পথের খোঁজে...
১.
ফুলবাড়িয়া (ইউনিয়ন) বাজার হতে উত্তর দিকে যে রাস্তাটা শুরু হয়ে একেবেঁকে পশ্চিম দিকে চলে গেছে, একপাশে অবারিত সবুজ ধানক্ষেত, আর অন্যপাশে সাপের মত আঁকাবাঁকা নদীর তীর ঘেঁষে চলে যাওয়া রাস্তাটা যেখানে গিয়ে থেমেছে, সেটি বাংলাদেশের খুব সুন্দর একটি গ্রাম। গোয়ালিয়া নদীর একটি শাখা শীতকালে হাটুপানি আর বর্ষায় পূর্ণ যৌবনা হয়ে, গ্রামের একমাত্র ও কাচাঁ লাল মাটির রাস্তাটাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে বয়ে চলে অবিরত।
কেবল শীতকাল বিদায় নিল, বর্ষা আসতে এখনো ঢেড় বাকি। শীতকালে একদম শুকনো টনটনে রাস্তা, সাথে ট্যালকম পাউডারের মত ধুলো ফ্রি। একবিংশ শতাব্দীর এই যুগেও ভ্যান কিংবা পায়ে হাটা ছাড়া গ্রামে প্রবেশের আর কোনো ব্যবস্হা নাই।
গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেরই রয়েছে বাইসাইকেল কিংবা মটরসাইকেল।
কাঁচা রাস্তায় কেউ যখন মোটরসাইকেল হাকিয়ে চলে যায়, পিছনে তখন ধুলো কুন্ডলী পাকিয়ে পাকিয়ে দুনিয়া অন্ধকার করে দেয়। তিন চাকার ভ্যানে বসে উঁচু-নীচু রাস্তায় চলার সময় ঝাঁকিতে এমনিতেই যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন আরেক আপদ হিসেবে দেখা দেয় সেই ধুলো।
বর্ষায় ফুটে উঠে গ্রামের আসল রূপ। তখন ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল সব বন্ধ।
তখন ফুলবাড়িয়া যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো স্যালো ইন্জিন চালিত নৌকা, অর্ধেক পথ হেঁটে তারপর নৌকাঘাটে আসতে হয়, তাও নির্দিষ্ট সময় ছাড়া পাওয়া যায় না। বাদবাকি সময় মানুষ হেঁটেই যাতায়াত করে।
লাল মাটি সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তারা জানেন, বৃষ্টিতে লাল মাটির কাঁদা কেমন হয়। পায়ে এমনভাবে লেগে থাকে যে হাঁটাই মুশকিল হয়ে দাড়ায়। এ সময় মানুষ এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের গালি দিতে দিতে, জুতা হাতে নিয়ে কাঁদা মাড়িয়ে পথ চলে।
---------------(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।