আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিবিয়া

প্রবাসী

গাদ্দাফী এবং লিবিয়া এই মূহুর্তে সারা পৃথিবীর দৃষ্টি এখন লিবিয়ার দিকে। ভুমধ্য সাগরের কিনারে আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম অংশের দেশ লিবিয়া। দেশটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ- সীমাঃ- উত্তরে- ভুমধ্যসাগর, পশ্চিমে- আলজিরিয়া এবং তিউনিসিয়া দক্ষিনে- নাইজার ও শাদ পুর্বে- মিশর ও সুদান আয়তন- ১৮লক্ষ বর্গ কিলোমিটার(প্রায়)আফ্রিকার চতুর্থ এবং পৃথিবীতে ১৭তম লোকসংখ্যা- ৬৪ লক্ষ(২০০৯) রাজধানী এবং বৃহত্তম নগরী- ত্রিপোলী( লোক সংখ্যা ১৭ লক্ষ) মানব উন্নয়ন সূচক- উচ্চ গড় আয়ু- ৭৮(মহিলা), ৭৩ পুরুষ। শিক্ষার হার-৮২%, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বাধ্যতা মুলক এবং অবৈতনিক ভুপ্রকৃতি- ৯০% ভাগের বেশী এলাকা সাহারা মরুভুমি। জলবায়ু- চরমভাবাপন্ন, ভুমধ্যাসাগরের উপকুলভাগ অপেক্ষাকৃত নমনীয় বৃষ্টিপাত যৎসামান্য ,অনেক স্থানে ১০/১৫ বছর যাবত বৃস্টি হয় না “আজিজিয়া” নামক স্থান -প্রাকৃতিক ভাবে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ বায়ু মন্ডলের তাপমাত্রা (৫৭.৮০সে)ত্রিপোলীর দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থিত।

ধর্ম- ৯৭% সুন্নী মুসলমান। ৩% উপগোত্রিয় ও অনান্য। অর্থনীতিঃ- সূচকঃ- উচ্চ মধ্যম অর্থনীতির দেশ। পেট্রোলিয়াম নির্ভর- ১০ম বৃহত্তম মজুদ, এবং ১৭ বৃহত্তম উৎপাদনকারী। মাথা পিছু গড় আয়- ১২,০২০ মার্কিন ডলার(২০০৯) মুদ্রার নাম- দিনার সরকারী নামঃ- দি গ্রেট সোশালিস্ট পিপলস লিবিয়ান আরব জামাহিরিয়া।

এরাবিক শব্দ জামাহিরিয়া-অর্থ জনগন শাসিত রাস্ট্র। লিবিয়া দেশটির নাম লিবু বারবার উপগোত্র থেকে। কালপঞ্জীঃ-খৃ.পুর্ব ৮০০০ অব্দ- নিওলিথিক বারবার খৃ.পুর্ব ৭ম শতাব্দী- ফিনিসিয় বসতি স্থাপন খৃ.পুর্ব৬ষ্ট শতাব্দী- কার্থেজ সাম্রাজ্য কর্তৃক দখল খৃ.পুর্ব ৪র্থ শতাব্দী- গ্রীস কর্তৃক দখল খৃ.পুর্ব৭৪ সাল রোমান সাম্রাজ্য কর্তৃক দখল ৬৪২ সাল আরব দখল ও ইসলামের প্রসার ৬৪২-১৫৫১- আরব শাসিত। ১৫৫১-১৯১১ সাল-অটোমান তুর্ক সাম্রাজ্য। ১৯১১-১৯৪২- ইতালীয় উপনিবেশ ১৯৪৩-১৯৫১- বৃটিশ এবং ফরাসী শাসন।

১৯৫১ ডিসেম্বর ২৪, স্বাধিনতা লাভ। ১৯৫১-১৯৬৯ কিং ইদ্রিস আল সানুসী। ১৯৫৯ সাল- তেল উত্তোলন শুরু। ১৯৬৯ সাল- মোয়াম্মার গাদ্দাফী ক্ষমতা দখল। ১৯৭১ সাল- মিশর এবং সিরিয়ার সাথে “ফেডারেশান অফ আরব রিপাব্লিক গঠন’- বস্তবায়িত হয় নি ১৯৭৩- মিশরের সাথে একত্রিকরন চুক্তি - বস্তবায়িত হয় নি।

১৯৭৪ সাল- তিউনিসিয়ার সাথে একত্রিকরন চুক্তি-বস্তবায়িত হয় নি। ১৯৮০ সাল-সিরিয়ার সাথে একত্রিকরন চুক্তি-বস্তবায়িত হয় নি। ১৯৮১ সাল- ভুমধ্যসাগরে আমেরিকা কর্তৃক লিবিয়ান বিমান ধংশ। ১৯৮৬ সাল লিবিয়ার উপর আমেরিকার বিমান হামলা। গাদ্দাফীর পালিত কন্যা নিহত।

