all in one
৫ বছরের চলচ্চিত্রজীবনে সাকুল্যে তাঁর ছবির সংখ্যা ৬০। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি অনেক। এখানে তুলে ধরা হলো সাড়ে চুয়াত্তর', 'হারানো সুর', 'দীপ জ্বেলে যাই', 'সপ্তপদী', 'গৃহদাহ' ছবির গল্প। বাদ থাকল 'অগি্নপরীক্ষা', 'সাত পাকে বাঁধা', 'হসপিটাল', 'উত্তর ফাল্গুনি', 'দত্তা'সহ আরো অনেক ছবি।
সপ্তপদী
হিন্দু কৃষ্ণেন্দুকে (উত্তম কুমার) নিয়ে সুখের সংসার গড়ে তুলতে চেয়েছিল খ্রিস্টান রিনা ব্রাউন (সুচিত্রা সেন)।
কিন্তু এ সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি কৃষ্ণেন্দুর গোঁড়া বাবা। দূরে চলে যায় রিনা। অনেক দিন পর বিপন্ন এক মুহূর্তে আবার তাদের দেখা হয়। মৃত বাবার নিষেধের বাধা ডিঙিয়ে এবার কি মিলিত হতে পারবে তারা?
হারানো সুর
স্মৃতিভ্রষ্ট অলকের (উত্তম কুমার) প্রেমে পড়ে যায় ডাক্তার রমা (সুচিত্রা সেন)। অলককে সুস্থ করে তুলতে তাকে বিয়ে করে রমা।
এক দুর্ঘটনায় আবার স্মৃতি ফিরে পায় অলক। ভুলে যায় রমার কথা। বাড়িতে ফিরে যায় অলক। ওই বাড়িতেই চাকরি নেয় রমা। অলক তাকে চিনতে পারে না।
তবু কেন মনে ফিরে ফিরে আসে এক চেনা সুর।
গৃহদাহ
ব্রাহ্ম মেয়ে অচলার (সুচিত্রা সেন) হাত থেকে বন্ধু মহিমকে (উত্তম কুমার) বাঁচাতে এসে উল্টো নিজেই তার প্রেমে পড়ে যায় সুরেশ। কিন্তু মহিমকেই বিয়ে করে গ্রামে চলে যায় অচলা। সামান্য ঘটনায় তাদের সম্পর্কে চির ধরে। সুযোগটি নেয় সুরেশ।
অচলাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে কলকাতায়। শুরু হয় ত্রিকোণ টানাপড়েন।
সাড়ে চুয়াত্তর
পুরুষদের মেস অন্নপূর্ণা বোর্ডিংয়ে একদিন হঠাৎ এসে ওঠে রমলা (সুচিত্রা সেন)। শুরু হয় তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিচিত্র চরিত্রদের বিচিত্র চেষ্টা। একজনের সঙ্গে (উত্তম কুমার) রমলার প্রেমও হয়ে যায়।
দীপ জ্বেলে যাই
হাসপাতালের সেবিকা রাধার (সুচিত্রা সেন) দায়িত্ব পড়ে রোগী তাপসকে (বসন্ত চৌধুরী) সারিয়ে তোলার জন্য।
রোগীকে মানসিক সেবা দিতে গিয়েই বন্ধুত্ব এবং সবশেষে পরিণতি পায় প্রেমে।
সুচিত্রা সেনের নায়কেরা
১৯৫৩ সালে 'সাত নম্বর কয়েদি' ছবিতে সুচিত্রার নায়ক ছিলেন সমর রায়। ব্যবসাসফল হয়নি সেই ছবি। সে বছরই কিন্তু 'সাড়ে চুয়াত্তর' এবং ব্যাপক হিট।
এর পরই উত্তম-সুচিত্রা জুটির উত্তম সময় শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি বসন্ত চৌধুরী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, রবীন মজুমদার, প্রশান্ত কুমার, অসিতবরণ, উৎপল দত্ত, রঞ্জিত মলি্লকের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সুচিত্রা সেন। তবে তাঁদের কারো সঙ্গেই জুটি গড়ে ওঠেনি। যদিও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'সাত পাকে বাঁধা' ছবির জন্যই তিনি মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। তবে জুটি বলতে একজনই, উত্তম কুমার।
এরপর বাংলা ছবির পাশাপাশি নাম লেখান বলিউডে। সুচিত্রা অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি 'দেবদাস' (১৯৫৫)। নায়ক দিলীপ কুমার। ছবিটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর অশোক কুমার, দেবানন্দ, সঞ্জিব কুমার, ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন এই কিন্নরী।
১৯৭৪ সালে হিন্দি ছবি 'আঁধি'তে একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন সুচিত্রা। বলা হয়, এ চরিত্রের প্রেরণা ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এ ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন সুচিত্রা। তাঁর স্বামী চরিত্রের জন্য সঞ্জিব কুমার পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়।
সৌন্দর্য আর অভিনয় গুণে ইচ্ছে করলেই বলিউড মাত করতে পারতেন সুচিত্রা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।