধা, জ্ঞান ও মননকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। ’ সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেই নতুন নেতৃত্ব দিয়ে কমিটি করার দাবি ওঠে।

কিন্তু সরকার ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই তরুণদের কাজে লাগতে পারেনি। শেষ কথা : ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, যেসব স্থানে ছাত্রলীগের নামধারি সন্ত্রাসীরা অপকর্মে জড়িত ছিল তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। সম্প্রতি ৭৭ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অপকর্মের দায়ে পেরেক ফিরোজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কয়েকদিনের মধ্যে আরো বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হতে পারে। তবে এ ব্যবস্থা যে ছাত্রলীগের ওই সব নেতাকর্মীদের থামাতে পারেনি তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের শিক্ষা ও বিজ্ঞান অধ্যায়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষাঙ্গনকে দলীয়করণমুক্ত, শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস, সেশনজট মুক্ত করা হবে। ’’ কিন্তু ছাত্রলীগের কারণেই সরকার এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গতবছর ছাত্রলীগের পল্টনের মিলনমেলায় সংঘর্ষের বিষয়ে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল তার প্রতিবেদন আজও প্রকাশিত হয়নি।

ওই ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশব্যাপী ছাত্রলীগের সবগুলো শাখার কার্যক্রমকেই স্থগিত করতে হতো। এ কারণে সরকার আরো আন্তরিক হয়ে ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করবে এটাই প্রত্যাশা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.