আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিবেশীর কান্ড............

দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী!

আমরা থাকি রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকায়। আমাদের বাড়ির ঠিক দুই বাড়ি পরে এক বিশাল বাড়ি। বাড়িটি ছিল দুতলা,কিছুদিন থকে পাচতলা বানানোর কাজ চলছে,মাঝে মাঝে তাকিয়ে দেখতাম,আর ভাবতাম বাহ বাসার পাশে পাচতলা হচ্ছে ভালই তো। বাসার মালিক হচ্ছেন আলহাজ্ব এখলাস উদ্দীন,এখলাস আংকেল বলে দাকতাম,রাস্তায় দেখাহলে সালাম দিতাম। তিনি আরডিএ তে চাকরী করতেন এইটুক জানতাম।

আজ সকালে রাজশাহীর লোকাল পত্রিকায় দৈনিক সানশাইন হেডলাইন দেখলাম “আরডিএ ক্যাশিয়ারের সম্পদের পাহাড়”। ক্যাশিয়ার ভদ্রলোক!! আর কেউ নন আমাদের প্রতিবেশী আলহাজ্ব এখলাস উদ্দীন। তিনি প্রায় ২৩ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। টাকা আত্মসাত সিস্টেম ছিল আরডিএ কতৃক ইস্যু করা চেকে টিকে ঘষে মেজে টাকার অংক বৃদ্ধি করে টাকা তুলতেন। গত জানুয়ারি মাসে আরডিএ’র ব্যয়ের মোট ২১ লাখ টাকার চেক ইস্যু করা হয়।

কিন্তু এর বিপরিতে তিনি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছেন ৪৪ লাখ টাকা। যেভাবে ধরা পড়লেনঃ গত ১৭ ফেব্র“য়ারি আরডিএ’র ২০ হাজার টাকার একটি চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু ক্যাশিয়ার আলহাজ্ব এখলাস উদ্দিন ওই চেকের অংকের ২০ হাজার টাকার সামনে ২ বসিয়ে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলতে যায় ডাচ বাংলা ব্যাংকে। সন্দেহ হলে চেকটি ফিরিয়ে দিয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার মামুনুল কবির আরডিএ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে ফোনে জানান। খবর পেয়ে ব্যাংকে জান আরডিএ’র অর্থ উপদেষ্টা আব্দুর রউফ জোয়ার্দার।

এদিকে ওই চেক নিয়ে ক্যাশিয়ার এখলাস উদ্দিনকে অফিসে ডাকা হলেও তিনি আর অফিসে যাননি। চেকটি হারিয়ে গেছে বলে তিনি মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যানকে জানান। এর পর ওই দিনই আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি চেয়ে দরখাস্ত পাঠিয়ে দিয়ে সপরিবারে রাজশাহী ত্যাগ করেন। গত কয়েক দিনে তার কোন সন্ধান না পাওয়া গেলে গত সোমবার খতিয়ে দেখা হয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের এসটিডি এ্যাকাউন্ট ও আরডিএ’র হিসেব শাখা। এতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই চেক জালিয়াতি করে ২৩ লাখ টাকা উত্তোলন করার বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে।

এর মধ্যে আরডিএ’র ১৫ হাজার টাকার ইস্যুকৃত একটি চেকের অংকের সামনে আরো ১৫ বসিয়ে ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করা হয় ১৫ লাখ টাকা। তবে তার ছেলের বক্তব্য হচ্ছে (ছেলের বয়স আমার সমান):ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় তার পিতার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তার সম্পদের কিছু বিবরনঃ মহানগরীতে বহুতল বিশিষ্ট তার বাড়ি রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে রয়েছে কাদিরগঞ্জ মহিলা কলেজের পাশে ৫ তলা, তেরখাদিয়া স্টেডিয়ামের পূর্ব-দক্ষিণ কর্ণারে ৬ তলা, দরিখরবনা কদমতলা মসজিদের পাশে ৪ তলা, ভদ্রার চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকায় ৫ তলা ও উপশহর নাহার একাডেমির পাশে অত্যাধুনিক ১ তলা বাড়ি। নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় তার রয়েছে একটি বিশাল কাপড়ের দোকান।

এছাড়াও পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার দুয়ারী এলাকায় ২৫ বিঘা জমির উপর তার একটি খামার বাড়ি রয়েছে। ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে এতদিন এইরকম একজন মহা দুর্নীতি বাজ কে সম্মান করে সালম দিতাম। এইসকল লোকের কি বিচার করা উচিত তা আল্লাহই ভাল জানেন। মুল খবর: আরডিএ ক্যাশিয়ারের সম্পদের পাহাড় খবর টা প্রথম আলো তে দিয়েছে,খেয়াল করেছিলাম না। প্রথম আলোর ২/০৩/২০১১ তারিখের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.