পাশ্চাত্যের এক শ্রেণীর মুনাফালোভী মানুষ আজকাল বিপুল অর্থের লোভে গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করছে চিকিত্সা গবেষণায় ব্যবহার করার জন্য। ইউরোপের চিকিত্সকরা ভ্রূণ শিশুর চর্বিকে সাজসজ্জা বা প্রসাধন সামগ্রীর উপাদান তৈরির মতো বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। কানাডীয় লেখক উইলিয়াম গার্ডনার লিখেছেন, নিহত ভ্রূণশিশুর কোষগুলো সুস্থ ও খুব তাজা বলে এসব কোষ চিকিত্সা গবেষণায় ব্যবহার করছেন কেউ কেউ। গর্ভস্থ শিশু বা ভ্রূণশিশুর মৃত্যুর পরপরই তার দেহের কোষ ও চামড়াগুলো সতেজ থাকা অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। এসব কোষ অন্যদের কোষের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান।
সূত্র ইন্টারনেট। গর্ভপাতের সমর্থক চিকিত্সক অধ্যাপক ক্রিস ব্যাগলি বলেছেন, ভ্রূণশিশুর চর্বি প্রসাধন শিল্পের জন্য খুবই জরুরি। কারণ, এটি হচ্ছে প্রাণীজ চর্বি, যা প্রসাধন সামগ্রীর উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৬১ লাখ এবং কানাডায় প্রতিদিন ২৭০টিরও বেশি ভ্রূণশিশু হত্যা করা হচ্ছে। এদের চর্বি ব্যবহার করে প্রসাধন সামগ্রীর অন্যতম উপাদান প্রাণীজ চর্বির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
ব্রিটেনে গর্ভপাতের হার ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় শিশুর মৃতদেহ পোড়ানো হচ্ছে বিশেষ ধরনের চুল্লিতে। তাই এগুলো না পুড়িয়ে এর চর্বি প্রসাধন সামগ্রীর উপাদান তৈরিতে ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
মায়ের জীবনহানির আশঙ্কা, অসুস্থ বা বড় ধরনের ত্রুটিযুক্ত গর্ভস্থ শিশু ও চিকিত্সাগত নানা কারণে সারা বিশ্বেই গর্ভপাতের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভ্রূণ শিশুকে প্রসাধনীর মতো কিছু তৈরিতে ব্যবহার করা কাম্য হতে পারে না। গর্ভস্থ শিশুকে গর্ভের ভেতরেই জোর করে মেরে ফেলা খুবই অমানবিক ও নৃশংস কাজ।
ইসলামের মানবিক আইন অনুযায়ী ভ্রূণশিশু হত্যা করা নিষিদ্ধ বা হারাম। উপযুক্ত বা গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ও চিকিত্সকের সমর্থন ছাড়া ভ্রূণশিশু নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। তাই ভ্রূণ হত্যা করে তা দিয়ে কিছু তৈরি করার ধর্মীয় ও নৈতিক বৈধতা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।