আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতের আড়ালে জঙ্গিরা তৎপর!



বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলামের আড়ালে জঙ্গিরা আবার সক্রিয় হচ্ছে – এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম৷ তাঁর দাবি, এর নেপথ্যে আছে জামায়াতে ইসলামী, যারা হেফাজতকে সামনে রেখে এ তত্‍পরতা শুরু করেছে৷ একটি বিদেশি পত্রিকাও এ রকম খবর দিয়েছে৷ তাদের প্রতিবেদনেও হেফাজতের আড়ালে জঙ্গিদের সক্রিয় হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে৷ সেই প্রতিবেদন ধরেই ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামের কাছে পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন যে, তাদের কাছেও এ ধরণের তথ্য রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, তাঁর কথায়, এই জঙ্গিদের সংগঠিত করতে কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী৷ মনিরুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে দেখা যায় হেফাজতে ইসলামের অর্থের প্রধান যোগানদাতা জামায়াত৷ আর হেফাজতে ইসলামের মধ্যেই জামায়াতের লোকজন থাকায়, এরই মধ্যে হেফাজত অরাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে রাজনৈতিক চরিত্র পেয়েছে৷ আর ভেতরে ভেতরে সংগঠিত করা হচ্ছে জঙ্গিদের৷ রবিবার (০৫.০৫.১৩) ঢাকা অবরোধের নামে মতিঝিল এলাকায় প্রায় ৮ ঘণ্টা তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা৷ এতে মতিঝিল এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়৷ হেফাজতের কর্মীরা দোকানপাট, মার্কেট, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস, গাড়ি সব কিছুতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ তিনি বলেন, এ জন্য হেফাজত ও জামায়াতের ওপর তারা যেমন নজরদারি বাড়িয়েছেন তেমনই জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে৷ তাঁর মতে, জামায়াতে ইসলামী নিজেদের, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় এখন জঙ্গি সংগঠনগুলোকে কাজে লাগাতে চায়৷ জামায়াতের সুবিধা হলো, অনেক জঙ্গি সংগঠনেই জামায়াত শিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীরা রয়েছেন৷ এ নিয়ে নিরপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে জানান, হেফাজতে ইসলামের জঙ্গি চরিত্র স্পষ্ট৷ তাদের আচার-আচরণ এবং কর্মসূচি দেখলেও তা বোঝা যায়৷ তবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কার বিষয় হলো এই হেফাজত ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে সহানুভূতি পাচ্ছে৷ তাই তারা যদি আরো বিস্তৃত হয়, তা বাংলাদেশের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হবে৷ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশীদ জানান, জামায়াত এখন তার অস্তিত্বের কারণেই হেফাজতের সহয়াতা নেবে৷ আর হেফাজতও তার শক্তি বাড়াতে তা লুফে নেবে৷ কিন্তু তার সঙ্গে জঙ্গিদের কি সম্পর্ক? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলির গোপন জঙ্গি গ্রুপ আছে৷ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর, জামায়াত-শিবিরের সহিংস প্রতিক্রিয়ায় তা আবারো প্রমাণিত হয়েছে৷ আর হেফাজত ঢাকা অবরোধ এবং শাপলা চত্তরে সমাবেশের নামে যা করেছে, তাও তাদের চরিত্রকে স্পষ্ট করেছে৷ তাই এখন স্বাভাবিক কারণেই জঙ্গিরা সামনে চলে আসার চেষ্টা করবে৷ সেজন্য জামায়াত-হেফাজতের স্বার্থ অভিন্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এর বাইরেও ছোট বড় ১০টির মতো জঙ্গি সংঠনের অস্তিত্বের কথা জানা যায়৷ তবে যাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাদের তত্‍পরতাও থেমে নেই৷ যুগ্ম কমিশনার মরিরুল ইসলাম স্বীকার করেন যে, তাদের ধারাবাহিক অভিযানে অনেক জঙ্গি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হলেও তাদের শক্তি এখনো আছে৷ তাঁর দাবি, তাদের আরো শক্তিশালী করার চেষ্টায় আছে হেফাজতের নেতৃত্বে জামায়াত৷ তবে এ ব্যাপারে হেফাজত ও জামায়াতের বক্তব্য জানা যায়নি৷ এর মূল কারণ, জামায়াতের শীর্ষ নেতারা এখন কারাগারে৷ আর যাঁরা বাইরে আছেন তাঁরা অনেকটা আত্মগোপনে৷ তাঁদের পাওয়া যায় না৷ কোনো বক্তব্য থাকলে তাঁরা তাঁদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিবৃতি দেন৷ এছাড়া, হেফাজতের নেতারাও এ মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন৷ তথ্যসূত্র: ডিডাব্লিউ

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.