১৯৮৮ সাল- প্যান এম ফ্লাইট ১০৩- ২৪৩ যাত্রীসহ ২৭০ জন স্কটল্যান্ডে্র লকারবিতে বোমা হামলায় বিধ্বস্ত। গাদ্দাফীর ব্যাক্তিগত নির্দেশে এই হামলা -লিবিয়ার বিচার মন্ত্রী ২০১১ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯২ সাল- জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা। ১৯৯৫ সাল- ইজরায়েল প্যালেসটাইন চুক্তির প্রতিবাদে গাদ্দাফী কর্তৃক প্যালেস্টিনীয়দের বহিস্কার। ১৯৯৯ সাল-লকারবি বিমান ধ্বংশ অভিযুক্তদের বিচারের জন্য হস্তান্তর।

২০০২ সাল অভিযুক্তদের একজন দোষী সাব্যস্ত অপরজন খালাশ। ২০০৩ সাল- লিবিয়ার দোষ স্বীকার এবং ক্ষতিপুরন দানের অঙ্গীকার। জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় ২০০৪ সাল বৃটিশ প্রধান মন্ত্রীর লিবিয়া সফর। ২০০৬ সাল- আমেরিকার লিবিয়ার সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষনা। ২০০৮ সাল- লিবিয়ার কাছে ইতালীর ক্ষমা প্রার্থনা।

আমেরিকার পররাস্ট্র মন্ত্রী কন্ডলিসা রাইসের লিবিয়া ভ্রমন। ২০০৯ সাল- গাদ্দাফীর ক্ষমতা দখলের ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন। গাদ্দাফীর ইতালী ভ্রমন। ২০১০ সাল- রাশিয়ার সাথে প্রায় ২০০কোটি ডলারের অস্ত্রচুক্তি। জাতিসঙ্ঘের শরনার্থী সংস্থা লিবিয়া থেকে বহিস্কার।

২০১১ সাল-ফেব্রুয়ারীতে বিদ্রোহের সুচনা। মার্চে জাতিসঙ্ঘের “ নো ফ্লাই জোন অনুমোদন”পশ্চিমা শক্তি ও আমেরিকার বিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা শুরু। গাদ্দাফী সম্পুর্ন নাম- মোয়াম্মার মোহাম্মদ আল গাদ্দাফী। জন্ম- ১৯৪২ সাল ৭ই জুন, লিবিয়া তখন ইতালি অধিকৃত। জন্মস্থানঃ- সার্ত গোত্রের নামঃ-কাদ্দাদফা গোত্র, বেদুইন, শিক্ষাঃ- মাধ্যামিক স্কুল শেষে বেনগাজি মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েট,গ্রীস, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে সামরিক শিক্ষা গ্রহন।

ক্ষমতা দখল- ১৯৬৯ সাল তুরস্কে চিকিৎসাধীন রাজা ইদ্রিস কে হটিয়ে ক্ষমতা দখল। সেনাবাহিনীর তরুন ক্যাপ্টেন, পরবর্তিতে কর্নেল এবং কর্নেল গাদ্দাফি হিসেবেই বেশী পরিচিত। ৪২ বতসরাধিক কাল যাবত ক্ষমতাসীন। কালের বিচারে ৪র্থ বৃহত্তম কাল ব্যাপী ক্ষমতাসীন। কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো প্রথম(৪৯বছর), চীনের চিয়াং কাইশেক(৪৬ বছর) ২য়, কিম ইল সুং-৩য়(৪৫ বছর) যুদ্ধঃ-লিবিয়া – মিশর যুদ্ধ লিবিয়া-শাদ যুদ্ধ উগান্ডা তাঞ্জানিয়া যুদ্ধে ইদি আমিনের পক্ষে যুদ্ধে অঙ্গশগ্রহন।

১৯৭২ সালে ইসলামি সেনাবাহিনী গঠন। পরবর্তীতে সুদানের দারফুরে সঙ্গী- ইউক্রেনের নার্স গালিনা প্রতিমুর্তের বিশ্বস্ত সঙ্গী ব্যাক্তি জীবন- দুই স্ত্রী,১ম স্ত্রী-ফাতিহা আল নুরি-(ডিভোর্সড) ২য় স্ত্রী-শাফিয়া ফারকাশ(১৯৭০- অদ্যাবধি) সাত ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে আয়েশা গাদ্দাফীর ব্যাক্তিগত বন্ধু উগান্ডার প্রেসি্ডেন্ট ইদি আমিনকে বিয়ে করেন এবং পরে তালাক দেন, ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের আইনজিবী হিসেবে কাজ করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ- আরবীয় জাতিয়তাবাদ এবং ইসলাম। আদর্শগত নেতা মিশরের গামাল আব্দুল নাসের।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.