লিবিয়া গভীর সংকটে ঘোরপাক খাচ্ছে। গাদ্দাফি-উত্তর লিবিয়ার রাজনৈতিক সংকট যেন কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না। একের পর এক নতুন সংকট যোগ হচ্ছে দেশটির রাজনীতিতে। গাদ্দাফিবিরোধী লড়াইয়ে অস্ত্র ধরা বিদ্রোহীদের বিভিন্ন দাবির মুখে নতি স্বীকার করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এতদিন তাদের দাবি ছিল গাদ্দাফি যুগের কর্মকর্তাদের সরকারি চাকরিসহ কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া।
এ দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সশস্ত্র ঘেরাও করে তা আদায় করতে সমর্থ হয় তারা। স্পষ্টতই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি গভীর রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। অস্ত্রধারী বিদ্রোহীদের নতুন নতুন দাবি-দাওয়া আরও স্থিতিশীল করে তুলছে দেশটিকে। জনপ্রিয় আরব বসন্তের দ্বিতীয় বলি ছিলেন কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এর মাধ্যমে তার ৪১ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
তিনি নিহত হন। তবে শান্তি আর ফিরে আসেনি গাদ্দাফি-উত্তর লিবিয়ায়। দেশটি বিদ্রোহীদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিতে না পারায় মারাত্দক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে লিবিয়া থেকে সেভাবে উচ্ছেদ করে তার পূর্বসুরির মতো যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্টের অপবাদটুকু নিতে চাননি বারাক ওবামা। তাই তাকে নানা কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়েছিল।
মোট ৩৫টি দেশের প্রতিনিধিরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পরিচালনায় কীভাবে মিত্রশক্তির পরিবর্তে ন্যাটো বাহিনীর ওপর লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি সুনিশ্চিত ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি হস্তান্তর করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছিল। তা ছাড়া যুদ্ধ শেষে কীভাবে মানবিক সাহায্য প্রদান ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আরও দুটি বিষয় আলোচনার প্রধান দিক হিসেবে ওঠে আসে তা হচ্ছে গাদ্দাফির বিদায় ও লিবিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের নেতৃত্বে যুদ্ধ-পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া। কিন্তু সমাধান হয়নি কিছুই। এখনো যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী অন্তত ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করে, জাতির উদ্দেশে ভাষণের অন্তত এক মাস আগে প্রেসিডেন্ট ওবামার উচিত ছিল লিবিয়ার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা এবং জাতিসংঘের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ দাবি করা।
কিন্তু তিনি তা করেননি। লিবিয়ায় আসেনি শান্তি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।