আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।
"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। "
যারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
রসুল (সঃ) কসম করে বলেছেন"যারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় তারা মু'মিন নয়। " যেসব কারনে মানুষ জান্নাতে যেতে পারবেনা -প্রতিবেশীকে কষ্ট প্রদানকারী তাদের মধ্যে অন্যতম।
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসুল (সঃ)বলেছেনঃ"যার অনিষ্ট থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। "মুসলিম।
অন্যত্র রসুল (*সঃ) বলেছেনঃ"আল্লাহর কসম! সে লোক মু'মিন নয়,
আল্লাহর কসম সে লোক মু'মিন নয়! আল্লাহর কসম সে লোক মু'মিন নয়।
জিজ্ঞেস করা হলো -কোন ব্যক্তি হে আল্লাহর রসুল? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তির অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়। " বুখারী"
ইবন উমার (রাঃ) বলেন, আমি নাবী (সঃ) কে বলতে শুনেছি- অনেক প্রতিবেশী কিয়ামতের দিন তার প্রতিবেশীকে অভিযুক্ত করবে এবং বলবে, এই ব্যক্তি আমার জন্য তার রুদ্ধ করে রেখেছিল এবং আমাকে তার সদাচার থেকে বন্ঞ্চিত করেছিল।
" বুখারী আদাবুল মুফরাদ।
আবু আমির হিমসী (রাঃ) বলেন, সাওবান (রাঃ) বলতেন , যে প্রতিবেশী তার অপর প্রতিবেশীকে নির্যাতন করে বা তার সাথে হীন আচরন করে, ফলে সে নিজ বাড়ী ত্যাগ করতে বাধ্য হয়, সে ধ্বংস হলো।
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন , রসুল (সঃ) কে বলা হলো- হে আল্লাহ রসুল ! অমুক নারী সারা রাত সলাত পড়ে, সারা দিন রোজা রাখে, ভাল কাজ করে, দান খয়রাত করে এবং নিজ প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। রসুল (সঃ) বললেনঃ তার মধ্যে কোন কল্যান নেই সে জাহান্নামী।
পুনরায় সহাবাগণ বললেন, অমুক নারী ফরয সলাত পড়ে,বস্ত্র দান করে এবং কাউকে কষ্ট দেয় না।
রসুল (সঃ) বললেনঃ সে জান্নাতী। "
আবু দাউদ,মুসনাদে আহমদ...........।
ইসলামী শরীয়াতের সকল ইবাদাতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদাত হলো সলাত। আর পবিত্র কুরআনে ৮২ এর অধিক জায়গায় সলাতের কথা এসেছে। তবে সলাত আদায়ের ক্ষেত্রে পবিত্র কালামে পাকে বলা হয়েছে
সলাত কায়েম করতে।
কিন্তু আমাদের মধ্যে আমরা বেশীর ভাগই সলাত পড়ি ,কায়েম করিনা অথবা কায়েম করতে জানিনা। উপরোক্ত হাদীসের
প্রথম নারী, সলাত শুধুমাত্র পড়েছে কিন্তু কায়েম করেনি। তাই সে সলাত তার কোন কাজে আসেনি যদিও সে সলাত পড়েছে। কারন সলাত সকল
অশ্লীল এবং খারাপ কাজ থেকে সলাতীকে বিরত রাখে। কিন্তু প্রথম নারীর
সলাত তার প্রতিবেশীর হক্ক আদায়ে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি,অর্থাৎ মহান আল্লাহর দরবারে তার সলাত কবুল হয়নি।
আমরা যেন আমাদের প্রতিবেশীর প্রতি সদাচারন করতে পারি এবং সলাতকে আমাদের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনে
কায়েম করতে পারি, মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করে শেষ করছি। আল্লাহ হাফিজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।