আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগ : দলীয়করণ করতে ডিনকে অপসরণ করেছে প্রশাসন



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত এক ডিনকে সরিয়ে দিয়ে নীল দলের আরেক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত ডিনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথাগত নিয়মের লঙ্ঘন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছেন শিক্ষকরা। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেছেন, আগামী ২২ মার্চ সিলেকশন সভায় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের ৬ প্রভাষক পদে নিয়োগে দলীয়করণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই ডিনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট থেকেও অন্য মতের কোনো প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। এদিকে নতুন নির্বাচিত ডিন না হওয়া পর্যন্ত অনুষদের সব বিভাগের নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে শিক্ষকরা বলেছেন, প্রশাসন দাবি না মেনে নিলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ফার্মেসি অনুষদের নির্বাচিত ডিন ছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। গত ১৮ ফেবু্রয়ারি তিনি হৃদরোগে মারা যান। তবে তিনি অসুস্থ থাকাকালীন প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভারপ্রাপ্ত ডিনের দায়িত্ব দেন তিনবারের নির্বাচিত সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আবদুর রশীদকে। তিনি সাদা দলের শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। দায়িত্ব পালন করাকালীন ১২ মার্চ তাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেয়া হয় নীল দলের শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুককে।

একজনকে অপসারণ করে নতুন একজনকে ডিনের দায়িত্ব দেয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বড় একটি অংশ সাদা দলের শিক্ষকরা গতকাল বিকালে শিক্ষক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক লায়লা নূর ইসলাম, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অপসারিত ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক আবদুর রশীদ, অধ্যাপক আবুল হাসনাত, অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার, সিন্ডিকেট সদস্য ড. মইনুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য লুত্ফর রহমান, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ। প্রশাসনের ন্যক্কারজনক ও স্বেচ্ছাচারী আচরণের কথা উল্লেখ করে লিখিত বক্তেব্যে অধ্যাপক আবুল হাসনাত বলেন, ফার্মেসি অনুষদের নির্বাচিত ডিন ছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। তার মৃত্যুর আগে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের নীল দলের শিক্ষক চেয়ারম্যান তাদের দলীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তড়িঘড়ি করে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। ওই নিয়োগ দলীয়করণ করতে সিলেকশন বোর্ডকে দলীয়করণ করা হয়েছে।

প্রথা অনুযায়ী সিন্ডিকেট থেকে সাদা দলের প্রতিনিধি রাখার নিয়োগ থাকলেও তা রাখা হয়নি। অধ্যাপক সদরুল আমিন বলেন, কর্তৃপক্ষ একজন ভারপ্রাপ্ত ডিনকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত নিয়ম-প্রথাকে লঙ্ঘন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। অপসারণ করা ডিনকে পদ ফিরিয়ে দিতে ভিসিকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের কথা রাখেননি। এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অতীতে যেভাবে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দলীয়করণ করা হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসছি আমরা।

নিয়োগে দলীয়করণের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান অনুযায়ী অন্য আরেকজনকে আপাতত ভারপ্রাপ্ত ডিনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচিত ডিনের জন্য নির্বাচন হবে। পত্রিকা সমূহ থেকে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.